বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান, খসে পড়ছে আস্তরণ
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯ নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের ১৪৮ নং গন্ধর্ব্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি ভবনে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আছে। পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট একটি পরিত্যক্ত ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চলে। যার মধ্যে একটি কক্ষ অফিস এবং বাকি ৪টি কক্ষ ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে একটি ভবনেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয়। বর্তমানে ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে যেকোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ২০১৮ সালে উপজেলা শিক্ষা অফিস ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। অথচ এ পরিত্যক্ত ভবনেই চলছে ক্লাস। প্রতিদিন খসে পড়ছে দেয়াল ও ছাদের আস্তরণ। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু আইয়ুব আনসারি ও রোমানা আক্তার জানায়, প্রতিদিন ক্লাসে প্রবেশ করতে ভয় লাগে। কারণ মাঝে মাঝে দেয়ালের আস্তরণ খসে শরীরের ওপর পড়ে। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা আহতও হয়।
প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘সব সময় ভবনটি ধসে পড়ার আতঙ্কে থাকি। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও কোনো সমাধান মিলছে না। আমরা একটি নতুন ভবন দেখতে চাই।’
বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি ও ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মদ হিরা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘স্কুল ভবনটি পুরাতন হওয়ায় দেয়ালের আস্তরণ খসে পড়ছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কোমলমতি শিশুদের কথা বিবেচনা করে সরকারের এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।’
হাজীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল সরকার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ভবনটি ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন ভবনের জন্য তালিকায় বিদ্যালয়টির নাম রয়েছে। তবে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ কবে শুরু হবে সে বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না।’