সিরাজগঞ্জে অসতর্কতায় পুলিশের শটগানের গুলিতে দুই আনসার আহত



সোহেল রানা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জে অসতর্কতার কারণে পুলিশ কনস্টেবলের শটগান থেকে বেরিয়ে যাওয়া গুলি লেগে দুই আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের রায়পুর মহল্লায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার ও ভিডিপি) জেলা কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন শাহজাদপুর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আনসার ও ভিডিপি) সহকারী প্লাটুন কমান্ডার মো. ওবায়দুল্লাহ (৩৩) ও সদস্য মতিউর রহমান (৩৫)। তাদের সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত আনসার ও ভিডিপির প্লাটুন কমান্ডার আকমল হোসেন বলেন, ‘আমরা রেশন নেওয়ার জন্য জেলা সদরের অফিসের সামনে অবস্থান করছিলাম। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান পুলিশ লাইন্সে যাওয়ার পথে বিকট শব্দ হয়। এরপরই আমাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা সহকারী প্লাটুন কমান্ডার ওবায়দুল্লাহ ও সদস্য মতিউর রহমান মাটিতে লুটিতে পড়েন। তখনই পিকআপ ভ্যানটি থামানোর পর বুঝতে পারি গাড়ি থেকে শটগান এসে তাদের গায়ে লেগেছে।’

আনসারের এই সদস্য জানান, আহতদের মধ্যে ওবায়দুল্লাহর বাম হাতে ৪-৫টি, উরু ও কোমরে একাধিক গুলি লেগেছে এবং মতিউর রহমানের ডান হাতে ৫-৬টি আর বুকে ও পেটে অন্তত ১৪-১৫টি গুলি লেগেছে।

পুলিশের পিকআপ ভ্যানে থাকা সদর থানায় কর্মরত কনস্টেবল রেজাউল করিম জানান, শহরের মধ্যে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ চলছিল। এ সময় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলিশ লাইন্সে একটি বৈঠকে ছিলেন। তাকে নিয়ে আসার জন্য পুলিশ লাইনে যাচ্ছিল পিকআপ ভ্যানটি। এতে একটি শটগান ও একটি গ্যাসগান ছিল।

কনস্টেবল রেজাউল করিম বলেন, ‘পিকআপের পেছনে আমি একাই ছিলাম। পথে ঝাঁকুনি হওয়ার কারণে অসতর্ক অবস্থায় লোড করা শটগান থেকে গুলি বেরিয়ে যায়। এটি পিকআপ ভ্যানের বডি ছিদ্র করে আনসার সদস্যদের শরীরে বিদ্ধ হয়।’

আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মির্জা সিফাত-ই-খোদার কথায়, ‘পুলিশের গুলিতে আহত দুই আনসার সদস্যকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত নাকি পরিকল্পিত তা তদন্ত করে দেখা হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ দাউদ বলেন, ‘অসতর্কতার কারণেই গুলি বেরিয়ে আনসারদের আহত হওয়ার ঘটনার জন্ম হয়েছে। আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;