কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দুর্ভোগ বাড়ছে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুড়িগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আবারো অবনতি হয়েছে। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আবারো অবনতি হয়েছে। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আবারো অবনতি হয়েছে। এতে নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়ছে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো।

গত এক সপ্তাহ ধরে নদ-নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে গত মঙ্গলবার থেকে নতুন করে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। এতে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার, নুন খাওয়া পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানিও বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/25/1564039759253.jpg

এতে কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, চিলমারী ও ফুলবাড়ি উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি থেকে বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই নতুন করে আবারো ২য় দফা বন্যার কবলে পড়েছে। বন্যা কবলিত মানুষজনের হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে চরাঞ্চলের বন্যা দুর্গত মানুষজন।

বিজ্ঞাপন

বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চরাঞ্চলের চারণভূমি তলিয়ে থাকায় গবাদি পশুর খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।

জেলার বন্যা কবলিত ৮ লক্ষাধিক মানুষের জন্য সরকারিভাবে ১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে সামান্য ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

এদিকে চলতি বন্যায় এ পর্যন্ত ১২ শিশুসহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।