নারী উদ্যোক্তা অনুজার সফলতার গল্প



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পাবনা
নারী উদ্যোক্তা অনুজা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নারী উদ্যোক্তা অনুজা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অনুজা সাহা। ১৯৯০ সালের ১ জানুয়ারি তার জন্ম। পাবনা শহরের পৌর এলাকার গোপালপুর মহল্লার অমূল্য কুমার সাহা ও অঞ্জনা সাহার একমাত্র কন্যা সন্তান। জন্মের ৩ বছর বয়সে নৃত্য আর সঙ্গীত দিয়ে যাত্রা শুরু অনুজার।

শহরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সেলিম নাজির উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ৭৭ বছরের বৃদ্ধ শ্রদ্ধাভাজন অমূল্য কুমার সাহা আর গৃহিণী অঞ্জনা সাহার ইচ্ছে ছিল তাদের একমাত্র সন্তান অনুজা বড় হয়ে মানুষের সেবা করবে। সেই অদম্য ইচ্ছেকে সামনে রেখেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে মেয়েকে ভর্তি করেন উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ খ্যাত সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে। সেখান থেকে অর্থনীতি বিষয়ে এমএসসিতে অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন অনুজা।

মানুষ গড়ার কারিগর অনুজার বাবা অমূল্য সাহা আক্ষেপ করে বলেন, স্বপ্ন ছিলো মেয়েকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে উপার্জনশীল করা। দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ে তাঁর অনেক ছাত্র চাকরি করছেন। মেয়েটির একটি ভালো চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা তদবিরও করেছেন। কিন্তু নিষ্ঠুর নিয়তি, মেয়ের জন্য একটি চাকরি যোগার করতে পারেননি। বৃদ্ধ বয়সে এসেও মানুষ গড়ার এই কারিগর প্রাইভেট পড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

অস্বচ্ছল সংসার, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও হাল ছাড়েননি অনুজা সাহা। চাকরির আশা বলতে গেলে ছেড়েই দিয়েছেন তিনি। পরিশ্রম, নিষ্ঠা, সততা আর মেধাকে পুঁজি করে পা বাড়িয়েছেন অনুজা। সাফল্য একদিন আসবে এমন আশায় বুক বেধে নেমে পড়েন কর্মের সন্ধানে। এই এগিয়ে চলাই আজ তাকে ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তা অদম্য একজন নারী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে এই সমাজে। অনুজা নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে প্রতিকূলতাকে জয় করে আজ স্বাবলম্বী নারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি নিজে স্বাবলম্বী হয়ে আরও ২০০ নারীকে কর্মসংস্থান করে দিয়েছেন।

অনুজা সাহা

কথা হয় অনুজা সাহার সঙ্গে শোনালেন তার জীবনের কিছু কথা। ছোট্ট বয়সেই নৃত্য আর সঙ্গীতের চর্চায় জীবনের শুরু। বয়সের দিনগুলো যেন বাড়তে থাকে, তেমনি অংশগ্রহণ শুরু হয় পড়া লেখার পাশাপাশি নানা অনুষ্ঠান আর প্রতিযোগিতায়। ভাগ্যে জোটে নানা পুরস্কার আর সনদ। এইচএসসি পাশ করার পর আকস্মিক অনুজাকে বিয়ের পিড়িতে বসতে হয়। বিয়ের পরপরই অনুজা জন্ম দেন এক পুত্র সন্তানের। নাম রাখেন অর্ণব। ছেলের বর্তমান বয়স ৬ বছর।

অনুজা জানালেন, স্বামীর আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় অর্থনৈতিক সংকট যেন তাদের নিত্যদিনের সাথী হয়ে পড়েছিল। সংসার জীবনে তারা হয়ে পড়েছিল দিশেহারা। দেশীয় সর্বোচ্চ ডিগ্রী ধারী এই নারী চাকরির আশায় ঘুরতে থাকেন নানা অফিসে। কিন্তু জীবন চক্রে জোটেনি কোন কর্মসংস্থান।

অনুজা বলেন, অবশেষে পত্র-পত্রিকায় দেশের বিভিন্ন স্থানের নারী উদ্যোক্তার গল্প পড়া শুরু করি। সেই থেকে চাকরির আশা ছেড়ে ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা নেই। অবশ্য মা ব্যবসায় নামা পছন্দ করেননি। কিন্তু বাস্তবতার আলোকে সংসার জীবনের নির্মম পরিস্থিতি উপলদ্ধি করেই অনুজাকে তার মা ব্যবসা করার অনুমতি দেন। অনুজার মাও একজন সুদক্ষ রাঁধুনি।

তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, শুরুটা হবে খাবারের ব্যবসার মাধ্যমে। স্বল্প পুঁজি নিয়ে আর মায়ের সহযোগিতায় অনুজা ক্ষুদ্র পরিসরে হোম ডেলিভারি খাবার সার্ভিস চালু করেন। প্রতিষ্ঠানের নাম দেন অর্ণব এন্ড কোং। হোম ডেলিভারি সার্ভিস থেকে নানা ধরনের পিঠা, কেক, মিষ্টি, বেকারি আইটেম, সাদা ভাত, বিরিয়ানি সরবরাহ শুরু হয় পাবনার নানা স্থানে।

অনুজা বলেন, সাফল্য এক দিনে আসে না। সাফল্যর জন্য প্রয়োজন সময়, মেধা আর ধৈর্য্যের। বিভিন্ন স্থানের বড় বড় অর্ডার পেতে শুরু করেন অর্ণব এন্ড কোং। ধীরে ধীরে এ ব্যবসার প্রসার ঘটতে থাকে। পুঁজির পরিমাণও বেড়ে যায়। এখানেই অনুজা থেমে নেই। বিসিক থেকে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তার প্রশিক্ষণ নেন। মায়ের কাছ থেকে সেলাই ও কাটিং এর কাজ শেখেন তিনি। সেটা কাজে লাগাতে শুরু করেন। প্রশিক্ষণ নেন যুব উন্নয়নের। পাশাপাশি শুরু করেন বুটিক হাউস ব্যবসা। সেটাও আলোর মুখ দেখতে থাকে। ছোটবেলা থেকেই নৃত্য ও সঙ্গীত চর্চায় পারদর্শী অনুজা গড়ে তোলেন ‘মন ময়ূরী’ নামের আরেকটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। এখানে আর্ট, নৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তি, হাতের লেখা শেখানো হয় কোমলমতি শিশুদের।

অনুজার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারী শ্রমিক

আলাপচারিতায় অনুজা জানান, হোম ডেলিভারি খাবারের প্রতিষ্ঠানে ২৫ জন ও বুটিক হাউজে ১৫০ জন শ্রমিক কাজ করছে প্রতিদিন। তিনি বলেন, নিজেই আজ স্বাবলম্বী নন, ২শ’ দরিদ্র নারীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন। এতে তিনি আনন্দিত।

অনুজার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারী শ্রমিক আলপনা, পূর্ণিমা, অমলা, কৃষ্ণা, পারভিন, রেখা, লায়লা, রেহেনা, জলি, সিঁথি, তৃপ্তি, স্মৃতি ও রূপাসহ আরও বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, অভাব আমাদের আষ্টেপিষ্টে ধরেছিল। অভাব আর অনটন যেন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় অভিশাপ। অনুজা আপার এই প্রতিষ্ঠানে সংসারের কাজের পাশাপাশি আমরা কাজ করছি। এখান থেকে যে পারিশ্রমিক পাই, তাতে আমরা মোটামুটি স্বচ্ছল হয়েছি। আমাদের কমে গেছে দারিদ্রতা। কাজ করছি। টাকা পাচ্ছি। নিজেদের ও সন্তানদের প্রয়োজন মেটাতে স্বামীর মুখের দিকে তাকাতে হয় না।

অনুজা বললেন, সামাজিক ব্যবস্থায় নারীরা এখনও পিছিয়ে রয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে নারীরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছেন না। ইচ্ছে আছে নারীদের কল্যাণে, সহায়তায় ও প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করার। নিজের স্বল্প পুঁজি খাটিয়ে আজ দুই শত’ নারীকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করতে পেরেছি। সরকারি ভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে হয়তো নারীদের উন্নয়নে আরেকটু এগুতে পারবো। সমাজের পিছিয়ে পড়া, অবহেলিত, নির্যাতিত নারীদের নিয়ে সমাজ বিনির্মাণে কাজ করতে চাই। তাদের স্বাবলম্বী করতে চাই। আর এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমার এই পথ চলা অব্যাহত থাকবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;