শেষ হল পাগল চাঁদের মেলা
নড়াইল সদর উপজেলার হিজলডাঙ্গায় প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পাগল চাঁদ ঠাকুরের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এ মেলা প্রতিবছর বাংলা পৌষ মাসের শেষ দিন সকালে শুরু হয়ে চলে রাত পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) পৌষ মাসের শেষ দিন ভোর থেকে শুরু হয়ে এই মেলা চলে রাত পর্যন্ত। আধ্যাত্মিক সাধক পাগল চাঁদ ঠাকুর ওরফে ল্যাংটা পাগলের স্মরণে অনুষ্ঠিত এ মেলায় দূরদূরান্ত থেকে ভক্তবৃন্দ ও পুর্ণাথীরা আসেন প্রতিবছরই।
মঙ্গলবারের মেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. সোহরাব হোসেন বিশ্বাস। এ সময় কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুর থেকে আসা অনুপ সাহা বলেন, ‘হিজলডাঙ্গায় না আসলে বুঝতে পারতাম না যে কত মানুষ এ মেলাটি উপভোগ করেন। আর গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী অনেক কিছুই পাওয়া যায় এ মেলায়।’
খুলনা থেকে মেলা দেখতে আসা সুমিতা দাস বলেন, ‘আমি নড়াইলের এ মেলার কথা অনেক শুনেছি। তাই আজ দেখতে এলাম সত্যিই অনেক ভাল লাগছে।’
বাগেরহাট থেকে আসা ব্যবসায়ী অজিত বিশ্বাস বলেন, ‘আমি প্রায় দশ বছর যাবৎ হিজলডাঙ্গার এ মেলায় বিভিন্ন মালামাল বেচা-কেনা করে আসছি। ভালো লাভ হয় তাই প্রতিবছরই আসি।’
হিজলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও মেলা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার রায় বলেন, ‘কবে থেকে এ মেলার আবির্ভাব ঘটেছে সেটা সঠিকভাবে আমরা জানি না। তবে এলাকার বয়ো:বৃদ্ধ ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা যায়, প্রায় দুইশ বছর আগে এ মেলার সূচনা হয়। বর্তমানে মেলার পরিধি বাড়ছে।’
মেলা কমিটির সভাপতি কিশোর কুমার বিশ্বাস জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মেলায় হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী প্রায় ৩০ হাজার লোকের সমাগম ঘটেছে। মেলা উপলক্ষে গ্রামীণ কুটির শিল্পসহ বিভিন্ন পণ্যের কমপক্ষে ৩০০ স্টল বসেছে। এ সব স্টলে বেচা-কেনাও হচ্ছে ভাল।
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পৌষ সক্রান্তি মেলা উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী মেলায় আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’