টানা বর্ষণে সাদুল্লাপুরে রাস্তার বেহাল দশা, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা



তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোন্টেফোর.কম, গাইবান্ধা
কর্দমাক্ত রাস্তায় স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কর্দমাক্ত রাস্তায় স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় বর্ষাকালে বৃষ্টির দেখা না মিললেও, শরতে এসে হাজির হয়েছে কালো মেঘের অবিরাম বর্ষণ। আশ্বিনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দিন-রাত ঝরছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। টানা বর্ষণের কারণে সাদুল্লাপুর উপজেলার কাঁচা রাস্তাগুলো হাটু কাঁদায় পরিণত হয়েছে। ফলে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষদের ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাদুল্লাপুর উপজেলায় গত এক সপ্তাহ ধরে অবিরত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টির কারণে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা দেখা দিয়েছে।

দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় জেলার অন্যান্য উপজেলার কাঁচা রাস্তাগুলো পাকাকরণ হলেও, অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে জামালপুর ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তাগুলো। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বৃষ্টিতে হাটু কাঁদায় পরিণত হয়েছে এ রাস্তা। যা একদমই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষ করে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মন্ডলের বাড়ি সংলগ্ন মোংলাবন্দর থেকে উত্তর দিকে মুনছুর আলীর বাড়ি হয়ে হামিদ মন্ডলের ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা গ্রামীণ রাস্তা বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে কিছু ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে শত শত গর্ত দেখা দিয়েছে। সেই সাথে অতিরিক্ত কাঁদা হওয়ায় তা মানুষের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ছোট খাটো যানবাহন চলাচলে হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। সেই সাথে শিক্ষার্থীরাও স্কুলে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। এমন কি পায়ে হাঁটাচলাও দুস্কর হয়ে পড়েছে। যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।

এছাড়াও বড় জামালপুর চৌধুরী বাজারের পশ্চিম গেইট থেকে জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হয়ে রজিবনগর দিয়ে শ্রীকলা মাদরাসা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটিতেও একটু বৃষ্টি হলেই কাঁদার ঢেউ বইতে থাকে। যার ফলে এই এলাকার কয়েক গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ ও শিক্ষার্থীরা চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

জানা গেছে, জামালপুর ইউনিয়নের বড় জামালপুর গ্রামে একই স্থানে ৪ টি স্কুল, কলেজ, ভূমি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ, মসজিদ, মাজার ও ক্লিনিকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের প্রধান সড়ক এটি। সেই সড়কটির এমন করুণ দশা যা বলা বাহুল্য। একটু বৃষ্টি হলে নেমে আসে দুর্বিসহ জীবনযাপন।

শিক্ষার্থীরা পিছলে পড়ে বই ব্যাগসহ ভিজতে দেখা গেছে। সাধারণ জনগণ সাইকেল, মোটরবাইক ও অটোভ্যানে করে যাওয়ার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল হোসনা মীম বলেন, আমি স্থানীয় খোর্দ্দ রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ি। কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে রাস্তায় অতিরিক্ত কাঁদা হয়েছে। তাই স্কুলে যেতে মন চায় না।

ভুক্তভোগী শামীম মিয়া জানান, ওই রাস্তার কাঁদাপানিতে চলতে গিয়ে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছি। এ রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জামালপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ফকির বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমাদের সরকার উন্নয়নশীল সরকার দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু কিছু অসাধু স্বার্থপর কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধির উদাসীনতার কারণে জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মন্ডল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, এ পরিষদের আওতাধীন কাঁচা সড়কগুলো পাকাকরণে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;