একজন শিক্ষক চালাচ্ছেন স্কুলটি!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বরগুনা
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ক্লাস নিচ্ছে দ্বিতীয় শ্রেণিতে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ক্লাস নিচ্ছে দ্বিতীয় শ্রেণিতে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তালতলী উপজেলার কাজিরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি চালাচ্ছেন মাত্র একজন শিক্ষক। তিনি কোনোভাবে টিকিয়ে রেখেছেন সব শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম। অনেক সময় ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে ২য় শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হয়। এতে করে শিক্ষার গুণগতমান অর্জন তো দূরের কথা, নামমাত্র শিক্ষাও পাচ্ছে না এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন বলছেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ায় অল্প দিনের মধ্যেই বিদ্যালয়গুলোতে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

বিদ্যালয়টিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুল ক্লাস করাচ্ছেন ২য় শ্রেণিতে। এই ক্লাস শেষ করে তাকে পড়াতে হবে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। কারণ বিদ্যালয়টিতে ৫ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন সহকারী শিক্ষক। তবে তিনিও নিয়মিত স্কুলে আসেন না। তাই দীর্ঘদিন ধরে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাই পাঠদানের দায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন এ বিদ্যালয়টিতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাজিরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি তালতলী উপজেলার বড় বগী ইউনিয়নের কাজিরখাল গ্রামে অবস্থিত। গত দেড় বছরের ধরে বিদ্যালয়ে রয়েছেন মাত্র একজন শিক্ষক। আর স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪৯ জন। স্কুল ভবনটি বেশ সুন্দর। সাইক্লোন শেল্টার কাম স্কুল ভবন নকশায় নির্মিত স্কুলটির শ্রেণি কক্ষগুলো বেশ সাজানো। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে ২০১৫ সালে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টিতে সবই আছে, শুধু নেই শিক্ষক। শিক্ষক সংকট এ বিদ্যালয়ের একটি মারাত্মক সমস্যা। উপজেলা সদর থেকে তুলনামূলকভাবে দুর্গম এলাকায় স্কুল হওয়ায় কোনো শিক্ষকই এখানে বেশিদিন থাকেন না। এ কারণে শিশুদের পড়াশোনা নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় অভিভাবকদের। শিক্ষার গুণগতমান অর্জন তো দূরের কথা নামের শিক্ষা পায় না এখানকার শিক্ষার্থীরা।

স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবেল, সাথী, স্বপ্না, মুক্তা ও বেল্লালসহ বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানায়, স্যার যখন এক ক্লাসে পাঠদান করান তখন অন্য ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের বসে থাকতে হয়। স্যার একা প্রতিদিন সব ক্লাস নিতে পারেন না।

কাজিরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
কাজিরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি তালতলী উপজেলার বড় বগী ইউনিয়নের কাজিরখাল গ্রামে অবস্থিত, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সারমিনের মা পারুল বেগম বলেন, স্কুলে শিক্ষক নেই। তাই মেয়ের পড়াশোনা তেমন হচ্ছে না। অন্য স্কুল দূর হওয়ায় সেখানে দেওয়াও সম্ভব না। দেড় বছর ধরে শুনছি নতুন শিক্ষক আসবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষক আসে নাই। মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ইদ্রিসুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের পাঠদান ছাড়াও সব রকমের দাপ্তরিক কাজও তাকে করতে হয়। তিনি আরও বলেন আমার একার পক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের মানসম্মত শিক্ষ দেওয়া সম্ভব না। অনেক সময় শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও পাঠদান করাতে হয়।

বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকটের কথা আমার জানা আছে। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ায় অল্পদিনের মধ্যে বিদ্যালয়গুলোতে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করবো।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;