টেকনাফ বন্দরে বেড়েছে পেঁয়াজ আমদানি, কমেনি দাম

  • নুরুল হক, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, টেকনাফ (কক্সবাজার)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমার থেকে টেকনাফ বন্দরে আসা পেঁয়াজ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মিয়ানমার থেকে টেকনাফ বন্দরে আসা পেঁয়াজ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

টেকনাফ বন্দর দিয়ে আগের তুলনায় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। এ বন্দর দিয়ে শুধু অক্টোবর মাসেই ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। যা পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। তবে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হলেও স্থানীয় ও দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছে না।

এদিকে, পেঁয়াজ আমদানিতে সরকার রাজস্ব মাফ করে দিয়েছে। যার ফলে বন্দরে আগের তুলনায় রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। এতে পেঁয়াজ সংকট সমাধানে আলো দেখলেও রাজস্ব খাতে কিছুটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

টেকনাফ শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে এ বন্দর দিয়ে অক্টোবর মাসে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে আমদানি হয় ৩৫৭৩ দশমিক ১৪১ মে. টন পেঁয়াজ। আগস্ট মাসে এসেছে ৮৪ মেট্রিক টন।

তবে বন্দরে পর্যাপ্ত শ্রমিক ও অবকাঠামোর অভাবে আমদানিকৃত পেঁয়াজ খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। যার ফলে এখনো খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে হাজারো মেট্রিক টন পেঁয়াজ। তাছাড়া সাগর পথে পেঁয়াজ ভর্তি একাধিক ট্রলার বন্দরে আসার পথে রয়েছে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে চাহিদা মেটানোর পর চট্টগ্রামে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে পেঁয়াজ সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিয়ানমারে টনপ্রতি পেঁয়াজ গড়ে ৬০/৭৫ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। বন্দর শ্রমিক ও আনুষঙ্গিক খরচসহ মিয়ানমারের পেঁয়াজ টেকনাফ বন্দরে কেজি প্রতি ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে টেকনাফের বাজারেই পেঁয়াজের দাম শত টাকার উপরে।

টেকনাফ বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী শফি ও লিটন সওদাগর জানান, বন্দর থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯৫ টাকা দামে ক্রয় করে তা বাজারে এনে বিক্রি করছেন ১০৫-১১০ টাকায়। উঠা নামা ও গাড়ি ভাড়ার কারণে কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান।

টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন বলেন, 'সামনে পেঁয়াজ আমদানি আরও বাড়তে পারে। আমদানিকৃত পেঁয়াজগুলো বন্দরের কার্যক্রম শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, 'অক্টোবর মাসে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানিতে ঝুঁকে পড়ায় অন্যান্য পণ্য কম আমদানি হচ্ছে। যার ফলে মাসিক রাজস্ব আদায়ে ধস দেখা দিয়েছে। তারপরও দেশের স্বার্থে সংকট মোকাবিলায় পেঁয়াজ আমদানি বাড়াতে আরও বেশি উৎসাহিত করা হচ্ছে।'