ফেব্রুয়ারিতে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি



নুরুল হক, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টেকনাফ(কক্সবাজার)
পেঁয়াজের চালান দ্রুত খালাস করছে শ্রমিক

পেঁয়াজের চালান দ্রুত খালাস করছে শ্রমিক

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমার থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ হাজার ৩৪৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে সেদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি এখনো অব্যাহত রয়েছে। দেশের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি করছেন। মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি আগামী রমজান মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা ।

শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো: আবছার উদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিন শনিবারে মিয়ানমার থেকে ১৫৫৮ দশমিক ৯৭১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দরে খালাস করা হয়েছে। এসব পেঁয়াজ আমদানি করেন ১৪ জন ব্যবসায়ী। তার মধ্যে বেশি পেঁয়াজ এনেছেন ব্যবসায়ী বাহাদুর ৩২৬ দশমিক ৬১৭ মেট্রিক টন, আয়াস ১৯৭ দশমিক ৮১৭ মেট্রিক টন ও সজীব ১৬৭ দশমিক ৬১৫ মেট্রিক টন। দেশের চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্দরের কার্যক্রম শেষ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, এই মাসে পেঁয়াজ আমদানি গত জানুয়ারি মাসের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। যার ফলে অন্যান্য পণ্য আমদানি কম হয়েছে। এর ফলে মাসিক রাজস্ব আদায়ে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তারপরও দেশের চাহিদা পূূূরণে পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানায়, গত জানুয়ারি মাসে ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর আগে ডিসেম্বর মাসে ১৪ হাজার ৬৪৭ মেট্রিক টন, নভেম্বর মাসে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন, অক্টোবর মাসে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর মাসে ৩৫৭৩ মেট্রিক টন এবং আগস্টে ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।

এদিকে চলতি অর্থ বছরের আগস্টে অল্প পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়। এরপরে সেপ্টেম্বর মাসে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিলে মিয়ানমারের পেঁয়াজের প্রতি ঝুঁকে ব্যবসায়ীরা। যার ফলে চলতি অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এসেছে ১ লাখ ৬ হাজার ৮২৭ দশমিক ৯৪২ মেট্রিক টন। যা দেশে পেঁয়াজের চাহিদা অনেকটা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানায়, দেশে চাহিদা থাকায় মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে পেঁয়াজ কাচামাল হওয়ায় আমদানিতে ঝুুুঁকিও বেশি, তারপরও আমদানি করে যাচ্ছি।

টেকনাফ স্থলবন্দরের বেসরকারি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মো: জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে পেঁয়াজ আমদানি আগের চেয়ে বেশি হয়েছে। দেশের চাহিদা মেটাতে ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি করছে। তবে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ট্রলার থেকে দ্রুত সময়ে খালাস ও সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধুুমাত্র পেঁয়াজ খালাসের জন্য বন্দরে আলাদা জেটির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;