কক্সবাজারে নকশাবহির্ভূত ২৪৮ ভবন, নোটিশে সীমাবদ্ধ কর্তৃপক্ষ



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কক্সবাজার
কক্সবাজারে গড়ে ওঠা ভবন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কক্সবাজারে গড়ে ওঠা ভবন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে নকশাবহির্ভূত দালান নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। তবে মানা হচ্ছে না কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) নির্দেশনা। এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারী ভূমি মালিকরা, তবে বেপরোয়া আবাসন কোম্পানিগুলো।

অভিযোগ আছে, কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার প্রশ্রয়ে বাড়ির মালিক ও নির্মাতারা ধরাকে সরা জ্ঞান করেন। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ নামমাত্র তদারকি করে। ফলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ছে। কারণ, ভূমিকম্প বা দুর্যোগে এসব ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে। আর অগ্নিকাণ্ড বা অন্য কোনো সমস্যা হলে তা নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন হবে।

ভবন নির্মাণ-সংক্রান্ত নীতিমালায় উল্লেখ আছে- প্লটের আকৃতিভেদে ৬-১০ তলা পর্যন্ত বাড়ি, আবাসিক ভবন, শিল্প-কারখানাসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন নির্মাণ করতে হলে দু’পাশে ও পেছনে নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা খালি রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে ৩ কাঠা প্লটের জন্য পেছনে ও দু’পাশে সাড়ে ৩ ফুট, ৪ কাঠার জন্য পেছনে ৫ ফুট ও দু’পাশে সাড়ে ৩ ফুট এবং ২০ কাঠা কিংবা তার বেশি জায়গার জন্য পেছনে ৭ ফুট এবং দু’পাশে সাড়ে ৪ ফুট করে জায়গা ছাড়তে হবে। যাতে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু কউক অনুমোদিত ভবন নির্মাণে এ নীতিমালার কিছুই মানা হয়নি।

কউক সূত্রে জানা গেছে, কার্যক্রম শুরুর পর থেকে শহরের ২৪৮টি ভবনের নকশা অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি। কিন্তু ভবন মালিকরা কোনো নিয়ম মানেননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কউক’র একজন কর্মকর্তা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘অতিরিক্ত মুনাফার আশায় মালিকরা জমি ছেড়ে ভবন নির্মাণ করছেন না। ভবনে আলো-বাতাস-অক্সিজেন প্রবেশের চিন্তা করা হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে কউক’র অনুমোদিত অন্তত দুই শতাধিক ভবন ধসে পড়বে। আর ভবন ধস ও আগুন লাগলে যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে। ভবন-মালিকরা এসব বিষয়ে ভাবেন না। ফলে দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছে। এসব কাজে অবশ্য কউক’র কর্মকর্তারাও জড়িত থাকতে পারেন।’

নগর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভবন নির্মাণে যারা নকশা করেন তাদের নীতি-নৈতিকতার অভাব রয়েছে। কারণ, ভবন নির্মাণে অনুমতির জন্য এক ধরনের নকশা থাকে এবং ভবনের জন্য আরেক ধরনের নকশা থাকে। এ দুটি বিষয় প্রকাশ্যে আসলে দুর্নীতি কমবে। তবে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণে জড়িতদের শাস্তি ও জরিমানার আওতায় আনা উচিত।

এ বিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া একটি ভবনেও নির্দেশনা মানা হয়নি। তাই তাদেরকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যারা নিজেদের সংস্কার করে নিচ্ছে তাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আর যারা নোটিশও মানবেন না তাদের ভবনের নকশা বাতিল করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;