‘বিজু’ উৎসবে কঠোর নিরাপত্তা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার, ছবি:বার্তা২৪.কম

সংসদ সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার, ছবি:বার্তা২৪.কম

রাত পোহালেই নতুন বাংলা বছর। কাল পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মাতবে বাঙালিরা। চৈত্রসংক্রান্তির মাধ্যমে আজ ১৪২৫ সনকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে কাল যুক্ত হবে নতুন বছর ১৪২৬। পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষায় বাঙাল জাতি।  বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে পার্বত্য জেলার তিনটি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে উৎসবের সকল আয়োজন।

শনিবার (১৩ ই এপ্রিল) পাবত্য জেলা রাঙামাটিতে ঘুরে দেখা যায় স্থানীয় অধিবাসী এবং জনপ্রতিনিধিরা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। সম্প্রতি নির্বাচনকে ঘিরে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনার পর বিজু উৎসবকে ঘিরে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলার সংসদ সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার। বিজু উৎসব আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য হলেও সময়ের আবর্তনে তা সকল পাহাড়িদের একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে।’

নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদিও পাহাড়িরা অনেক শান্তিপ্রিয় তবুও সন্ত্রাসীদের হামলার কারণে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই আমাদের এই এলাকা নিরাপদ। তাই আমি সকলকে অনুরোধ করবো যে কোনো ভয়-ভীতি ঊর্ধ্বে থেকে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করার।

বিজ্ঞাপন

নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) নুরুল হক বলেন, আশঙ্কা আছে তবে নিরাপত্তা প্রদানে কোনোরকম ত্রুটি আমরা রাখছি না। এসময় রাঙামাটির রিজার্ভ বাজার এলাকায় বেশ কিছু সেনাবাহিনীর টহল গাড়ি দেখা  গেছে। 

শুক্রবার বিজু উৎসবের প্রথম আয়োজন ফুল বিজুর মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই উৎসব। এরপর আর ছিল এর দ্বিতীয় পর্ব মূল বিজু। আগামীকাল ১৪ এপ্রিল সারাদেশ পয়লা বৈশাখ উদযাপন সঙ্গে সঙ্গে পার্বত্য উপজেলা উদযাপন করা হবে গয্যাপয্যা বিজু।