সরকারিভাবে ধানের মূল্য ১০৪০ টাকা, বাইরে ৫৫০



আব্দুস সালাম আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
স্থানীয় বাজারে অর্ধেক দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা, ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় বাজারে অর্ধেক দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধানের বাম্পার ফলনেও হাসি নেই উপকূলের কৃষকদের মুখে। সরকার খাদ্য বিভাগের মাধ্যমে যে দামে ধান কিনছে তার অর্ধেক দামে স্থানীয় হাট বাজারগুলোতে ফরিয়া ও ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অধিকাংশ কৃষক। তবে ধানের দাম কমলেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। তাইতো বাজার তদারকির দাবি কৃষকদের।

পটুয়াখালী জেলায় এবারই প্রথমবারের মতো আমন ধান সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারের এই সংগ্রহ অভিযান চলমান থাকবে। এ জন্য কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে সরবরাহকৃত তালিকা ধরে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে।

একজন কৃষকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩ মেট্রিকটন এবং সর্বনিম্ন ১২০ কেজি ধান সংগ্রহ করবে খাদ্য বিভাগ। এর ফলে সরকারের খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি পাবার পাশাপাশি কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য পাবে।

তবে তালিকায় না থাকা কৃষকরা অনেকটা বাধ্য হয়েই ব্যাপারীদের কাছে কম মূল্যে ধান বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি গোডাউনে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান বিক্রি করতে পারলেও স্থানীয় বাজারে ১৩ থেকে ১৪ টাকা কেজি দরে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে অধিকাংশ কৃষকদের।

সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে জেলার ৮টি উপজেলা থেকে ১৫ হাজার ৭৫ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করছে। তবে অনেক এলাকায় এখনও সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা।

স্থানীয় বাজারে ধানের দাম কম হওয়া প্রসঙ্গে কৃষকরা বলেন, আমরা ঋণ নিয়ে চাষ করি। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই ঋণ পরিশোধের জন্য বাধ্য হয়ে কম দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে ক্ষতি হলেও কিছু করার নেই। তাছাড়া আমাদের কাছে ধান মজুদ করে রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। সে জন্য বাধ্য হয়েই দ্রুত ধান বিক্রি করে দিতে হয়। সরকারিভাবে যদি আমরাও তালিকাভুক্ত হতে পারতাম তাহলে লাভবান হতাম।

এদিকে, প্রকৃত কৃষকরা যাতে সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করতে পারেন সে জন্য কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন করেছে। জেলার আট উপজেলায় বৃহৎ চাষি, মাঝারি চাষি এবং প্রান্তিক চাষি বাছাই করে ২১ হাজার ৯৩০ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। সেই তালিকা অনুসারে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানালেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত।

যে সব কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করবেন তাদের জন্য কিছু বিষয় অনুসরণ করার পরামর্শ দিলেন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. বি এম শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ধানের আর্দ্রতা ১৮% এবং চিটার পরিমাণ .৫% হতে হবে মানে ২০০ ধানে একটি চিটা থাকতে পারবে। এ ছাড়া ধানের মূল্য সরাসরি কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। ফলে এখানে মধ্যস্বত্বভোগীর কোনো প্রভাব থাকবে না।

সরকারি হিসেবে কৃষকদের প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে ১৮ টাকা করে ব্যয় হলেও সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে প্রতিমন ধান ১ হাজার ৪০ টাকায় ক্রয় করছে। তবে স্থানীয় বাজারে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে কৃষকদের প্রতিমন ধান বিক্রি করতে হচ্ছে।

ব্যাপারীদের সঙ্গে দামের বিষয়ে কথা হলে তারা জানান, আমাদের এই অঞ্চলে অটো রাইস মিলের সংখ্যা কম। সে কারণে রাইস মিল মালিকরা ধানের দাম বেশি দিতে চায় না। আমাদের লাভ ও ব্যয় মিলিয়ে এই দামেই ধান কিনতে হয়।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;