সাতক্ষীরায় চার স্থানে বাস থামার সময় বেধে দিল প্রশাসন
সাতক্ষীরায় পৃথক চারটি রুটের চারটি স্থানে যাত্রীবাহী বাস থামার সময় বেধে দিয়েছে প্রশাসন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ওই চারটি স্থানে কোনো যাত্রীবাহী বাস ৩ মিনিটের বেশি থামতে পারবে না। এ নিয়ম ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী ও বিআরটিএ’র সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিম।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা পৌরসভা যৌথভাবে মাইকিং করে শহরে এই নির্দেশনা প্রচার করেছে। বলা হয়েছে, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সাতক্ষীরা-খুলনা রুটের নারকেলতলা মোড়, সাতক্ষীরা-যশোর রুটের কদমতলা, সাতক্ষীরা-কারিগঞ্জ রুটের কামালনগর সঙ্গীতা মোড় এবং সাতক্ষীরা-আশাশুনি রুটের পৌর দিঘিরপাড়ে (পিএন স্কুল মোড়) সর্বোচ্চ ৩ মিনিট করে যাত্রীবাহী বাস থামতে পারবে। শহরের মধ্যে আর কোনো স্থানে বাস দাঁড়াতে বা থামিয়ে যাত্রী উঠানো বা নামানো যাবে না।
এছাড়া সাতক্ষীরা শহরে কোনো অনিবন্ধিত ইজিবাইক বা ইঞ্জিনভ্যান চলতে পারবে না। জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রশাসন সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ও যানজট নিরসনে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা শহরে বর্তমানে ইজিবাইক, ইঞ্জিনভ্যান ও মোটরভ্যানের সংখ্যা ১০-১২ হাজার। এছাড়া অন্যান্য যানবাহন তো আছেই। ফলে প্রতিদিন শহরে তীব্র যানজটে দুর্ভোগের শিকার হন সাধারণ মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অনেকে, অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। তাছাড়া পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি নানা ধরণের অপরাধ প্রবণতাও বেড়েছে শহরে।
এদিকে, দখল ও দূষণমুক্ত শহরের দাবিতে আন্দোলন করছে জেলা নাগরিক কমিটি। কিন্তু তাতে কোনো কজ হচ্ছে না। ছোট এ শহরে একই রাস্তায় চলাচল করে দূরপাল্লার পরিবহন, বাস-ট্রাক, পিকআপ, মিনিট্রাকসহ সব যানবাহন। যানবাহনের হাইড্রলিক হর্ণের শব্দে অতিষ্ট শহরবাসী। এ অবস্থায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল দখল ও দূষণমুক্ত শহর গড়তে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলা নাগরিক সমাজের নেতারা।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘সাতক্ষীরা শহরকে নান্দনিক রূপে তিলোত্তমা শহরে গড়ে তোলা হবে। দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে শহরকে। নদী ও খাল দখলমুক্ত করা হচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।’