ধরলা-ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ছেই, কুড়িগ্রামে প্লাবন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুড়িগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টির পানিতে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ অবস্থায় নদ-নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ইতোমধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, মাছের ঘের, শাক সবজিসহ আমন ধানের বীজতলা। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

বিজ্ঞাপন

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদি পাড়া, গারুহারা, ভগবতিপুর, কালির আলগা এবং উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চরবাগার কুটি, চর গুজিমারী, বাবুর চর, গাবুরজানসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চরাঞ্চল এখন পানিতে নিমজ্জিত।

Kurigram Flood

বিজ্ঞাপন

যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদিয়া পাড়া গ্রামের কালাম আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হু হু করে বাড়ছে। তীরবর্তী ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বড় ধরনের বন্যার আশংকা রয়েছে।

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে পড়বে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানায়, গত ৩০ ঘণ্টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৫৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্রের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।