চাকরির ক্ষেত্রে সফট স্কিলস



এটিএম মোসলেহ উদ্দিন জাবেদ
চাকরির ক্ষেত্রে সফট স্কিলস

চাকরির ক্ষেত্রে সফট স্কিলস

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরি বা কর্মক্ষেত্রে সকলেই সফল হতে চায়। সফল হতে চায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দূর্লভ। সফলতার পিছনে দুটি বিষয় কাজ করে তা হলো হার্ড স্কিলস ও সফট স্কিলস। প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে হার্ড স্কিল ও সফট স্কিলস কি? আপনি কোথাও চাকরি খুঁজছেন বা ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন বা কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন তখন দুধরনের দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো হচ্ছে হার্ড স্কিলস ও সফট স্কিলস। হার্ড স্কিলস হল আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, কম্পিউটার পরিচালন জ্ঞান, কারিগরী জ্ঞান, পেশাগত দক্ষতা অভিজ্ঞতা ইত্যাদি। যেমন- আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন, তাহলে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডিজাইন করাটা আপনার হার্ড স্কিল। আর সফট স্কিল হলো আপনি কাজটা করতে গিয়ে কতটা সৃজনশীলতার সাথে করতে পেরেছেন, একটি দলে থেকে কিভাবে দলবদ্ধ ভাবে কাজটি করেছেন বা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আপনার কাজ সম্পর্কে আপনার ক্লাইন্ট বা বসকে কতটুকু সাবলীল ভাবে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই হার্ড স্কিলের চেয়ে সফট স্কিলকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এখন আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সফট স্কিলস সম্পর্কে জানবো।

১. কমিউনিকেশন স্কিল: কমিউনিকেশন স্কিল বা যোগাযোগ দক্ষতার মানে এই নয় যে, জোরালো বক্তব্য দিতে পারতে হবে। কমিউনিকেশন স্কিল বলতে যার সাথে কথা বলা হচ্ছে তার কথা বলার ভঙ্গিমা বা ধরনের সাথে মিলিয়ে নিয়ে কোন কিছু বোঝাতে পারার সক্ষমতাকে বোঝায়। অর্থাৎ যে কোন বিষয় যে কোন ব্যক্তির নিকট সহজে বোঝাতে পারা। এছাড়া নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রেও এই গুনটির প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ইমেইল কমিউনিকেশন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কতটা সুন্দর, সাবলীল ও সহজবোধ্য ভাবে আপনি আপনার ম্যাসেজ ইমেইলের মাধ্যমে সেন্ডারের নিকট পাঠাতে পারবেন তা আপনার দক্ষতার প্রকাশ।

২. লিডারশীপ বা নেতৃত্ব: নেতা এমন ব্যক্তি যিনি কাজ শুরু করেন এবং অধীনস্থদের জন্য নীতি এবং পরিকল্পনা তৈরি করেন এবং তাদেরকে নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা স¦াভাবিক ভাবেই প্রতিষ্ঠানের নতুন লক্ষ্য বা পরিকল্পনা সম্পর্কে জানে না আর এইসব জানানোর কাজটি করেন নেতা। একজন নেতা তার সঠিক নেতৃত্ব গুনাবলী এবং দিক নির্দেশনার মাধ্যমে কর্মীদের লক্ষ্য সম্পর্কে অবগত করবে এবং কাজ শুরু করবে। কর্মীদের উৎসাহ এবং প্রেরণা প্রদান করার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে কাজ আদায় করার দায়িত্বটি কিন্তু একজন সঠিক নেতাই নেন। তিনি নেতৃত্বকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে কর্মীদের অর্থনৈতিক এবং উৎসাহমূলক পুরষ্কার দিয়ে অনুপ্রাণিত করেন যাতে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের প্রতি দয়িত্বশীল থাকে।

৩. নেটওয়ার্কিং: বিভিন্ন রকম মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়তে আমাদের যে দক্ষতাটির প্রয়োজন হয় সেটি হলো নেটওয়ার্কিং। নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে যোগ্য, দক্ষ ও সফল মানুষদের সাথে যুক্ত থাকতে পারার সুফল অনেক। চাকরি পাওয়া, পদোন্নতি কিংবা কোন দরকারের সময় সাহায্য পাওয়া নেটওয়ার্কিং সবকিছুকে করে দেয় খুব সহজ।

৪. ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি: যে কোন মানুষের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি একটি বিশেষ গুন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। যা তাকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিতে পারে। জীবনে চলার পথে প্রতিদিনই আমাদেরকে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মূখীন হতে হয়। কঠিন সময়ে আমাদেরকে সাহস না হারিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়ার ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। প্রথমে আমাদেরকে ঠিক করতে হবে আমরা আসলে কি চাই, কোন পথে আগালে আমরা সফলতা পাবো এবং সে পথ যত কঠিন হোক না কেন ”আমাদেরকে সেটা পারতে হবে” এই মনোভাব তৈরি করা। 

