৩৬ বছর পর জমির মালিকানা নিয়ে টানাটানি



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ভবনটির জমি নিয়ে চলছে বিবাদ

ভবনটির জমি নিয়ে চলছে বিবাদ

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্মাণের ৩৬ বছর পর ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সোহাগী ইউনিয়নের সমাজসেবা গণমিলনায়তন কেন্দ্রের ভবন ও জমির মালিকানা নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। সমাজসেবা বিভাগ ও স্থানীয় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জমিটি নিজেদের বলে দাবি করায় এ টানাটানির সূত্রপাত।

সমাজসেবা কর্তৃপক্ষ জানায়, গণমিলনায়তন কেন্দ্রের ভবন থেকে তৎকালীন সময়ে ঋণ কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, সামাজিক কাজ, বিয়ের অনুষ্ঠানসহ সমাজসেবা বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হতো। কিন্ত র্দীঘদিন ধরে সমাজসেবা কর্তৃপক্ষ ভবনটি ব্যবহার না করায় এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এ অবস্থায় ভবনটি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করতে শুরু করে। কিন্ত সম্প্রতি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ভবনের জমি তাদের দাবি করায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। 

সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে ঈশ্বরগঞ্জের সোহগী ইউনিয়নের হাটুলিয়ায় গণমিলনায়তন কেন্দ্রের আধা পাকাভবন নির্মিত হয়। ১৯৮৫ সালে সমাজসেবা বিভাগের অগ্রগতি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, গণমিলনায়তন কেন্দ্রের ২০ শতাংশ জমিদাতা হলো জমির মালিক কুতুব উদ্দিন আনছারী ও অন্যান্য লোকজন।

কিন্তু ৩৬ বছর পর কুতুব উদ্দিন আনছারীর দাবি সমাজসেবার গণমিলনায়তন কেন্দ্রকে তিনি জমিদান করেননি। ১৯৯৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি জমিদান করেছেন হাটুলিয়া দারুচ্ছুন্নাহ এ এইচ বি দাখিল মাদ্রাসার নামে।

১৯৮০ সালে ঈশ্বরগঞ্জ-সোহাগী সড়কের ওপর হাটুলিয়া দারুচ্ছুন্নাহ এ এইচ বি দাখিল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদরাসায় ইবতেদায়ী শাখার মৌলভী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন কুতুব উদ্দিন আনছারী। তিনি ১৯৯৮ সালে মাদরাসার নামে পৃথক তিনটি দাগে ১০ শতক জমিদান করেন।

তবে সমাজসেবা বিভাগের দাবি মাদরাসাকে যে জমি কতুব উদ্দিন দান করেছেন সেটি তাদের। মাদরাসার নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জায়গার প্রয়োজন হওয়ায় গণমিলনায়তন কেন্দ্রের ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু হলে বিষয়টি নজরে আসে। উদ্ধুত পরিস্থিতিতে উপজেলা সমাজসেবা বিভাগ ভবনটি ভাঙতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এর মধ্যে ১৪ সেপ্টেম্বর সেখানে নতুন ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।

মাদরাসার সুপার মোস্তফা কামাল বলেন, এখানে যোগদানের পর থেকেই দেখছি ভবনটি মাদরাসা ব্যবহার করছে। জমিটিও মাদরাসার নামে, যার কাগজপত্র আছে। কিন্তু সমাজসেবা বিভাগ ভবনটি নিজেদের দাবি করছে।

এ বিষয়ে কুতুব উদ্দিন আনছারী বলেন, আমি সমাজসেবাকে কোন জমিদান করিনি। মাদরাসার নামে জমিদান করেছি।

সমাজসেবার গণমিলনায়তন কেন্দ্রটি কিভাবে নির্মিত হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে কুতুব উদ্দিন বলেন, অনেকদিন আগের কথা, বিষয়টি এখন মনে করতে পারছি না।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মিজানুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ২০ শতক জমি কুতুব উদ্দিন আনছারীর শাশুড়ি আজিজ খাতুনসহ ৬ জন দান করে দলিল করে দেন। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে তাই সব বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;