ধসে পড়ার শঙ্কায় গৌরীপুরের শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের গ্যালারি



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
বেহাল অবস্থায় শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের গ্যালারি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বেহাল অবস্থায় শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের গ্যালারি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের দর্শক গ্যালারি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ গ্যালারিটি এখন কোনোমতে দাঁড়িয়ে আছে। যেকোনো সময় গ্যালারিটি ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গ্যালারিতে বসে দর্শকদের খেলা উপভোগ করতে কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ দর্শক সেটা মানেন না। ফলে যেকোনো মুহূর্তে গ্যালারি ধসে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ সালে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি তহবিলের অর্থায়নে স্টেডিয়ামের গ্যালারিটি তৈরি করা হয়। দীর্ঘ ৩৬ বছরের মধ্যে বিভিন্ন সময় সরকারের পালাবদল হয়েছে। কিন্তু স্টেডিয়ামের গ্যালারির কোনো ধরনের সংস্কার হয়নি।

সরেজমিন দেখা যায়, স্টেডিয়ামের গ্যালারিটির নিচের অংশ মাটিতে দেবে গেছে। পলেস্তারা খসে বেরিয়ে এসেছে রড। গ্যালারির তৃতীয় ও চতুর্থ সিঁড়ির অর্ধেক অংশ ভেঙে পড়ে গেছে। ছাদসহ গ্যালারির প্রথম, দ্বিতীয় ও পঞ্চম সিঁড়ির বিভিন্ন জায়গায় কয়েক মিটার লম্বা কংক্রিটের অংশ ধসে পড়ে গিয়ে বড় সুরঙ্গের মতো সৃষ্টি হয়েছে। পিলারগুলোর অবস্থা আরও নাজুক। বিভিন্ন অংশে দীর্ঘ ফাটলসহ প্রতিদিনই গ্যালারির ছাদের পলেস্তার ও কংক্রিটের বিভিন্ন অংশ খসে পড়ছে। সংস্কারের অভাবে ভেঙ্গে পড়ছে স্টেডিয়ামের সীমানা প্রাচীরের বিভিন্ন অংশ।

এলাকাবাসী জানান, প্রতি বছর এই স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ প্রদর্শনী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ফুটবল, ক্রিকেট, হা-ডু-ডু টুর্নামেন্টসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বড় বড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তখন স্টেডিয়ামের গ্যালারি দর্শকের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এসময় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও অনেকটাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দর্শকরা গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করেন।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সুপ্রিয় ধর বাচ্চু বলেন, যথাযথ মেরামত ও সংস্কারের অভাবে গ্যালারির অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অবিলম্বে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে খেলা চলাকালীন গ্যালারি ধসে পড়ে দর্শকদের প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা করিম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় স্টেডিয়ামের গ্যালারি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। নতুন দর্শক গ্যালারী নির্মাণের প্রস্তাবনাও সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;