বোরো ধানের চারা বিক্রির হাট!

  • শরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নড়াইল, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বোরো ধানের চারা বেচাকেনা হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪

বোরো ধানের চারা বেচাকেনা হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪

চলছে বোরো আবাদের মৌসুম। কোন কোন কৃষক আবাদ শুরু করেছেন কেউ বা শেষের দিকে চারা রোপণে ব্যস্ত। আর বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের কারণে অনেক বীজতলা নষ্ট হওয়ায় চাষিদের ভরসা করতে হচ্ছে চারা বিক্রির হাটের উপর। হাট থেকে চারা ক্রয় করে জমিতে রোপণ করছেন চাষিরা। এমন কয়েকটি বোরো ধানের চারা বিক্রির হাট রয়েছে নড়াইলের বিভিন্নস্থানে।

জানাগেছে, বৈরি আবহাওয়ায় জেলার তিন উপজেলায় বোরো বীজ তলা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে চারা সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। বাজারে ধানের চারা পাওয়া গেলেও তা কিনতে হবে কয়েক গুণ বেশি দামে। একারণে কৃষকদের এবছর ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। বোরো রোপণের এ ভরা মৌসুমে অনেকটা দিশেহারা কৃষক।

বিজ্ঞাপন

বীজ তলা নষ্ট, বাজারে চারার কয়েক গুন বেশি দাম ছাড়াও কোন কোন ক্ষেতে চারা রোপণ করলেও সেগুলো মারা যাচ্ছে অজানা কারণে। ফলে অনেক জমি অনাবাদী পড়ে থাকবে বলে মনে করেন তারা। জেলার লোহাগড়া এ্যাড়েন্দাহাট, বড়দিয়াঘাট এলাকায় বোরো ধানের চারা বিক্রির হাট রয়েছে। রীতিমত সেখান থেকে চাষিরা চারা কিনে নিয়ে জমিতে রোপণ করছেন। চারা বিক্রি হয় পোন হিসাবে এক পোন চারার মূল্য ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

এ্যাড়েন্দাহাটে বোরো আবাদের জন্য চারা কিনতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের যে চারা ছিল তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হাট থেকে চারা কিনতে হচ্ছে। ৩০ শতক জমি রোপণের জন্য চারা কিনতে আসছি।

বিজ্ঞাপন

সুশান্ত বিশ্বাস বলেন, 'এক একর জমিতে রোপণের জন্য ১০ পোন চারা কিনলাম। প্রতি পোন ২৮০ টাকা করে।'

চারা বিক্রেতা ফরিদ বলেন, 'আমার জমিতে বেশি বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল। আমার চারা লাগানো হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত ২০ পোন চারা বেঁচে ফেললাম। এতে করে খরচের কিছু টাকা বেঁচে গেলে।'

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ চিন্ময় রায় বলেন, 'জেলায় ৪ হাজার একশ ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা করা হয়েছে। চাষিদের সঠিক পরার্মশ দেওয়ার কারণে আদর্শ বীজ তলায় ও বোরো চাষে বৈরী জলবায়ুর কারণে বোরো লক্ষ্যমাত্রায় তেমন কোন প্রভাব ফেলবেনা'।

তিনি আরও বলেন, এবছর জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২ হাজার ৬’শ ৯৫ হেক্টর জমিতে। চারা রোপণ অব্যাহত আছে আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে মনে করেন এই কৃষিবিদ।