বগুড়ায় খালেদা-তারেক মুক্তি পরিষদ নিয়ে তোলপাড়



গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বিএনপি

বিএনপি

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় নব গঠিত খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ নিয়ে তোলপাড় চলছে জেলা বিএনপিতে। যাদেরকে নিয়ে এই পরিষদ গঠন করা হয়েছে তাদের অনেকেই বলছেন এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। অন্যদিকে খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদকে ভুঁইফোঁড় সংগঠন উল্লেখ করে জড়িত ৫৮ জনকে শোকজ করেছে জেলা বিএনপি। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মাঝে। অনেক আবার পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে সংগঠনের সাথে জড়িত নাই মর্মে প্রচার করছেন।

জানা গেছে, কয়েকদিন  হঠাৎ করে খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ নামের একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ৫৮ সদস্যের এই কমিটিতে সভাপতি সোহেল শাহরিয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম পুটু। কমিটিতে সাত সদস্যদের একটি উপদেষ্টা পরিষদ ঘোষণা করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সকলেই জেলা বিএনপির সাবেক নেতা। ৫৮ সদস্যের এই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উপদেষ্টা পরিষদের অনেকেই চেনেন না। খালেদা জিয়া- তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ আত্মপ্রকাশ হলে জেলা বিএনপিতে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা বিএনপির অনেক নেতাই বলছেন খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের মুক্তির দাবীতে জেলা বিএনপি নিয়মিত কর্মসূচি পালন করে আসছে। সেখানে এ ধরনের কমিটির কোন প্রয়োজন নেই।

এদিকে গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা বিএনপির পক্ষে যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদের ৫৮ জনকে শো-কজ করা হয়। এছাড়াও সংগঠনটি ভুঁইফোঁড় এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্য করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বাছেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, তার সাথে কেউ আলোচনা করেনি এই পরিষদ গঠনের ব্যাপারে।

এছাড়াও তিনি পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তিনি চেনেন না বলে জানান।

উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা পাপন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমিও এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে সোহেল শাহরিয়ার নামের যাকে এই পরিষদের সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে তিনি বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি ভিডিও করতেন।

এদিকে খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক লাপাত্তা হয়ে গেছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন,  এ ধরনের সংগঠনে কোন অনুমতি নেই কেন্দ্রের। ধান্দাবাজি করার জন্য এ ধরনের পরিষদের আত্মপ্রকাশ করে বিএনপির ভাবমুর্তি নষ্ট করা হয়েছে। কমিটিতে যাদের নাম আছে তাদের প্রত্যেককে শোকজ করা হয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;