৯ বছর পর নিখোঁজ তরুণী যেভাবে ফিরে পেলেন বাবা-মা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা টোয়েন্টিফোর.কম, নোয়াখালী
৯ বছর পর নিখোঁজ তরুণী ফিরে পেলেন বাবা-মা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

৯ বছর পর নিখোঁজ তরুণী ফিরে পেলেন বাবা-মা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিখোঁজের ৯ বছর পর নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার এক তরুণী ফিরে পেলেন তাঁর বাবা-মাকে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস আনুষ্ঠানিকভাবে ওই তরুণীকে তাঁর বাবা মায়ের কাছে তুলে দেন।

এ উপস্থিত ছিলেন নিখোঁজ তরুণীর বাবা-মা এবং চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা ।

ঘটনা শুরু যেভাবে

১৯ বছরের তরুণী শিরিন আক্তার সেলিনা, নোয়াখালী জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেয়ে। বাবা পেশায় একজন জেলে। মা গৃহিণী। চার বোন ২ ভাই নিয়ে তাদের সংসার। আজ থেকে ৯ বছর আগে বাবা প্রতিদিনের মতো সাগরে মাছ ধরতে যান। সাগরের মাঝখানে তিনিসহ অন্য জেলেরা ডাকাতের কবলে পড়েন।

এ সময় সবার মতো শিরিনের বাবাও নিখোঁজ ছিলেন প্রায় ৮ দিন। এরমধ্যেই ঘটে শিরিন ট্রাজেডি। শিরিন থাকতো তার নানীর কাছে (বেড়াতে যাওয়ার সূত্রে)। নানীর অসুস্থতার কারণে তাঁর সাথেই ছিল শিরিন। স্বজনদের কাছ থেকে শিরিন জানতে পারে তার বাবা নিখোঁজ, সবাই বলতে থাকে ডাকাতের দল তার বাবাকে মেরে ফেলেছে। আর এই খবর শুনে মাও স্ট্রোক করে মারা গেছে। ছোট্ট শিরিন নিজেকে খুব অসহায় মনে করে কান্নাকাটি শুরু করে। এর মধ্যে বড় জেঠার সাথে নানীর চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে যায় শিরিন।

হাসপাতালে নানীর চিকিৎসা করানো অবস্থায় শিরিন হারিয়ে ফেলে তার নানী ও জেঠাকে। কান্নাকাটির এক পর্যায়ে অপরিচিত এক নারীর খপ্পরে পড়ে শিরিন। নারীর প্রশ্নের জবাবে শিরিন তার বাবা-মায়ের মৃত্যুর কথা জানায়। এরপর ওই নারী শিরিনকে তার নানীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায় চট্টগ্রামের হালিশহরে। সেখানে একটি বাসায় নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে শিরিনকে একটি বাসায় কাজের মেয়ে হিসেবে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে চলে যান ওই নারী। অনেক কান্নাকাটির পর শিরিন বাবা-মায়ের মৃত্যুর কারণে অসহায়ত্ব মেনে নিয়ে কাজ করতে থাকে সেই বাসায়। কিছুদিনের মধ্যেই কারণে, অকারণে, একটু ভুল হলেই অকথ্য নির্যাতন শুরু করে বাসার লোকজন। এমনকি তাদের সন্তানরাও শিরিনকে নানানভাবে শারীরিক নির্যাতন করতো।

এভাবে প্রায় ৩ বছর সেই বাড়িতে থাকাবস্থায় শরীরে নির্যাতনের বহু ক্ষত নিয়ে পালিয়ে আসে শিরিন। সারাদিন অভুক্ত কিশোরী শিরিনের বয়স তখন মাত্র ১৩ বছর। ১০ বছর বয়সে হারিয়ে যাওয়া শিরিন ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই বাসা থেকে পালিয়ে যায়। নানান জনের কাছে সাহায্য চেয়েও পায়নি সে কোন সাহায্য। এক রাতে সন্দ্বীপের অধিবাসী হালিশহরের স্বপ্না বেগমের বাসায় যায় শিরিন। কান্নাকাটি করে শুধুমাত্র রাতে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আকুতি জানায়। কোমল হৃদয়ের স্বপ্না এক পর্যায়ে কিছু না ভেবেই মানবিক কারণে সেই রাতে শিরিনকে আশ্রয় দেয়। পরের দিন স্বপ্না বেগমের পরিবার স্বপ্নার সাথে এই বিষয়ে অশান্তির সৃষ্টি করে।

