সড়ক তো নয় যেন বাড়ির উঠান!
সড়ক তো নয় যেন বাড়ির উঠান! তাই তো ফসল শুকানোর জন্য নেমে পড়েছেন সড়কগুলোতে কৃষকরা। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, চলছে সড়ক দখলের প্রতিযোগিতা। জেলার মহাসড়কসহ অভ্যন্তরীণ অধিকাংশ সড়কগুলোর একই অবস্থা। প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখেও না দেখান ভান করছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
নড়াইলের মহাসড়কসহ প্রতিটি অভ্যন্তরীণ সড়কে ফসল শুকানোর কারণে সড়কগুলো যানবাহন চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নড়াইল-কালিয়া, নড়াইল-মাইজপাড়া, নাড়াইল-ফুলতলা, নড়াইল-লক্ষীপাশা, লোহাগড়া- লাহুড়িয়া, লাহুড়িয়া-মিঠাপুর সড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কে সরিষা, তিষি, কলাই ও মশুরিসহ মৌসুমি বিভিন্ন ফসল শুকানোর জন্য সড়কগুলোতে রাখা হয়েছে। সড়কগুলোতে বাস-ট্রাক, ইঞ্জিনচালিত অটো, ভ্যান-রিক্সা, মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। প্রায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
লক্ষীপাশা-লাহুড়িয়া সড়কে চলাচলকারী আজিজুর রহমান বলেন, প্রতিদিনই আমাদের এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সড়কগুলোতে বিভিন্ন প্রকার ফসল ফেলে রাখায় চলাচলে অনেক সমস্যা হয়। বিষয়টি প্রশাসনের লোকজন দেখলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নড়াইল-কালিয়া সড়কে চলাচলকারী অধির বিশ্বাস বলেন, এসব ফসলের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেলসহ যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
বাস চালক শাহীন বলেন, আমাদের প্রতিদিন এ সড়কদিয়ে যাতায়াত করতে হয় এসব ফসলের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস চালাতে হয়। চাকা স্লিপ করে যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এভাবে ফসল শুকানোর জন্য সড়ক ব্যবহার করা ঠিক নয় জানিয়ে বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে মসজিদের ইমান, শিক্ষক, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যনসহ জনপ্রতিনিধিদের সাধারণ জনগণকে সচেতন করার জন্য কাজ করছি।
জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা মহাসড়কসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে ফসল শুকানোর বিষয়টি স্বীকার করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। সবাইকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বানও জানান তিনি।