২৫০ কেজি ওজনের হাউস মাছ দেখতে ভিড়



আল মামুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কিশোরগঞ্জ
২৫০ কেজি ওজনের একটি হাউস মাছ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

২৫০ কেজি ওজনের একটি হাউস মাছ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভৈরব কিশোরগঞ্জ থেকে ফিরে

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মাছের আড়তে ২৫০ কেজি ওজনের একটি হাউস বা পান পাতা মাছ নিয়ে এসেছেন জেলেরা। আর এতবড় মাছ দেখতে আড়তের সামনে ভিড় করেছেন উৎসুক সাধারণ মানুষ। এতবড় মাছ দেখে সবারই চোখ যেন ছানাবড়া।

জানা গেছে, মনির এন্টারপ্রাইজ আড়তের মালিক মনির হোসেন মাছটির দাম চেয়েছেন ১ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে একজন ক্রেতা দাম বলেছেন ৪০ হাজার টাকা। তবে মাছটি বিক্রি না হলে কেটে কেজি হিসেবে বিক্রি করা হবে।

সরেজমিনে মাছের আড়তে দেখা গেছে, মনির এন্টারপ্রাইজ মৎস্য আড়তের সামনে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ভিড় মাড়িয়ে ভেতরে গিয়ে দেখা গেল বিশাল দৈত্যাকার এক হাউস মাছ। ভৈরব কিংবা এর আশপাশের এলাকায় এই মাছ অনেকেই পান পাতা মাছ বলে চেনেন। বিলুপ্তপ্রায় এই মাছটি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মাছটি কেনার আগ্রহ দেখালেও এতবড় মাছ কেউ কিনতে পারছেন না।

মাছ দেখতে আড়তের সামনে ভিড় করেছেন উৎসুক সাধারণ মানুষ

এদিকে জেলেদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভৈরবের ফুলতাকান্দি এলাকার জেলে আলমগীর, মালেক মিয়া, মিলন ও আলকাস মিয়াসহ ৮ জন জেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার মইনপুর এলাকার শনিবার দুপুরে মেঘনা নদীতে বেড় জাল ফেলেন। জাল টানার সময় হঠাৎ জালের মধ্যে বড় দৈত্যাকার কিছু দেখতে পেয়ে ভয় পেয়ে যান সকলেই। পরে জালটি কাছে আনার পর দেখতে পান হাউস মাছ। আটজন জেলে টেনে মাছটি নৌকায় তুলতে না পারায় আরো কয়েকজন জেলের সহযোগিতা নেন তারা।

এত বড় মাছ পেয়ে জেলেরা বেশ খুশি হন। পরে বিকালে মাছটি বিক্রির উদ্দেশে ভৈরব ফেরিঘাট এলাকার নৈশ মৎস্য আড়তের মনির এন্টারপ্রাইজে আনা হয়। এ সময় তারা মাছটির দাম হাকা হয় এক লাখ টাকা।

জেলে আলমগীর মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘এতবড় মাছ দেখে আমরা প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। পরে মাছটি কাছে আসার পর খুশিতে মনটা ভরে গিয়েছে। সুতার জালে মাছ ধরে আমাদের জীবন চলে। এতবড় মাছ বিক্রি করতে পারলে অনেক টাকা পাবো। আশা করি কয়েকটা দিন ভালভাবে চলতে পারবো।’

মনির এন্টারপ্রাইজে হাউস বা পান পাতা মাছ

আরেক জেলে মালেক মিয়া জানান, ১০/১২ জন টেনে মাছটি তীরে তোলা হয়। অন্য মাছের আশায় জাল ফেলেন তারা। এই মাছটি পেয়ে তারা বেশ খুশি। আশা করছেন, মাছটি লাখ টাকা বিক্রি হবে।

উপস্থিত একজন মাছ ক্রেতা জানান, জীবনে অনেক বড় বড় মাছ দেখেছেন এই আড়তে। তবে এতবড় হাউস মাছ আগে কখনো দেখেননি। তবে মাছটি কেটে বিক্রি করলে তারা কিনতে আগ্রহী।

ভৈরব মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী ও মনির এন্টারপ্রাইজের মালিক মনির হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘মাছটির ওজন অন্তত ২৫০ কেজি। জেলেরা আমার কাছে এক লাখ টাকা দাম চেয়েছেন। আমি দেখছি মাছটি কত বিক্রি করতে পারি। যদি একসাথে কেউ মাছটি নিতে না চান তাহলে মাছটি কেটে বিক্রি করা হবে। তবে ইতোমধ্যেই মাছটি একজন ক্রেতা ৪০ হাজার টাকা দাম বলেছেন। আমরা আরো বেশি দামে বিক্রি করতে চাই।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;