মানিকগঞ্জ বিআরটিএ অফিসে চরম ভোগান্তি!



খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অফিস। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মানিকগঞ্জ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অফিস। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মো. আব্দুল কাদের, পেশায় একজন ব্যবসায়ী। গত বছরের মাঝামাঝি সময় অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য মানিকগঞ্জ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অফিসে আবেদন করেন। বিআরটিএ অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম শেষে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পাস করেন। এরপর প্রায় এক বছর অপেক্ষায় থাকলেও লাইসেন্স মেলেনি। তবে লাইসেন্স পাওয়ার তারিখ বাড়াতে প্রায়ই তাকে আসতে হয় বিআরটিএ অফিসে। এতে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বিআরটিএ অফিসের ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে অনেকে লাইসেন্স করেন দালালের মাধ্যমে। বিভিন্ন মোটরসাইকেল বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা নির্ধারিত টাকার চেয়ে দ্বিগুণ টাকায় এই কাজ করে দেন। এতে ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া, কাগজপত্র পূরণ এবং পরীক্ষায় পাসের কোনো ঝামেলা থাকে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপেশাদার লাইসেন্সের এক আবেদনকারী জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্সের কাগজপত্র সঠিকভাবে পূরণ করে দিলেও নানাভাবে ভুল ধরেন বিআরটিএ অফিসের লোকজন। নানা অজুহাতে ঘুরতে হয় দিনের পর দিন। কাজেই বাধ্য হয়ে ৮ হাজার টাকা চুক্তিতে এক দালালের মাধ্যমে লাইসেন্স করতে দিয়েছেন তিনি। এতে করে তাকে পরীক্ষা এবং ফিঙ্গার দেয়ার দিন শুধুমাত্র উপস্থিত থাকলেই হবে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনা এলাকার মৃত মাইনুদ্দিনের ছেলে মো. আলাউদ্দিন মিয়া জানান, মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারের রশিদ পান গত বছরের ৩০ জানুয়ারি। এরপর থেকে মোটরসাইকেলের স্মার্ট কার্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। মাঝে মাঝে বিআরটিএ অফিসে এসে প্রাপ্তি স্বীকারের রশিদের তারিখ বাড়িয়ে নিলেও ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড হাতে পাননি।

বিআরটিএ মানিকগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, ‘পেশাদার এবং অপেশাদার মিলে আনুমানিক প্রায় চার হাজারের মতো ড্রাইভিং লাইসেন্স পেন্ডিং রয়েছে। মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য যানবাহনের স্মার্ট কার্ডের অবস্থাও একই রকম। এতে করে বিআরটিএ মানিকগঞ্জ সার্কেল অফিসের কিছু করণীয় নেই। ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং যানবাহনের স্মার্ট কার্ড দেরিতে পাওয়ার জন্য এমন ভোগান্তি হচ্ছে।’

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাদিরা আক্তার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, সার্ভার জটিলতার কারণে লাইসেন্স ডেলিভারি দিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে টাকা পয়সা বা দালালের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ বিআরটিএ সার্কেল অফিস থেকে লাইসেন্স পাওয়ার কোনো উপায় নেই।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;