পেয়াঁজের ঝাঁজ বাড়ছে মিয়ানমারেও, আমদানি কমার আশঙ্কা



নুরুল হক, উপজেলা করেসপেন্ডেন্ট, বার্তাটোয়ান্টিফোর.কম, টেকনাফ (কক্সবাজার)
টেকনাফ স্থলবন্দরে আসা মিয়ানমানের পেঁয়াজ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

টেকনাফ স্থলবন্দরে আসা মিয়ানমানের পেঁয়াজ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পেঁয়াজের দাম বাড়ছে মিয়ানমারেও। সে তুলনায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাড়তি দাম কমতে শুরু করেছে। এতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, শুরুতে মিয়ানমারে পেয়াঁজের প্রতি টনের দাম ছিল ৪১০ ডলার। এখন তা বেড়ে ৬০০ ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে।

এসব বিষয় তুলে ধরে টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানিকারক এমএ হাশেম, যদু চন্দ্র দাশ ও শওকত আলম বলেন, ‘মিয়ানমারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম, কিন্তু দেশের বাজারে দাম কমছে। এতে ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। বিষয়টি কতৃর্পক্ষের চিন্তা করা প্রয়োজন।

তারা আরও বলছেন, স্থানীয় প্রশাসন যেভাবে পেয়াঁজের দাম নির্ধারণ করছে, তাতে পেয়াঁজ আমদানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি।

শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে ৮০৩ দশমিক ৭৯৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। খালাসকৃত পেয়াঁজ ট্রাক ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে। তবে খালাসের অপেক্ষায় নাফ নদীতে আরও ৭৪২ দশমিক ৫২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বোঝাই জাহাজ ও ট্রলার অপেক্ষায় রয়েছে। বন্দরে পর্যাপ্ত শ্রমিক ও অবকাঠামোর অভাবে এসব পেয়াঁজ খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

তবে চলতি মাসের তিন দিনে ১ হাজার ৯৫৮ দশমিক ২৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। এছাড়া গত সেপ্টেম্বর মাসে খালাস হয়েছে ৩ হাজার ৫৭৩ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এতে বিপুল পরিমাণ পেয়াঁজ আমদানি হলেও স্থানীয় বাজারে দাম সহনীয় পর্যায়ে আসছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এদিকে, টেকনাফ বাজারে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেয়াঁজ ৮০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকার পেঁয়াজের দাম কমিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসছে না। জেলায় বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনশীল রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও টেকনাফ বাজারে অভিযানের ছোঁয়া এখনো লাগেনি। বাজারগুলো মনিটরিং না করলে পেয়াঁজের দাম আরও কমার সম্ভবনা নেই বলে জানায় স্থানীয় লোকজন।

খুচরা কাচাঁ মালামাল বিক্রেতা মো. ফায়সাল বলেন, ‘আমরা ৬৫ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনে এনে ৭০ টাকা বিক্রি করছি। এর চেয়ে কম দামে বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে।

টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ৮০৩ দশমিক ৭৯৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করে দেশের বিভিন্ন জায়াগায় পাঠানো হয়েছে। পেয়াঁজের সংকট মোকাবিলায় আরও আমদানি বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে পেয়াঁজ দ্রুত খালাস করতে বন্দর কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;