আতঙ্কে স্কুলে যাচ্ছে না সাঁওতাল পল্লীর শিশুরা



গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা টোয়েন্টিফোর.কম, বগুড়া
বিদ্যালয়ের সামনে সাহেবগঞ্জ সাঁওতাল পল্লীর শিশুরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বিদ্যালয়ের সামনে সাহেবগঞ্জ সাঁওতাল পল্লীর শিশুরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাহেবগঞ্জ (বাগদা) সাঁওতাল পল্লী থেকে: হামলার আতঙ্কে বিদ্যালয়ে যেতে চাচ্ছে না গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ সাঁওতাল পল্লীর শিশুরা। ফলে শিক্ষার আলো থেকে তাদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে।

জানা গেছে, সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম চত্বরে অবস্থিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে সুগার মিলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানরা। ২০১৬ সালের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে তারা একে অপরকে প্রতিপক্ষ মনে করে। স্কুলে গেলে তাদের ওপর হামলা হতে পারে। এই আতঙ্কে স্কুলে যেতে চায় না তারা।

স্কুলে যেতে না চাওয়ার অবশ্য আরো একটি কারণ রয়েছে। সেটি হলো দূরত্ব। বাগদা ফার্ম চত্বরে যে স্কুল সেটি সাঁওতাল পল্লী থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে। সাপমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে আরো একটি স্কুল থাকলেও সেটি সাঁওতাল পল্লী থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। ভ্যান ও রিকশা চলাচলের মত কোন রাস্তা না থাকায় শিশুরা পায়ে হেঁটে দূরের স্কুলে যেতে চায় না।

উপায় না দেখে সাঁওতাল পল্লীর বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে একটি স্কুল গড়ে তুলেছে। কিন্তু তেমন কোন আসবাবপত্র নেই, টিনের একটি ঘরে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।

স্কুলে দেড় শতাধিক সাঁওতাল শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা দিচ্ছেন চারজন শিক্ষক। বিনা বেতনে কর্মরত এই চারজন শিক্ষক স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছেন ভবিষ্যতে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশায়।

এমন পরিস্থিতি সাঁওতাল শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করতে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি গড়ে তোলেন শ্যামল-মঙ্গল-রমেশ স্মৃতি বিদ্যা নিকেতন ও ফুলমনি সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র।

বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

এই প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল ফুলমনি সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র। এখানে আদিবাসীদের মাতৃভাষা এবং তাদের সংস্কৃতি চর্চা করা হতো। ২০১৬ সালে সাঁওতাল পল্লী উচ্ছেদের সময় এই প্রতিষ্ঠানটিও পুড়িয়ে দেয়া হয়।

এর আগে সাঁওতাল শিশুরা বাগদা ফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো। পরে তারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে পুলিশের গুলিতে নিহত তিনজনের নামে চালু করা হয় শ্যামল-মঙ্গল-রমেশ স্মৃতি বিদ্যা নিকেতন ও ফুলমনি সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র। এখানেই দেড় শতাধিক সাঁওতাল শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। কিন্তু তেমন কোন আসবাবপত্র নেই, টিনের একটি ঘরে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।

শিক্ষক রয়েছেন মাত্র চারজন। বিনা বেতনে কর্মরত এই চারজন শিক্ষক স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছেন ভবিষ্যতে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশায়।

শ্যামল-মঙ্গল-রমেশ স্মৃতি বিদ্যা নিকেতনের বাঙালি শিক্ষিকা বদরুন্নাহার বৃষ্টি বলেন, নিরাপত্তার শঙ্কায় এসব শিশুরা বাইরের স্কুলে যেতে চায় না। এসব শিশুরা যাতে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিন্তু তাদের শিক্ষার জন্য কোন সরকারি সাহায্য সহযোগিতা নেই। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে মাঝেমধ্যে কিছু সহযোগিতা পাওয়া যায়। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন

 

তিনি বলেন, এসব শিশুদের পরিবারে খাদ্যের চরম অভাব, সেখানে পড়াশোনার খরচ বহন করাটা খুবই কষ্টসাধ্য। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলে খুব ভালো হতো।

অভিভাবক অলিভিয়া হেমব্রম বলেন, সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে শিক্ষিত করতে চাই। কিন্তু দারিদ্রতা আর প্রতিকূলতার কারণে সন্তানদেরকে লেখাপড়া করানো যাচ্ছে না।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার হামিদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি। সাঁওতাল পল্লীর শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমার জানা নেই। আমি সেখানে যাবো এবং শিশুগুলো যেন পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আদিবাসীদের শিক্ষা, জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করছেন বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর নজরুল ইসলাম। তিনি বার্তা টোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সামগ্রিক আদিবাসীদের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই নাজুক। বাঙালিরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারলেও আদিবাসীদের যে মাতৃভাষা, সেই চর্চা তারা করতে পারছে না। ভাষার আগ্রাসনে ধীরে ধীরে তাদের নিজ ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। একটা সময় এই ভাষাটাও হারিয়ে যাবে। এটা শুধু ওদের ক্ষতি নয়। ক্ষতিটা আমাদেরও। কারণ এতে করে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ সাঁওতাল পল্লীর আড়াই হাজার পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। সেই সময় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় আদিবাসীদের ঘর-বাড়ি, গবাদিপশু এমনকি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও। এসময় পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হন, আহত হন ৩০ জন।

এরপর তারা পার্শ্ববর্তী জয়পুর ও মাদারপুর গ্রামে অন্যের জায়গায় আশ্রয় নেয় সাঁওতালরা। কিন্তু, গ্রামবাসী এখন আর ওই গ্রামে তাদের আশ্রয় দিতে চাচ্ছেন না। ফলে সাঁওতালরা আবারো ফিরছেন তাদের আদি নিবাস কুয়ামারা দিঘির পাড়ে। তৈরি করছেন ঝুপড়ি ঘর। তবে এখনও কাটেনি সেই ভয়াবহ হামলার আতঙ্ক। দু:স্বপ্নের মতো আঘাত হানে দুর্বিষহ সেই স্মৃতি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;