ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে রংপুর অঞ্চলে ট্রেন চলাচল



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন,ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন,ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর অঞ্চলে রেললাইনের বেহাল দশায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে চলাচল। এ অঞ্চলে চলাচল করা ৮টি আন্ত:নগর ট্রেনে প্রতিদিন যাতায়াত করেন অন্তত ৬০ হাজার মানুষ। রেল বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর রংপুরের বিভিন্ন স্থানে ১০টি ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে।

গেটম্যান ছাড়াই ট্রেন চলাচল করে এ অঞ্চলের নীলফামারী জেলার চিলাহাটি রেললাইনে। লাইনটির বিভিন্ন স্থানে স্লিপার নষ্ট হয়ে গেছে, অনেক স্থানে নেই নাট-বল্টু। ব্যালাস্টের (পাথর) ঘাটতিও রয়েছে।

কুড়িগ্রাম-তিস্তা রেলপথে বড়পুলের পাড় নামক স্থানে দেবে গেছে সেতুর পিলার। মাটি সরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার রেলপথ। একই অবস্থা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ রংপুর অঞ্চলের অধিকাংশ রেলপথের।

এ কারণে নিরাপদ ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। নিরাপদ ও সেকশনাল গতিতে ট্রেন চলাচলের জন্য রেলপথগুলোর স্লিপার বদলানো, ব্যালাস্টিং, টেম্পিং ও ডিপ স্ক্রিনিং করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।

চলতি বছর রংপুরের বিভিন্ন স্থানে ১০টি ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে।

রেলওয়ের তথ্য মতে, রংপুর বিভাগের আট জেলায় স্টেশন রয়েছে ৮৫টি। এর মধ্যে জনবল সংকটে ২২টি স্টেশন চলছে মাস্টার বিহীন। ৪৭১টি ক্রসিংয়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান ১৪৫টি। আটটি আন্ত:নগর ট্রেনে প্রতিদিন অন্তত ৬০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, নীলফামারী জেলার নয়টি স্টেশনের মধ্যে ৫টিতেই নেই স্টেশন মাস্টার। আর ৯টি ক্রসিংয়ের দুইটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। গাইবান্ধায় ১১টি স্টেশন ও ৬৬টি ক্রসিং থাকলেও নেই পাঁচটির স্টেশন মাস্টার। এখানকার ৩৯টি ক্রসিং ঝুঁকিপূর্ণ। কুড়িগ্রামে ৮টি স্টেশন রয়েছে। এর ৪৭টি ক্রসিংয়ের মধ্যে সাতটি ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনটি স্টেশন নিয়ে সাজানো ঠাকুরগাঁওয়ে রেলপথে ৫৬টি ক্রসিং। এরমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ছয়টি। পঞ্চগড় জেলার ২টি স্টেশনের ৬টি ক্রসিংয়ের মধ্যে মাত্র দুইটি ঝুঁকিপূর্ণ।

রেললাইনের বেহাল দশা

লালমনিরহাট জেলার ১৪টি স্টেশনের ছয়টি স্টেশন মাস্টার নেই। ৪০টি রেল ক্রসিংয়ের মধ্যে ৩৩টিই ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া রংপুরের ১০টি স্টেশনের ছয়টি স্টেশন মাস্টার বিহীন চলছে। এ জেলার ৪০টি ক্রসিংয়ের মধ্যে ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ।

এদিকে স্টেশন মাস্টার, গেটকিপারসহ প্রতিটি বিভাগে জনবল সংকট দূর না হলে রেলপথের উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে দাবি করছেন রেলওয়ের লালমনিরহাটের অতিরিক্ত বিভাগীয় পরিবহন ও তথ্য কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন।

রংপুর বিভাগের ৪৭১টি ক্রসিংয়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান ১৪৫টি

এই কর্মকর্তা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, গেটকিপার, স্টেশন মাস্টার সংকট আছে। সেটা যদি পূরণ করা হয়, তাহলে আমরা নিরাপদে এবং সুষ্ঠুভাবে ট্রেন চলাচল করতে পারব। অনেক স্থানে প্লাটফর্ম তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে আগের চেয়ে রেলপথ অনেকটা আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। চাহিদানুযায়ী রেলপথ নির্মাণে একটু সময় লাগবে।

লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান উন্নত ও নিরাপদ রেলপথের জন্য সার্ভে করা হচ্ছে।

তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমরা খুব দ্রুত একটি নকশা এবং প্লাটফর্ম বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করব।

নিরাপদ রেলপথ আন্দোলনের নেতারা বলছেন অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করার কথা 

নিরাপদ রেলপথ আন্দোলনের নেতা রংপুর নাগরিক কমিটির সদস্য পলাশ কান্তি নাগ বলেন, রেলপথ নিরাপদ করতে অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করতে হবে। সারাদেশে ব্রডগেজ লাইন চালু করতে হবে। ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। সরকারকে প্রতিবছর রেলখাতে যে ঘাটতি গুণতে হচ্ছে, এর কারণ অনুসন্ধান করতে হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;