লক্ষ্মীপুরের ডিসির বিরুদ্ধে নিউজ করা যাবে না!
'আমি জেলার সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। আমার বিরুদ্ধে কেন নিউজ করবেন? আপনারা আমার বিরুদ্ধে নিউজ করতে পারবেন না। হাজারো মানুষ আসে আমার কাছে। সবার কাজ করতে হবে তার কী মানে আছে? আমার বিরুদ্ধে তদন্ত আসলে সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। তদন্ত আসলেই যে আপনাদের নিউজ করতে হবে তার কোনো মানে নেই। আপনারা আমার বিরুদ্ধে নিউজ করতে পারবেন না।'
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জন চন্দ্রপাল গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন। এ সময় প্রায় ২০ মিনিট তার কক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এর আগে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিকদের ডিসির কক্ষে ডেকে নেন সহকারী কমিশনার মো. বনি আমিন।
জমির জমা খারিজ করিয়ে দিতে ঘুষ চাওয়া ও হয়রানি করার প্রতিবাদে এম এইচ এগ্রো পার্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে বিভাগীয় পরিচালক দীপক চক্রবর্তী নিজেই বুধবার লক্ষ্মীপুরে তদন্তে আসেন। এ নিয়ে সংবাদ পরিবেশনে তথ্যের জন্য জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা ডিসি অফিসে উপস্থিত ছিলেন।
ডিসি আরও বলেন, 'আপনারা কেউ ভুক্তভোগীর বক্তব্য নিতে পারবেন না। ওই ব্যক্তি চলে গেলে আপনারা আমার কক্ষ থেকে বের হবেন। উনি চলে গেলে আমি আপনাদের বক্তব্য দেব। বাইরেও আপনারা অভিযোগকারীর বক্তব্য নিতে পারবেন না। যদি বক্তব্য নিতে হয় অভিযোগকারী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাবে। আর আমার কার্যালয় এলাকায় আপনারা তার বক্তব্য নিতে পারবেন না। আর আমি চাইছি না, আপনারা তার বক্তব্য নেন। আপনারা আমার বিরুদ্ধে নিউজ করবেন এটাও আমি চাইছি না।'
অবরুদ্ধ সাংবাদিকরা হলেন- যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আনিস কবির, আমাদেরসময়ডটকমের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর লিটন, দৈনিক নবচেতনার প্রতিনিধি মো.সোহেল রানা, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-এর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট হাসান মাহমুদ শাকিল ও সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিনিধি ফরহাদ হোসেন।