দিনটি উপকূল দিবস ঘোষণার দাবি

আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর



আব্দুস সালাম আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পটুয়াখালী
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ‘ভোলা সাইক্লোন’ নামে উপকূলে আঘাত হানে প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ‘ভোলা সাইক্লোন’ নামে উপকূলে আঘাত হানে প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ‘ভোলা সাইক্লোন’ নামে উপকূলে আঘাত হানে প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়। সে সময়ে কয়েক লাখ মানুষের জীবন ও সম্পদের হানি ঘটে। সেদিনের সেই স্মৃতি মনে করে আজও উপকূলের মানুষ আঁতকে ওঠেন। তবে উপকূলের প্রতি বাড়তি নজর দিতে এবং সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করতে এই দিনটিকে উপকূল দিবস ঘোষণার দাবি তোলা হচ্ছে। এছাড়া উপকূল মন্ত্রণালয় গঠনের দাবীও জানান উপকূলীবাসী।

১৯৭০ সালের ৭ নভেম্বরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে উপকূলে আঘাত হানে। প্রথমে দক্ষিণ-পূর্ব কোন থেকে এবং অল্প বিরতি দিয়ে প্রবল বাতাস আসে পশ্চিম-উত্তর কোন থেকে। এ ঘূর্ণিঝড়ে সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার ৩ মিনিট স্থিতি এবং ঘণ্টায় ২০৫ কিলোমিটার এক মিনিট স্থিতি ছিলো। সরকারি হিসাবে সে সময়ে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ মারা যাবার কথা বলা হলেও বাস্তবে এর সংখ্যা আরো বেশি বলে মনে করেন উপকূলের মানুষ।

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের সেই ঘূর্ণিঝড়ের স্মৃতি মনে করে আজও উপকূলের মানুষ আঁতকে ওঠেন

তবে ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে গত কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন উপকূলের সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মন্টু।

তিনি বলেন, ‘১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষণা করার কারণ হচ্ছে উপকূলের দিকে নজর বাড়ানো। গনমাধ্যমসহ পলিসি লেভেলের এবং নীতি নির্ধারণী মহলের নজর বাড়াতে দিবসটির দাবি করা হচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে এ নিয়ে আমি কাজ করছি। ১২ নভেম্বর পৃথিবীর ইতিহাসে সব থেকে বড় ঘূর্ণিঝড় হয় এ কারণেই এই দিনটিকে বেছে নেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে সারা দেশের ৩৪টি জায়গায় এই দিবসটি পালন করা হয় এবং ২০১৮ সালে ২য় বারের মতো দেশের ৫৩ জায়গার এবং এ বছর দেশের ৭০ জায়গায় ১২ নভেম্বর উপকূল দিবস পালন করা হবে।

সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘উপকূল যেমন একটি সম্ভাবনাময় জনপথ তেমনি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। আমরা চাই উপকূলের দিকে মানুষের নজর বৃদ্ধি পাক। উপকূলের সম্ভাবনা, উপকূলের সংকট, উপকূলের জীবন জীবিকা এবং উপকূলের মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতি বছর উপকূল দিবস পালন করতে পারলে উপকূল অনেকটা এগিয়ে যাবে।

হেলিকপ্টারে করে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছিল দুর্গত মানুষের মাঝে

১৯৭০ সালের বন্যার বেশ কিছু রাজনৈতিক গুরুত্বও রয়েছে উপকূলের মানুষের কাছে। সে সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের মাত্র একদিন পরে লঞ্চযোগে বিপন্ন এলাকায় আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর ঘূর্ণিঝড়ের ১৪দিন পর উপকূলে আসেন পাকিস্থানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খাঁন। তিনি সে সময়ে দূর্গত এলাকার জন্য মাত্র ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন।

পটুয়াখালী-৩(গলাচিপা,দশমিনা) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য এস  এম শাহজাদা সাজু বলেন, ‘৭০ বন্যা যেমন উপকূলকে লন্ডভন্ড করে দেয় তেমনি এখনও এই নভেম্বর মাসে উপকূলের মানুষকে বার বার বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় আঘাত করে। যেমন ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর এবং সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এ কারণে উপকূলের জন্য একটি দিবস করা উচিত এবং সেটি ১২ নভেম্বর করার জন্য আমি সরকারের কাছে দাবি করব।

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের এই ঘূর্ণিঝড়কে পৃথিবীতে এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ ঘূর্ণিঝড় হিসাবেও স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;