৫. প্রফেশনালিজম: কর্মক্ষেত্রে যে বিষয়টি নিজের গুরুত্ব অনেক বাড়িয়ে দেয় তা হচ্ছে প্রফেশনালিজম বা পেশাদারিত্ব। কারণ, যে কোন দায়িত্ব দিয়ে নির্ভর করা যায় ঐ কর্মীর উপর যার পেশাদারিত্ব রয়েছে। এই নির্ভরতা ঐ ব্যক্তির ক্যারিয়ারে সফলতা নিশ্চিত করে। সময়মত অফিসে উপস্থিত থাকা, যেকোন কাজ সময়মতো করে দেয়া কিংবা সঠিক জায়গায় সঠিক পোষাক পরা, নিজের কোন কাজের ব্যর্থতা থেকে নিজে শিখা অন্যকে দোষারোপ না করা, এই সবই পেশাদারিত্ব বা প্রফেশনালিজমের অন্তর্গত।

৬. টিমওয়ার্ক: দলগত থাকার মানসিকতা বা দলের সবার সাথে মিশে কাজ করার মানসিকতা থাকা বা দক্ষতা থাকা উভয়ই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সবার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, নিজের মতামত ঠিকভাবে দিতে পারা এবং দলনেতার নির্দেশনা অনুসারে কাজ করা, এসবকিছুই কর্মজীবনে সফলতা অর্জনে সাহায্য করে।

৭. এডাপ্টিবিলিটি: যেকোন পরিবেশ পরিস্থিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়াই হচ্ছে এডাপ্টিবিলিটি বা অভিযোজন। অনেক ক্ষেত্রে বয়সসীমা পার হয়ে যাওয়ার চাপ কিংবা নানাবিধ প্রতিকূল অবস্থায় কাজ করে যেতে হয় এরকম পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে কাজ করে যাওয়ার সক্ষমতা আপনাকে ব্যতিক্রমী ও যোগ্য করে তুলবে।

৮. সৃজনশীলতা ও চিন্তন দক্ষতা: কঠিন সময়ে যিনি চিন্তা করে সহজ সামাধান বের করতে পারে দিন শেষে তিনিই সফলতা অর্জন করেন। সবসময় অন্যের কথা অনুসরণ না করে নিজেকে চিন্তভাবনা করা উচিত। প্রতিযোগীতাপূর্ণ চাকরির বাজারে যে নিজেকে যতটা বেশি সৃষ্টিশীল হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে কর্মক্ষেত্রে তার সফলতার পরিমাণ তত বৃদ্ধি পাবে অর্থাৎ আপনাকে হতে হবে ক্রিয়েটিভ।

৯. কুইক লারনার বা দ্রুত শিখতে পারার সক্ষমতা: কর্মক্ষেত্র বিস্তৃতির সাথে সাথে কাজের ধরণও পরিবর্তিত হচ্ছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল এই কাজগুলো সহজে আয়ত্বে আনতে না পারলে ক্যারিয়ারে সফল হওয়া কোন ভাবেই সম্ভব না। তাই প্রয়োজন দ্রুত শিখে নেয়ার ক্ষমতা। কর্মক্ষেত্রে যত দ্রুত কোন প্রয়োজনীয় বিষয় আয়ত্বে এনে তা প্রয়োগ করা সম্ভব হয় সফলতা তত দ্রুতই হাতে ধরা দেয়।

১০. কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট: কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট বা দ্বন্দ ব্যবস্থাপনা যাই বলি না কেন এটি একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময় অফিসিয়াল মিটিংএ দেখা যায় একটি বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে একেকজন একেক রকম মতামত দিচ্ছে। কেননা সব মানুষের চিন্তা, রুচি, দৃষ্টিভঙ্গি একরকম হয় না। তাই সবার যোগ্যতাকে একসাথে ব্যবহার করতেই এই কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি এসেছে। এক্ষেত্রে সকলে মিলে সেক্রিফাইস মূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটি কমন ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় যেটা প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক। সবার মধ্যে উইন উইন সিচুয়েশন তৈরি করতে হয়।

এটিএম মোসলেহ উদ্দিন জাবেদ, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ ও প্রশাসন), ক্রাউন সিমেন্ট গ্রুপ।

   

