সড়কে নিম্নমানের কাজ চালিয়েই যাচ্ছেন ঠিকাদার



আল মামুন,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আশুগঞ্জ-তালশহর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক/ ছবি: বার্তা২৪.কম

আশুগঞ্জ-তালশহর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-তালশহর-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক সড়কের ৮ কিলোমিটার সংস্কার কাজে অনিয়ম ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। নিম্নমানের কাজের কারণে দফায় দফায় বাধা দিচ্ছেন এলাকাবাসী ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তারপরও কোনো বিষয়ের তোয়াক্কা না করে অনেকটাই জোর করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার। নিম্নমানের কাজ বন্ধ করতে ইতিমধ্যে প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন তিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ এলাকায় ৫টি ইউনিয়ন ও জেলা সদরের সঙ্গে আঞ্চলিক যোগাযোগের একমাত্র উপায় আশুগঞ্জ-তালশহর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কটি। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ট্রাক ও ট্রাক্টর চলাচল করে এই সড়কে।

রাস্তাটির সংস্কার কাজের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে দরপত্রসহ অন্যান্য সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ২০১৮ সালের ১৬ জুন। সড়কটির কাজ পায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেসার্স লোকমান হোসাইন ও মেসার্স মোস্তফা কামাল (জেভি)। এফ.ডি.ডি.আর.আই.আর.পি প্রকল্পের অধীনে আট কিলোমিটার এই সড়কের কাজের চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

আশুগঞ্জ-তালশহর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক/ ছবি: বার্তা২৪.কম

চুক্তি অনুযায়ী কাজ শুরু করার জন্য সময় ধরা ছিল ২৩ জুন ২০১৯ এবং কাজ শেষ করতে হবে ১৯ মার্চ ২০২০ এর মধ্যে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হওয়ার প্রায় ৬ মাস পর কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

কাজ শুরু করার পর থেকেই প্রশ্ন উঠে কাজের মান নিয়ে। স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধি একাধিক বার কাজ বন্ধ করে দেয়ার পরও নিম্নমানের পাথর, ইট, বালু, খোয়া ও ম্যাকাডম দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে ৪ ডিসেম্বর এলাকাবাসী ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন নিম্নমানের কাজে বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। জটিলতা সৃষ্টি হলে উভয় পক্ষের মাঝে এক সমঝোতা হয়। পরে আবারো ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করেন।

এ দিকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স লোকমান হোসাইন ও মেসার্স মোস্তফা কামাল (জেভি) -কে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার না করতে চিঠি দেয় উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। তারপরও ঠিকাদার সড়কে নিম্নমানের কাজ চালিয়েই যাচ্ছেন ঠিকাদার।

এই সড়কে চলাচলকারী আড়াইসিধা এলাকার হানিফ মিয়া জানান, যে মানের কাজ করা হচ্ছে এতে করে এই সড়কটি ছয় মাস টিকবে কিনা বুঝতে পারছি না। ঠিকাদার কাজ শুরু করার সময়ও ৬ মাস বিলম্বে কাজ শুরু করেছেন।

আরেক যাত্রী মো. ফারুক মিয়া বার্তা২৪.কম-কে জানান, রাস্তায় অত্যন্ত নিম্নমানের ম্যাকাডম দেওয়া হচ্ছে। পাথর ও বিটুমিনও অত্যন্ত নিম্নমানের। তাই আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই রাস্তাটি যেন শিডিউল মোতাবেক করা হয়।

আশুগঞ্জ-তালশহর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক/ ছবি: বার্তা২৪.কম

আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে জানান, দফায় দফায় ঠিকাদারকে সতর্ক করার পরও তিনি তার মতো করে নিম্নমানের কাজ করে যাচ্ছেন। কারো কোনো কথায় তিনি কান দিচ্ছেন না। উপজেলা ও জেলা প্রকৌশল বিভাগের যোগসাজশে এমন কাজ হচ্ছে। এভাবে কাজ চলার কারণে আমরা প্রধান প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ দিয়েছি। নিম্নমানের কাজ অচিরেই বন্ধ না হলে আমরা আন্দোলনে যাব।

এ ব্যাপারে এই কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লোকমান হোসাইন এন্ড মেসার্স মোস্তফা কামাল (জেভি) এর স্বত্বাধিকারী মো. লোকমান হোসাইনের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

আশুগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোসা. মরিয়ম আখতার বার্তা২৪.কম-কে জানান, নিম্নমানের কাজের বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি। কিছু নির্মাণ সামগ্রীতে সমস্যা থাকার কারণে ইতিমধ্যেই আমরা ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছি। তারপরও যদি ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে আমাদের কেউ নিম্নমানের কাজে সহায়তা করছে, বিষয়টি সঠিক নয়।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;