নিষেধাজ্ঞা শেষ, মধ্যরাতে মেঘনায় নামছেন জেলেরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লক্ষ্মীপুর
প্রস্তুত জেলেদের নৌকা রাতেই নেমে পড়বেন ইলিশ শিকারে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

প্রস্তুত জেলেদের নৌকা রাতেই নেমে পড়বেন ইলিশ শিকারে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মা-ইলিশ রক্ষায় মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষের আর কয়েকঘণ্টা বাকি।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকেই লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ফের মাছ শিকার শুরু হবে। উন্মুক্ত মেঘনায় নৌকা ভাসাবে জেলেরা। ২২ দিনের শান্ত নদী আবারও জেলেদের নৌকায় মুখরিত হয়ে উঠবে। ঘাটে ঘাটে ইলিশ বিক্রির ধুম পড়বে।

এদিকে নিষেধাজ্ঞার সময় লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের ২২৭টি অভিযানে জাল-ইলিশসহ ৯০ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৩ জনকে কারাদণ্ড ও ৫৭ জনকে জরিমানা করা হয়।

অন্যদিকে, এখানকার জেলেদের কেউই স্বাবলম্বী নয়। যার কারণে দাদনদার ও আড়ৎদারদের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে তাদের মাছ শিকারের ব্যবস্থা করতে হয়। এ দাদনদার ও আড়ৎদারদের টাকা পরিশোধ করতেই জেল-জরিমানার ঝুঁকি নিয়ে জেলেদের নদীতে নামতে হয়েছে। যেসব জেলেরা সরকারিভাবে চাল পায় না, তারাই বাধ্য হয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীতে মাছ শিকারে যান।

প্রস্তুত জেলেদের নৌকা রাতেই নেমে পড়বেন ইলিশ শিকার
রাতেই জেলেরা নেমে পড়বেন ইলিশ শিকারে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা সময়কালীন সরকারিভাবে বিনামূল্যে ৩৭ হাজার ৩২৬ জন জেলেকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই জেলায় ৫০ হাজার ২৫২ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। আবার বেসরকারি কয়েকটি সংস্থার তথ্য অনুসারে, এই জেলায় প্রায় ৬২ হাজার জেলে মৎস্য আহরণ করেন।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, নদীতে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে জেলা, উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও কোস্টাগার্ডের পক্ষ থেকে ২২৭টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় এ সময় ৯০ জন জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩৩ জনকে কারাদণ্ড ও ৫৭ জন জেলেকে জরিমানা করা হয়েছে। জব্দকৃত ১.৬ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। জালগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। এছাড়া জব্দ হওয়া ৯৩৫ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

রাতেই জেলেরা নেমে পড়বেন ইলিশ শিকারে
মেঘনার তীরে জেলেদের নৌকা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কমলনগর উপজেলার মতিরহাট মেঘনা এলাকার জেলে ইলিয়াস, রবিউল ও করিম মাঝি জানান, নদীতে তাদের বাড়িঘর ভেঙে গেছে তাই এখন বেড়িবাঁধের পাশে থাকেন। তারা নিবন্ধিত জেলে। তবে তারা সরকার থেকে কোনো সুযোগ-সুবিধা পায়নি। মা-ইলিশ রক্ষায় তারা নদীতেও নামেনি। এই সময়টিতে তাদেরকে ধার-দেনা করে সংসার চালাতে হয়েছে। তাদের জাল-নৌকা প্রস্তুত রয়েছে। মধ্যরাত থেকে তারা নদীতে মাছ শিকারে যাবেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মহিব উল্যাহ বলেন, 'সরকারিভাবে বিনামূল্যে চাল বিতরণে ক্রমান্বয়ে জেলের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। ইলিশ রক্ষায় জেলেদের সচেতনতাও বেড়েছে। সরকারি আইন বাস্তবায়নে আমরা সঠিকভাবে অভিযান পরিচালনা করেছি। নদীতে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও জাটকা সংরক্ষণে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।'

প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর মধ্য রাত থেকে ৩০ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনার ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের জেল, জরিমানা ও উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;