ছাত্রলীগ কর্মী আনাস হত্যা, বিচার নিয়ে অনিশ্চয়তায় পরিবার



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কক্সবাজার
নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আনাস, ছবি: সংগৃহীত

নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আনাস, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোজার ঈদের কয়েকদিন আগেই ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হয় কক্সবাজারের চকরিয়ার ছাত্রলীগ কর্মী আনাস ইব্রাহীম। ঘটনার পরদিনই আনাসের বাবা ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে মামলা করেন। এরপর ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। ঘটনার ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও স্থানীয় সংসদ সদস্য জাফর আলমের প্রভাবে চার্জশিট দিচ্ছে না পুলিশ এমন অভিযোগ আনাসের পরিবারের।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ মে চকরিয়া উপজেলার ওয়েস্টার্ন প্লাজা মার্কেটে ঈদের বাজার করতে গিয়ে বখাটেদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয় আনাস ইব্রাহীম। এসএসসি উত্তীর্ণ আনাস ছাত্রলীগ কর্মী ছিল। মামলায় নাম উল্লেখিত ৬ আসামির মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার ও একজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। তবে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল হোতা মোহাম্মদ সোহেল ও মোহাম্মদ বাবু। যারা স্থানীয় সংসদ সদস্য জাফর আলমের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ। পুলিশের অনীহার কারণে সুষ্ঠু বিচার নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখছেন আনাসের স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

নিহত আনাসের বাবা মাওলানা হাফেজ নেছার আহমেদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'ছাত্রলীগ করার কারণে আজ আমার সন্তানকে এভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এসব বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেও মূল আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ কিছু প্রভাবশালী মহলের চাপের মুখে পুলিশ মূল আসামিদের ধরছে না। কারণ ওইসব বখাটেরা তাদের ছত্রছায়ায় ছিল। যার কারণে সুষ্ঠু বিচার নিয়ে চিন্তিত আমরা।'

তিনি আরও বলেন, 'আসামি সোহেল ও বাবু প্রকাশ্যে ঘুরছে তবুও পুলিশ বলছে তারা আত্মগোপনে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।'

আনাসের মা তসলিমা জান্নাত বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আসামিদের আত্মীয়-স্বজনরা বাড়িতে এসে বিভিন্ন কথা বলে যাচ্ছে। কিন্তু পুলিশ যদি এসব আসামিকে হেফাজতে নিতো তাহলে আজ এ বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে পারতো না কেউ। কিন্তু আসামিরা বাইরে থেকে যাওয়ায় সবাই আমাদের বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। আমি অতি দ্রুত মামলাটি তদন্তের দায়িত্বভার পিবিআই বা অন্য কোনো সংস্থার কাছে হস্তান্তরের দাবি করছি।'

আনাসের বড় ভাই আয়াস ইব্রাহীম বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন’ যে শিশু হত্যার ব্যাপারে যত প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আনাস হত্যা মামলা নিয়ে পুলিশের ভূমিকা যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার ও দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দাবি জানাচ্ছি।'

তবে মামলাটির তদন্ত নিয়ে কোনো ধরণের অবহেলা বা প্রভাব পড়ছে না বলে জানিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মাসুম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'যে দুইজন আসামি পলাতক রয়েছে তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশ প্রযুক্তির সহযোগিতা নিচ্ছে। তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারলেই একটি ফলাফল আসবে।'

ঘটনার ৫ মাসেও কেন চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চার্জশিট দেওয়ার কোনো নির্ধারিত সময় নেই। তাছাড়া এখনো আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার মতো কোনো ক্লু এখনো উদঘাটন হয়নি।’

এ মামলা নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ কিছু প্রভাবশালী পুলিশের তদন্তে বাধাগ্রস্ত করছে এমন প্রশ্নের জবাবে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘কারও কোনো প্রভাব আমার কাছে প্রযোজ্য নয়। আমি তদন্ত নিয়ম অনুযায়ী চালিয়ে যাচ্ছি। অতি শিগগিরই একটি ফলাফল জানাতে পারব। আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;