ধারের টাকা আনতে গিয়েই খুন হন আলমগীর

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিহত ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন, ছবি: সংগৃহীত

নিহত ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন, ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন এক সঙ্গে ব্যবসা করে আসছিলেন আলমগীর হোসেন ও মেহেদি হাসান রুবেল। সেই সুবাধে আলমগীরের কাছ থেকে রুবেল ৬ লাখ টাকা ধার নেয়। ধারের টাকা আনতে গিয়েই খুন হন আলমগীর।

তিন লাখ টাকা দিয়ে বাকি টাকা দেওয়ার কথা বলে রুবেল একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় আলমগীরকে নিয়ে বিভিন্নস্থানে ঘোরাঘুরি করে। তাদের সাথে ফয়েজ নামে এক ভাড়াটে খুনিও ছিল। আর অটোরিকশার পেছনের সিটে রুবেল ও ফয়েজের মাঝখানে বসা ছিল আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

পরে দালালবাজার-রামগঞ্জ সড়কের মীরগঞ্জ এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় রুবেল হাত-পা চেপে ধরলে আলমগীরকে জবাই করে ফয়েজ। একপর্যায়ে আলমগীরের মরদেহ কাজিরদিঘীর পাড় এলাকার একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে চলে যায় তারা। এসময় তিন লাখ টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা পেশাদার কিলার ফয়েজকে দেয়া হয়। বাকি আড়াই লাখ টাকা রুবেল নিয়ে যায়। মূলত টাকা আত্মসাৎ করতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/23/1566553497981.jpg

বিজ্ঞাপন

হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ঘাতক রুবেলের আদালতে দেয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মোক্তার হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।

বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর হত্যার পরিকল্পনাকারী রুবেল ও অটোরিকশা চালক সাগরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল কাদের তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, ঘাতক রুবেল সদর উপজেলার পশ্চিমবটতলী এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ও সাগর দক্ষিণ মান্দারীর জামাল উদ্দিনের ছেলে। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সিএনজি ও আত্মসাৎ করা আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করেছে ডিবি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/23/1566553508820.jpg

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে পাওনা টাকা আনতে আলমগীর হোসেন সদর উপজেলার মান্দারীতে রুবেলের কাছে যায়। বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার কাজিরদিঘীর পাড় এলাকার একটি পুকুর থেকে ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত আলমগীরের ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত আলমগীর (৪৫) রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের সাইছা গ্রামের মৃত. বশির উল্যার ছেলে। তিনি রায়পুর পৌরসভার এলাকার তানহা কম্পিউটার দোকানের স্বত্ত্বাধিকারী।

আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার