মায়ের স্বপ্নে লক্ষ্মীপুরে ডায়াবেটিক হাসপাতাল



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরে ডায়াবেটিক হাসপাতাল/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

লক্ষ্মীপুরে ডায়াবেটিক হাসপাতাল/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে ডায়াবেটিক হাসপাতালের স্বপ্ন দেখেছিলেন মরহুমা হোসনেয়ারা বেগম। তার এ স্বপ্নটি ১৯৮৬ সালের। আর তাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই ছেলে দেলোয়ার হোসেন ডায়াবেটিক সমিতি গঠন করেন। সেখান থেকেই আজকের লক্ষ্মীপুরের ডায়াবেটিক হাসপাতাল, যেখানে শতকরা ৩০ শতাংশ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

দেলোয়ার হোসেন লক্ষ্মীপুর ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানেও তিনি একই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হোসেন এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী। লক্ষ্মীপুর ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান।

সম্প্রতি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেলোয়ার হোসেন ডায়াবেটিক সমিতি গড়ে তোলা সম্পর্কে তার মায়ের স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন।

এ সময় তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের এক বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে আমার মা হোসনেয়ারা বেগম ঘুমিয়েছিলেন। হঠাৎ ঘুমের মধ্যেই তিনি স্ট্রোক করেন। এতে তার শরীরের একাংশ প্যারালাইজড হয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার তাকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় দেড় মাস চিকিৎসা দেওয়ার পর তিনি ভালো হলে বাড়ি নিয়ে আসি। এর এক বছর পর তিনি আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে ফের তাকে বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা আমাকে লক্ষ্মীপুরে একটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল করার জন্য বলেন। আমিও মাকে হাসপাতাল করার কথা দিই।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ডায়াবেটিক হাসপাতাল করার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়েছি। অনেক চিকিৎসক ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে যাই। কিন্তু পাশে কাউকেই পাইনি। সর্বশেষ মাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই ২৫ জন আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু মিলে ১৯৮৭ সালে সমিতি গঠন করি। প্রতিজন থেকে ২৫ হাজার টাকা করে শেয়ার নেওয়া হয়।

হাসপাতালে রোগীদের অপেক্ষা/ ছবি:বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৮ বছর আমি মাকে ইনসুলিন দিয়েছি। তখন নোয়াখালীর চৌমুহনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে নিয়ে মাকে চিকিৎসা দেওয়া হত। এতে সকালে গেলে রাতে বাড়ি ফিরতে হত। মায়ের অনেক কষ্ট হত। আবার তিনি সদর উপজেলার চররুহিতা গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। যার কারণে পরবর্তীতে তাকে একজন গ্রাম্য চিকিৎসক ইনসুলিন দিয়ে দিতেন। আর মা কষ্ট উপলব্ধি করেই লক্ষ্মীপুরে ডায়াবেটিক সমিতি করার জন্য আমাকে ওয়াদা করান। এ সময় গরীব-অসহায়দের চিকিৎসায় সহযোগিতা করতেও বলেছিলেন। ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আমার মা মারা যান।

মায়ের ইচ্ছানুযায়ী সকলের চেষ্টায় সবশেষে ২০১৫ সালে জেলা শহরের উত্তর মজুপুর এলাকায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালটি নির্মাণ হয়। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৭০ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ সমিতির সদস্যরা ব্যয় করেছেন।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এখনো হাসপাতালটির পুরো কাজ শেষ হয়নি। পরিপূর্ণ কাজ শেষ হলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাসপাতালটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এখানে ডায়াবেটিস, দন্ত ও ফিজিওথেরাপি বিভাগ চালু আছে।

জানা গেছে, ঢাকার বারডেমের অধীনে পরিচালিত লক্ষ্মীপুরের এই হাসপাতালটিতে ২৪ হাজার ১১৭ জন রেজিস্ট্রিকৃত রোগী রয়েছেন। প্রথমে ২ হাজার টাকা ফি দিয়ে এখানে চিকিৎসা নিতে হয়। পরবর্তীতে সুগার ও রক্ত পরীক্ষার জন্য ১০০ টাকা করে ফি নেওয়া হয়। এখানে শতকরা ৩০ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;