সংস্কার নেই জেটির, দুর্ভোগে সেন্টমার্টিনের পর্যটকরা



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
জেরি পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

জেরি পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সেন্টমার্টিন থেকে: দেশের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে শীত মৌসুমে প্রতিদিন হাজারো পর্যটক আসেন। কিন্তু টেকনাফ থেকে জাহাজগুলো যখন সেন্টমার্টিন জেটিতে ভিড়ে তখনই শঙ্কায় পড়ে পর্যটকরা। কারণ প্রায় দেড়যুগ আগে নির্মিত হওয়া জেটি আর সংস্কার হয়নি। এতে জাহাজ থেকে নামাতে গিয়ে বা জেটি পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয়রা জানায়, ২০০৪ সালে সিএমএম কনসোর্টিয়াম মালিকের ঠিকাদারিতে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেন্টমার্টিনের একমাত্র আধুনিক জেটি। দীর্ঘদিন ধরে জেটির রেলিং পূর্ব পাশের পার্কিং ও গাইড ভিম, স্প্রিং ভিম সাগরের বুকে চলে যায়। জেটির নিচে বেশির ভাগই পলেস্তার উঠে রড দেখা যাচ্ছে। ফলে যেকোন মুহূর্তে দুর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে। সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ফণী ও টর্নেডোর আঘাতে প্রবল ঢেউয়ে জেটিতে ভয়াবহ ভাঙন ও ফাটল তীব্র হয়েছে। এ জেটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো নজর নেই বললেই চলে। এতে স্থানীয় দ্বীপ বাসীর মাঝে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।

জেটি ভেঙে বেহাল দশা

জানা যায়, সেন্টমার্টিনে ছোট, বড় ৫০-১০০টি আবাসিক হোটেল, বাড়ি ঘর, কটেজ, রেস্টুরেন্ট, ১ শ'-২ শ' দোকান ১ শ' ১৪ টি ভ্যান ও রিকশা, ২৫টি সার্ভিস বোট, দ্বীপে বসবাসরত ১০ হাজার মানুষসহ সবাই পর্জটক মৌসুমে আয় করার জন্য অপেক্ষায় থাকে। কখন পর্যটক মৌসুম আসবে।

সেন্টমার্টিনের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা সেলিম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, জেটির স্পিং ভিম ভাঙনে সেন্টমার্টিনের সার্ভিস বোট ভিড়তে না পেরে বর্ষাকালে সাগরের মাঝখানে নোঙর দিয়ে গভীর বঙ্গোপসাগরে লবণাক্ত পানিতে যাত্রী নামানো হচ্ছে। চলতি পর্যটক মৌসুমে প্রবল ঢেউ, বাতাসের কারণে পর্যটকবাহী জাহাজের ধাক্কায়ও জেটি পার্কিংয়ের কিছুটা ফাটল দেখা যায়। বর্ষাকালে বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে জেটির পূর্বের পাশের পার্কিংয়ের গাইড ভিম বিলীন হয়ে সাগরের পানিতে ডুবে গেছে। ফলে প্রতিনিয়ত পর্যটকবাহী জাহাজ ও সার্ভিস বোট ঝুঁকিতে যাত্রীসহ ওঠা-নামা করছে।

পলেস্তার উঠে রড বের হয়ে গেছে 

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সামিরা-সোলায়মান দম্পতি বলেন, জেটির ভয়াবহ ভাঙনে পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমাটিন দ্বীপে আসলেও ভিড়তে সময় লাগে। তাই আমাদের সুবিধার জন্য দ্রুত সংস্কার করে আরও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ওঠা-নামা করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

সেন্টমাটিন সার্ভিস বোট মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলম বার্তা২৪.কমকে জানান, সেন্টমাটিন জেটিটির ভয়াবহ ভাঙনে গাইড ভিম না থাকায় সার্ভিস বোট সেখানে ভিড়তে পারেনা। পর্যটকবাহী ১ টি জাহাজ ভিড়লেও অন্য জাহাজ ভিড়তে না পেরে বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে নোঙর করে অপেক্ষা করতে হয়। বিকল্প ব্যবস্থায় যাত্রী ওঠা-নামা করেন। ঝুঁকিপূর্ণ জেটির দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

ঝুঁকি নিয়ে পর্যটকরা ওঠা-নামা করছে

টেকনাফ কেয়ারী সিন্দাবাদ জাহাজের ইনচার্জ মো. শাহ আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, সেন্টমাটিন দ্বীপবাসীর একমাত্র যাতায়াতের জেটি ভাঙনে আগত পর্যটকদের নির্বিঘ্নে ওঠা-নামা করতে নতুন জেটির বিকল্প নেই। তাই প্রতি বছরের ন্যায় ভাল কাঠ দিয়ে দ্রুত সংস্কার করে পর্যটকবাহী জাহাজ ভিড়তে উপযুক্ত করে দিতে জেলা পরিষদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত বছর ৫ লাখ টাকায় জেটির রেলিং সংস্কার করা হয়েছে। বর্ষাকালে প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে জেটিতে আবার ফাটল দেখা দেয়। বিদ্যমান জেটির দক্ষিণ পাশে নতুন জেটি নির্মাণে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, সেন্টমার্টিন দ্বীপটিতে প্রতি মৌসুমে লাখো পর্যটক ভ্রমণে আসে। যা গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার। এতে যেকোনো সময় পর্যটকরা বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়তে পারেন। জেটি সংস্থার করে নিরাপদ ভ্রমণ সেবা চান দূর-দূরান্ত থেকে আসা এসব পর্যটকরা।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;