পেঁয়াজের বাড়তি দামের প্রভাব শীতের পিঠায়!



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
চিতই পিঠায় ভর্তা দিচ্ছেন দোকানি, ছবি: বার্তা২৪.কম

চিতই পিঠায় ভর্তা দিচ্ছেন দোকানি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অগ্রহায়ণ মানেই চারদিকে আমন ধানের মৌ মৌ গন্ধ। নতুন ধান ঘরে তুলতে শুরু হয় নবান্নের উৎসব। ধান ঘরে তোলা শেষ হলেই বাড়ি বাড়ি নানান রকমের বাহারি পিঠা-পুলির আয়োজন। এক সময় আবহমান বাংলার চিরায়ত রূপ ছিল এটি। কালের বিবর্তনে গ্রাম-বাংলার সেই রূপ হারালেও বাঙালির কাছে জনপ্রিয়তা কমেনি পিঠার। শীতের সময় গ্রামীণ সমাজে ঘরে ঘরে পিঠা তৈরির ধুম পড়লেও শহরের ব্যস্ত জীবনে এসব এখন হয়ে উঠে না। তাই বলে কি পিঠার স্বাদ গ্রহণ করবে না শহরের মানুষ?

শীতের সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বসে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। একাধিক পিঠার সমাহার সেখানে না থাকলেও শীতের জনপ্রিয় ‘চিতই’ ও ‘ভাপা’ পিঠা বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। সন্ধ্যার পর সেখানে পিঠা খেতে ভিড় জমান নানা বয়সী লোকজন। অনেকে আবার যাওয়ার সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্যও বাসায় নিয়ে যান এসব পিঠা।

অন্যদিকে, পিঠা বিক্রি করে অতিরিক্ত আয়ের পথ বেছে নিয়েছেন শহরের অন্তত ২৫/৩০টি পরিবার। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ এই পিঠার দোকান বসিয়েছেন তারা। পুরুষের পাশাপাশি একাধিক নারীও পিঠার দোকান বসিয়েছেন অলি-গলিতে। আবার তাদেরকে সহযোগিতা করছে তাদের ছেলে-মেয়েরা।

পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত দোকানি

শহরের চৌধুরী জাজার, ঘাটিয়া বাজার, পিটিআই রোড, কালিবাড়ি, সদর হাসপাতালের মোড়, শায়েস্তাগর মোর, কোর্ট মসজিদ মার্কেট, পৌর বাস টার্মিনাল, পদ্দার বাড়ি, ধুলিয়াখাল এলাকাসহ অন্তত ২৫/৩০টি পিঠার দোকান বসেছে।

শায়েস্তানগর পয়েন্টে পিঠা খেতে আসা তরুণ নুরুল আমীন বলেন, ‘বাড়িতে সব সময় পিঠা তৈরি হয় না। তাই যখনই পিঠা খেতে মন চায় তখনই রাস্তার পাশের এসব দোকানে চলে আসি। ভাপা পিঠার পাশাপাশি গরম-গরম ধোঁয়া ওঠা চিতই পিঠা সিঁদল কিংবা সরিষা ভর্তা দিয়ে খেলে অসাধারণ লাগে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে অনেক সময় খারাপ লাগে যখন বিক্রেতারা ৫ টাকার পিঠা ১০ টাকা দাম নেন। গতবছর যে পিঠা ৫ টাকা দিয়ে খেয়েছি সেগুলো এখন ১০ টাকা দিয়ে খেতে হচ্ছে।’

থানার সামনে পিঠা খেতে আসা রুমেল খান বলেন, ‘প্রায় সময়ই বন্ধুরা মিলে ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে পিঠা খেতে আসি। সত্যি এই পিঠাগুলো অসাধারণ লাগে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শীতের সময় যে পিঠাগুলো আমরা খাই তা সারাবছর মনে থাকে। কারণ, এই পিঠাগুলো একদিকে যেমন সু-স্বাদু, তেমনি অন্যদিকে সবাই মিলে আড্ডা দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে।’

ভ্রাম্যমাণ দোকানে শীতের পিঠা খাচ্ছেন অনেকে

কলেজছাত্রী শারমীন আক্তার বলেন, ‘ব্যস্ততার কারণে ঘরে পিঠা তৈরি করার সময় পাওয়া যায় না। প্রয়োজনে এখানকার পিঠার দোকানগুলোই ভরসা। এতে সময়ও বাঁচে শীতের আমেজও পাওয়া যায়। বলতে গেলে অসাধারণ।’

শায়েস্তাগঞ্জ পয়েন্টে পিঠা বিক্রি করেন মো. শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, ‘এক সময় আমি টমটম (অটোরিকশা) চালাতাম। কিন্তু এখন পিঠা বিক্রি করছি। অল্প টাকার পুঁজি ও কম পরিশ্রমে খুব ভালো লাভ করা যায়। বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করলে হাজার টাকা লাভ করা যায়।’

পৌর বাস টার্মিনাল এলাকার পিঠা বিক্রেতা আরব আলী। স্ত্রীকে নিয়ে প্রতিদিন সেখানে পিঠা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘কোনো কাজ-কাম না থাকায় পিঠা বিক্রি শুরু করেছি। পিঠা বিক্রি করে ভালো লাভ করতে পারছি।’

বেশি দাম নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত পিঠা তৈরির জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। তাই অন্য বছরের চেয়ে দাম বেশি নিতে হচ্ছে। এছাড়া গত বছর পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫/৩০ টাকা কেজি। আর এবছর ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ভর্তা করতে প্রতিদিন আধা কেজি পেঁয়াজ লাগছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;