চাঁদপুরের বাজারেও ড্রাগন ফল
দেশীয় ফলের বাজারে নতুন আগমন বাহারি জাতের ড্রাগন ফলের। আষাঢ়ে বাজারে আসা এই ফল নজর কেড়েছে চাঁদপুরের ক্রেতা সাধারণের। গোলাপি রংয়ের থাইল্যান্ড ও চীনা জাতের ফলটি খেতে খুবই সুস্বাদু।
চাঁদপুরের কয়েকটি বাজারে ড্রাগন ফল বিক্রি করতে দেখা গেছে। গত বছরের তুলনায় এবার দাম বেশি। জেলার ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র হাজীগঞ্জ বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে হাজীগঞ্জ বাজারের ড্রাগন ফল বিক্রেতা দিদার হোসেনের সাথে কথা হয়। দিদার হোসেন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে দুই বার মোকাম করেছি। ড্রাগন ফলের চাহিদা আছে। তবে দাম বেশি হওয়ায় সবাই কিনতে পারেন না।‘
তিনি জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৪০০ কেজি ড্রাগন ফল হাজীগঞ্জ বাজারে বিক্রি হয়েছে।
বিক্রেতার সাথে কথা বলার সময় দেখা যায়, ড্রাগন ফল দেখে বিস্মিত হলেন হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা ইউনিয়নের গৃহবধূ বিথি বেগম। তার দেড় বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারে আসেন। তিনি ড্রাগন ফল দেখে বলেন, ‘এগুলো দেখতে সুন্দর। কখনও খাইনি। দামও বেশি। কিনার মতো টাকা নাই।’
পরে উপস্থিত দুইজন মিলে ঐ গৃহবধূকে আধা কেজি ড্রাগন ফল ক্রয় করে দেন। এতে কৌতূহল ভরা চোখে খুশি মনে তা গ্রহণ করেন ঐ গৃহবধূ।
ড্রাগন ফলের আরেক ক্রেতা খালেকুজ্জামান শামীম বলেন, ‘এক কেজি ড্রাগন ফল ক্রয় করেছি। সন্তানদের এই ফল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া যাবে।’
ড্রাগন ফলের বিক্রেতার কাছেই পাওয়া যায় হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মো. আলমগীর হোসেন রনিকে। তিনে নিজেও এই ড্রাগন ফল খেয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘ড্রাগন ফল সুস্বাদু একটি ফল। এই ফল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।’