পাঁচ গুণ বেশি দামে কেনা পানির ফিল্টার ১৫ দিনেই অকেজো



আব্দুস সালাম আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পটুয়াখালী
পানির ফিল্টার। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পানির ফিল্টার। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে বাজার দামের থেকে পাঁচ গুণ বেশি দামে ১৭টি পানির ফিল্টার কেনা হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে মাত্র ১৫ দিনেই সবগুলো পানির ফিল্টার অকেজো হয়ে যায়।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক এসব ফিল্টার লাগানো হয়েছে বলে দাবি গণপূর্ত বিভাগের। আর নাম মাত্র এই ফিল্টার স্থাপনে সরকারের অপচয় হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টাকা। তদারকি এবং সমন্বয় না থাকায় এভাবেই সরকারি অর্থ অপচয় হচ্ছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।

গণপূর্ত বিভাগের তথ্য মতে, পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চাহিদার ভিত্তিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চের দিকে ১৭টি পানির ফিল্টার সরবরাহ করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় এসব ফিল্টার হাসপাতালের বিভিন্ন কেবিন, পুরুষ ওয়ার্ড, নারী ওয়ার্ড, শিশু বিভাগ, ব্লাড ব্যাংক, কনফারেন্স রুম, ইমারজেন্সি কক্ষ এবং আউটডোরে লাগানো হয়েছে।

আর প্রতিটি ফিল্টার ক্রয় ও ফিটিং বাবদ ব্যয় হয়েছে ৬৭ হাজার ৯৯১ টাকা। কিন্তু বাজারে এই মানের একটি ফিল্টার ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় ক্রয় করা যায়। কয়েকগুণ বেশি দামে ক্রয় করা এসব ফিল্টার লাগানোর ১০ থেকে ১৫ দিন পরেই অকেজো হয়ে পড়ে। সেই থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন দেয়ালে পানির ফিল্টারগুলো অনেকটা শোভা বর্ধনের কাজ করছে।

ফিল্টার লাগানোর পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, গণপূর্ত বিভাগ কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কারো যেন কোনো মাথা ব্যথা নেই। তাইতো বিগত ছয় মাসের অধিক সময় যাবৎ এগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ফিল্টার লাগানোর পর ১০ থেকে ১২ দিনের মতো আমরা পানি খেয়েছি। এরপর থেকে ফিল্টার নষ্ট।’

ওই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. সাইদুজ্জামান বলেন, ‘ফিল্টারগুলো ঠিক করে দেয়ার জন্য আমি গণপূর্ত বিভাগকে বলব।’

প্রয়োজন এবং সম্ভাব্যতা যাচাই না করেই কেন এতগুলো ফিল্টার লাগিয়ে সরকারের অর্থ অপচয় করা হয়েছে এমন প্রশ্নে কোনো জবাব দেননি তিনি।

পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাহিদা দিয়েছে, আমরা সরবরাহ করেছি। ফিল্টারগুলো সঠিকভাবে চলছে কিনা তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। কোনো সমস্যা হলে আমাদের জানালে আমরা ঠিক করে দেয়ার ব্যবস্থা করব।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;