তাদের মতে, জানা নাই, পরিচয় নাই- এমন একটি মেয়েকে ঘরে কাউকে না জানিয়ে রাখাটা বিপদ ডেকে আনা। স্বপ্না শিরিনের বিষয়টি সবাইকে বোঝায় এবং তার শারীরিক অবস্থার বিষয়টি অবগত করে। সারা শরীরে অকথ্য নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে থাকা শিরিনকে স্বপ্না বেগমের পরিবারের সিদ্ধান্ত মতে স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। করা হয় সাধারণ ডায়েরি। এরপর থানা কর্তৃপক্ষের অনুরোধ এবং অসুস্থের কথা বিবেচনা করে শিরিনকে স্বপ্না বেগম নিয়ে আসেন নিজের ঘরে। এভাবে দুই-তিনদিন থাকার পর স্বপ্নার বড় বোন সানোয়ারা বেগম (৪৫) ও তাঁর স্বামী দিদারুল আলম শিরিনকে মানবিক কারণে নিজের বাড়িতে (আকবরশাহ থানাধীন বিশ্ব কলোনীতে) নিয়ে যান। সেই থেকে নিজের মেয়ের মতোই শিরিনকে পড়ালেখা করানো থেকে শুরু করে সব কিছুই করেছেন তিনি তাকে বড় করেছেন খুবই যত্নের সাথে। গত জুন মাসে মহা ধুমধাম করে নিজের পেটের মেয়ের মত করেই শিরিনকে বিয়ে দেন তারা।

দীর্ঘ এই সময়ে তারাও চেষ্টা করেছেন শিরিনের পিতৃপরিচয় এবং তার পরিবারকে খুঁজে পেতে। ব্যর্থ হয়ে সেই আশা ছেড়ে দেন তারা। শিরিন তাদের মেয়ে হিসেবেই জীবন-যাপন করতে থাকে। অন্যদিকে শিরিনের প্রকৃত বাবা-মাও মেয়েকে খুঁজে ফিরেছেন বহু জায়গায়। তবে শিরিনের আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের মতে-শিরিন হয়তো সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে, হয়তো সে আর বেঁচে নেই- এমন সব কথার কারণেই এক পর্যায়ে শিরিনকে পাওয়ার আশা ছেড়ে দেন তার বাবা-মা। শিরিন নিখোঁজের ৪ দিন পর তার বাবা ডাকাতের কবল থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন। সবকিছু মিলিয়ে শিরিনদের সংসারে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

এদিকে একটি সংবাদ পরিবেশনের সূত্র ধরে সেই পরিবারটি গত জুন মাসের শুরুর দিকে আসেন চট্টগ্রামে সুবিধাবি শিশু-কিশোর-কিশোরীদের জীবনমান উন্নয়ন ও পুনর্বাসনে কর্মরত জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগঠন ভোরের আলো’র অফিসে। প্রতিষ্ঠানটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান মাসিক কাট্টলী বার্তায় একটি সংবাদের কারণে তাদের এই অফিসে আসা। সেটি সমাধানের এক পর্যায়ে কাট্টলী বার্তা’র প্রধান সম্পাদক ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগঠন ভোরের আলো’র প্রতিষ্ঠাতা মো. শফিকুল ইসলাম খানকে শিরিনের বিষয়টি অবগত করেন এবং তার পরিবারকে একটু খুঁজে দেওয়ার অনুরোধ করেন সানোয়ারা-দিদারুল আলম দম্পতি।

প্রথম দিকে বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব না দিলেও শফিকুল ইসলাম খান যেহেতু শিশু-কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে কাজ করেন, তিনি শিরিনের পরিবারকে খুঁজে পেতে কাজ শুরু করেন। গত ২৬ জুন তিনি নোয়াখালীর হাতিয়ায় জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজের স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম মাছুমকে অনুরোধ করেন এই বিষয়ে। এছাড়াও মাসিক কাট্টলী বার্তা ও ভোরের আলো শিরিনের পরিবারকে খুঁজে বের করার নানান প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে।

প্রায় এক মাস পর আগস্টে ভোরের আলো’র প্রতিষ্ঠাতা উন্নয়ন কর্মী, সংগঠক ও সাংবাদিক মো. শফিকুল ইসলাম খান হাতিয়ায় শিরিনের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন। স্থানীয় প্রবীণ সাংবাদিক জনাব মোস্তফা সাহেব স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন শিরিনের বাবা- মা ও অন্যান্য ভাই-বোনেরা সবাই বেঁচে আছেন। এরপরই শিরিনের পরিবার অর্থাৎ বাবা আবুল কাসেম (৪৭) এবং মা ফাতেমা খাতুন (৪২) কে চট্টগ্রামে ভোরের আলো অফিসে ডাকা হয়। তাদের কাছে থাকা শিরিনের (প্রকৃত নাম সেলিনা আকতার) ছবি ও জন্ম নিবন্ধন কপি পাওয়া যায় যা সঠিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়া শিরিনও তার বাবা-মাকে চিনতে পারেন।

নানান আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের অংশ হিসেবে পৃথকভাবে শিরিনকে লালন-পালনকারী পরিবার, শিরিনের শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীকে, শিরিনের প্রকৃত মা-বাবাকে নোয়াখালী থেকে ভোরের আলো অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। সব কাগজপত্র ও প্রমাণাদির সমীকরণ মিলিয়ে প্রমাণ হয় শিরিনের মা-বাবা তারাই।

দীর্ঘ ৯ বছর বাবা-মায়ের হারিয়ে যাওয়া কিশোরী (বর্তমানে তরুণী) শিরিন আক্তার সেলিনাকে তার প্রকৃত মা-বাবার হাতে তুলে দেওয়ার সন্ধিক্ষণে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;