কুড়িগ্রামে পানিবন্দী ৭ লাখ মানুষ, ত্রাণের চাল বরাদ্দ ৫০০ মেট্রিক টন
গত ১০দিনেরও বেশি সময় ধরে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমর, জিঞ্জিরামসহ বেশির ভাগ নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৮৯ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়েছে রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলা পরিষদসহ উপজেলা শহরে। জেলার ৯ উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে পানিবন্দি থাকায় তাদের মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। নিজেদের খাদ্যের পাশাপাশি গো-খাদ্যের সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বানভাসি মানুষজন। নৌকা দেখলেই ছুটছেন ত্রাণের আশায়।
কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়কে পানি উঠায় জেলা সদরের সাথে নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে চিলমারী সড়কেও পানি উঠায় কুড়িগ্রামের সাথে চিলমারীর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
বন্যা কবলিত সাড়ে ৭ লাখ মানুষের জন্য সরকারিভাবে ৫০০ মেট্রিক টন টাল ও ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৪৫০টি তাবু বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এবং ব্যক্তি উদ্যোগে সামান্য পরিসরে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও বিপুল সংখ্যক বানভাসি মানুষের ভাগ্যে জুটছে না তা।