প্রতিনিয়ত কমছে তিস্তার পানি প্রবাহ
নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে অব্যাহত ভাবে কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি প্রবাহ। গত দুই দিনে পানি প্রবাহ পাঁচ হাজার কিউসেক থেকে কমে দেড় হাজার কিউসেকে নেমেছে।
গত ১৫ জানুয়ারি থেকে উত্তরের নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার সাড়ে ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে রবি মৌসুমে সেচ নির্ভর বোরো আবাদে পানি দেয়া শুরু করে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প। সেই সময় তিস্তা পয়েন্টে পানি প্রবাহ ছিল পাঁচ হাজার কিউসেক, লক্ষ্যমাত্রা ছিল পঞ্চাশ হাজার হেক্টর জমি।
তিস্তা সেচ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পানি সরবরাহ করতে গেলে তিস্তায় ১০ হাজার কিউসেক পানির দরকার। তারা এই মৌসুমে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার কিউসেক পানি পেয়েছেন। তিস্তার পানি দিন দিন কমে আসায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সরবরাহ করা সম্ভব হবে কিনা সে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে তাদের।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ‘আমরা প্রতিবছরই নীলসাগরের (তিস্তা সেচ প্রকল্প) পানি দিয়ে বোরো আবাদ করি। ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন বা বিদ্যুৎ চালিত পাম্প দিয়ে সেচ দিলে যা খরচ হয় তার বিশ ভাগের এক ভাগ খরচ হয় তিস্তার পানি দিয়ে আবাদ করলে। ইদানিং পানির প্রবাহ কমে আসছে। পানি না পেলে আবাদ নষ্ট হয়ে যাবে, পথে বসবে অনেক কৃষক।’