১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন: সিলেটে ৩৬ এলাকায় শুক্রবার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা উপলক্ষে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় আগামী শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মিছিল-সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক গণবিজ্ঞপ্তিতে সিলেট মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে জনসমাবেশ, মিছিল, ঢাকঢোল বাজানো, লাউড স্পীকার ব্যবহার, অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, ইট পাথর, ইত্যাদি বহন, ব্যবহারসহ শান্তিশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে এমন যেকোনো কাজ করা নিষিদ্ধ ঘোষণার পাশাপাশি প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রকে পরীক্ষা চলাকালীন অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, ১. সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, ২. সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ, ৩. দি এইডেড হাইস্কুল, তাঁতীপাড়া, ৪. রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, দাঁড়িয়াপাড়া, ৫. সরকারী অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, জিন্দাবাজার, ৬. সিলেট সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট (কেন্দ্র-১) ৭. পুলিশ লাইন্স উচ্চ বিদ্যালয়, ৮. বাগবাড়িস্থ মঈন উদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজ, ৯. মিরের ময়দানস্থ ব্লু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, ১০. মদন মোহন কলেজ, ১১. শাহ্জালাল জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, ১২. হযরত শাহজালাল দারুসুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদ্রাসা, ১৩. কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ১৪. সফির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, ১৫. হাজী আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়, ১৬. বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ১৭. শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা, ১৮. পাঠানটুলা বিলাতিরাল উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯. আম্বরখানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ২০. সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট ২১. সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ২২. দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ, ২৩. সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল রোড, ২৪. ইসরাব আলী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, ২৫. দক্ষিণ সুরমা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, ২৬. সরকারী এমসি কলেজ, ২৭. সিলেট সরকারি কলেজ, ২৮. সৈয়দ হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়, ২৯. জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়, ৩০. হযরত শাহপরাণ (রহ.) উচ্চ বিদ্যালয়, ৩১. শাহ্জালাল উপশহর হাইস্কুল, ৩২. জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ৩৩. জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজ, ৩৪. স্কলার্সহোম স্কুল এন্ড কলেজ, ৩৫. জহিরিয়া এমইউ হাইস্কুল এন্ড কলেজ, ৩৬. আল আমিন জামেয়া ইসলামিয়া সেকেন্ডারি স্কুল।

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।

;

তিন মাসের মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে: প্রতিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
‘তিন মাসের মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে’

‘তিন মাসের মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে’

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, শিক্ষার মান উন্নয়ন, সিলেবাস ও কারিকুলাম নিয়ে আমরা কাজ করছি। আগামী তিন মাসের মধ্যে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। শিক্ষকের যে শূন্যতা রয়েছে তা পূরণ হবে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের উদ্যোগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধনের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেন, শিক্ষানীতি নিয়ে আমরা কাজ করছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের স্মার্ট নীতিমালা আনতে হবে। স্মার্ট কারিকুলাম লাগবে, স্মার্ট বাচ্চা তৈরি করতে হবে যারা ভবিষ্যতে নাগরিক হিসেবে তৈরি হবে। আমরা তথ্য প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আমাদের অনেকগুলো পদক্ষেপ নিচ্ছি। ভবিষ্যতে হয়তো আপনারা এগুলোর ফলাফল দেখতে পারবেন।

নতুন শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, নতুন যখন কোনো কিছু আসে, তখন তার পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কিছু আসে এবং কথাবার্তাও বেশি হয়। নতুন কিছুকে আমরা গ্রহণ করতে ভয় পাই। আমরা মনে করি, আমরা যদি জনগণকে বোঝাতে পারি, আপনারা যদি আমাদেরকে সাহায্য করেন, তবে নিশ্চয়ই আমরা পারবো শিক্ষানীতিকে সম্পূর্ণ জায়গায় নিয়ে যেতে। আমি মুখের কথায় বিশ্বাস করি না বেশি। কি করতে পারবো তা আমি কাজ করে দেখাতে চাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ফরহাদ হোসেন, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাফিসা আক্তার প্রমুখ।

;

প্রাথমিকের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ১ম পর্বের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ) লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বমোট ২ হাজার ৪৯৭ জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।

২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ৩ বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬শ ৯৭ জন পরীক্ষার্থী ছিল। লিখিত পরীক্ষায় ৯ হাজার ৩ শত ৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়।

;

প্রাথমিকের ২য় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রাথমিকের ২য় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার 

প্রাথমিকের ২য় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার 

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের লিখিত (খুলনা, রাজশাহী, ময়নমনসিংহ বিভাগ) পরীক্ষা আগামীকাল ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। তিন বিভাগের ২২ টি জেলা শহরে সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টার এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলাপ্রশাসকগণ স্ব স্ব জেলার সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এবার মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জেলায় মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলায় পৌঁছে গেছেন।

দ্বিতীয় পর্বে মোট পরীক্ষার্থী ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন, কেন্দ্রের সংখ্যা ৬০৩ টি, কক্ষের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৫৭ টি। ২০২৩ এর ২০ মার্চ ২য় পর্বের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

প্রথম পর্বের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ) পরীক্ষা গত ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এ পর্বের মৌখিক পরীক্ষা চলমান।

;