নেই ছাত্রাবাস, ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম



লিপসন আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ

  • Font increase
  • Font Decrease

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য কলেজে নেই কোন ছাত্রাবাস। এতে দূরবর্তী অঞ্চল থেকে আসা অনেক শিক্ষার্থীই নিয়মিত কলেজে আসতে পারছেন না। যেসব শিক্ষার্থী আর্থিকভাবে স্বচ্ছল তারা শহরের আবাসিক হোস্টেলে থাকছেন।

আবার অনেক শিক্ষার্থীকে মেস ভাড়া জোগাড় করতে প্রাইভেট টিউশনি ও পার্ট টাইম চাকরি করতে হচ্ছে। ছাত্রাবাসের অভাবে কলেজের শত শত শিক্ষার্থীকে দূর-দূরান্ত থেকে হেঁটে কিংবা মেসে থেকে লেখাপড়া করতে হয়। এতে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্ররা শহরের রিফাত ম্যানশন, আফরোজ আলী বোর্ডিং, সেলিম বোর্ডিং, খাইরুন নেছা বোর্ডিং, আরফিন নগর মসজিদ বোর্ডিংসহ শহরের বিভিন্ন বোর্ডিংয়ে থাকছেন। অনেকে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বাসা ভাড়া নিয়ে রয়েছেন।

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে জেলার এগারো উপজেলা থেকে উচ্চ শিক্ষা নিতে আসা শিক্ষার্থীরা বেশির ভাগ অস্বচ্ছল পরিবারের সদস্য। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে টিউশন বা পার্টটাইম চাকরি করেই খরচ চালাতে হয়।

মিজান হোসাইন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিতরণের জন্য নয় বরং জ্ঞান তৈরির একটি উর্বর জায়গা। সে পরিবেশ সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ তৈরি করতে পারেনি। এখানকার অনেক শিক্ষার্থীকে নিজের পড়াশুনার সময়টা টিউশন করে ব্যয় করতে হয়। নয়ত মেস ভাড়া দিতে পারেন না তারা।

আফরোজ আলী বোর্ডিংয়ে থাকা সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আলফাজ আহমদ বলেন, এখন জানুয়ারি মাস। নতুন অনেক শিক্ষার্থী মেস খুঁজে এখানে এসেছেন। কিন্তু সিট খালি নেই। শহরের কোনো বোর্ডিংয়েই এখন সিট খালি নেই।

সেলিম বোর্ডিংয়ে মেস করে থাকা শিক্ষার্থী লোকমান বাদশা ও তৈয়বুর রহমান বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে এই বোডিংয়ে মেস করে রয়েছি। এখানে পরিবেশও ভালো না। ছাত্রসহ চাকরিজীবী সবাই থাকে এখানে।

আরফিন নগর মসজিদ বোর্ডিংয়ে থাকা শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন বলেন, রুম ভাড়াই জন প্রতি ১১শ’ টাকা করে দিচ্ছি। কলেজ যেতে লাগে ২০ টাকা, আসতে ২০ টাকা। এলাকাও সুবিধার নয়। নিজেই রান্না করতে হয়। টিউশন ও রান্নাতেই সব সময় চলে যায়। পড়াশুনার সময় পাওয়া যায় না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদের দুর্ভোগের কথা আমরা অবগত রয়েছি। ইতিমধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান মহোদয়ের কাছে ২টি ছাত্রাবাস নির্মাণের জন্য প্রস্তাব করেছি। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের ইচ্ছা ৫ তলা বিশিষ্ট ২টি ছাত্রাবাস নির্মাণ করা। একটি হবে কৃষ্ণচন্দ্র স্মৃতি ছাত্রাবাস (হিন্দু ছাত্রাবাস) এর জায়গায়। আরেকটির জায়গা এখনও নির্ধারণ হয়নি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;