নাটোরে হত্যা মামলার ৬ আসামির জমি চাষাবাদে নিষেধাজ্ঞা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নাটোর
জমি চাষ করতে না দেওয়া কৃষক ও পরিবারের সদস্যরা, ছবি: সংগৃহীত

জমি চাষ করতে না দেওয়া কৃষক ও পরিবারের সদস্যরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের সিংড়ায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে বড় ভাই আলমগীর হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ছয় কৃষক পরিবারের ১৫০ বিঘা জমি চাষাবাদে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ছোট ভাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য কামাল হোসেন।

জানা যায়, তার হুমকির মুখে অভিযুক্তরা নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। নিজ জমিতে চাষাবাদ করতে না পারায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে তাদের পরিবার।

এই বিষয়ে কামাল হোসেন বলেছেন, 'গ্রামে আমাদের নির্দেশই আইন'। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে গ্রাম প্রধানদেরও দাবি, গ্রামের 'গুটি কয়েক' কৃষকের সামান্য জমি চাষাবাদ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সামাজিকভাবেই নেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের ছোট বাঁশবাড়িয়া এলাকায় স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেনের সঙ্গে স্থানীয় মৃত তমিজ উদ্দিনের ছয় ছেলের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জেরে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি উভয় পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কামাল হোসেনের বড় ভাই আলমগীর হোসেন নিহত হন। আলমগীর হত্যা মামলায় তমিজ উদ্দিনের ছয় ছেলে সহ ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এ ঘটনার জেরে তমিজ উদ্দিনের ছয় ছেলের বাড়ি ঘরে লুটপাট করে তাদের গ্রাম ছাড়া করে কামালের সমর্থকরা। অভিযুক্ত তমিজ উদ্দিন ছয় ছেলে জামিনে বেরিয়ে এলেও তাদের এলাকায় ঢুকতে দেয়নি। বর্তমানে গ্রামের বাইরে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন পার করছেন তাদের পরিবারগুলোর সদস্যরা। এছাড়া ৬ ভাইয়ের প্রায় দেড়শ বিঘা জমিতে চাষাবাদে স্থানীয়ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারির পর বোরো ও আমন মৌসুমে চাষ করতে পারেননি তারা। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে জানালেও প্রতিকার পাচ্ছেন না।

নাটোরে হত্যা মামলার ৬ আসামির জমি চাষাবাদে নিষেধাজ্ঞা

এদিকে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে ছোট বাঁশবাড়িয়া এলাকায় এলাকায় গিয়ে ছয় কৃষকের বাড়িতে লুটপাটের চিহ্ন দেখা যায়। তবে ঘটনা জানতে চাওয়া হলে কামাল ও তার সমর্থকদের ভয়ে কেউ কথা বলতে চাননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, আলমগীর হত্যা মামলায় মোট ৩৬ জন আসামি থাকলেও ঘটনার পর থেকে কামাল মেম্বারের লোকজন তমিজ উদ্দিনের ছেলেদের গ্রামে ফিরতে দিচ্ছেন না। তবে মোটা অংকের টাকা দিয়ে অন্য আসামিরা গ্রামে ফিরেছেন। উল্টো কামাল মেম্বার ও তার সমর্থকরা গ্রাম প্রধানদের দিয়ে তমিজের ছেলেদের বিরুদ্ধে কবরস্থানের জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন।

স্থানীয় গ্রাম প্রধান মিজানুর রহমান ও ফোরকান আলী বলেন, 'গ্রামে গুটি কয়েক কৃষকের সামান্য জমি চাষাবাদ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সামাজিকভাবেই নেওয়া হয়েছে। এটা কারও একক সিদ্ধান্ত নয়। কারণ ওই কৃষকেরা কবরস্থানের সোয়া বিঘা জমি দখল করে রেখেছে। এই জমি না ছেড়ে দিলে তাদেরকে জমিতে যেতে দেওয়া হবে না।'

তমিজ মিয়ার ছেলে ভুক্তভোগী কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, 'মেম্বার কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বাড়িতে তাণ্ডব-লুটপাট চালানো হয়। লুটে নেয়া হয়েছে ৯টি শ্যালো মেশিন, মোটর ও পুকুরের মাছ। গত দুই মৌসুম ধরে অনাবাদি রয়েছে বিলের ১৫০ বিঘা ধানের জমি।'

আরেক ভুক্তভোগী কৃষক লাবু মিয়ার স্ত্রী শাহানাজ বেগম জানান, তাদের ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের লোকদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। তারা খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, তিনি বিষয়টি অবগত ছিলেন না। তবে তিনি খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান ।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো জানান, আবেদনটি তার নজরে আসেনি। তবে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি হয়েও একজন ইউপি সদস্য নিজস্ব কোনো আইন প্রচলন বা চর্চা করতে পারেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;