যাত্রী সংকটে যশোর-কলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেস



জাহিদ হাসান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
বন্ধন এক্সপ্রেস/ছবি: বার্তা২৪.কম

বন্ধন এক্সপ্রেস/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক পথের চেয়ে ট্রেনযোগে কলকাতা যাত্রার ভাড়া কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় যাত্রী মিলছে না বন্ধন এক্সপ্রেসে। এতে খুলনা-যশোর-কলকাতা রুটের এই ট্রেন সার্ভিসটিতে লোকসান গুনছে বাংলদেশ রেলওয়ে। দীর্ঘ দিনের দাবির মুখে ট্রেনটির যশোর স্টপেজ চালু হলেও যাত্রী সংখ্যা ক্রমশ কমছে। চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহে ৮শ' আসনে মাত্র দুইজন যাত্রী নিয়ে যশোর ছেড়েছে ট্রেনটি।

যাত্রীদের অভিযোগ, বেশি ভাড়ার পাশাপাশি ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স ভোগান্তিও ট্রেনটির যাত্রী কমার অন্যতম কারণ। এছাড়া ট্রেনে কলকাতায় পৌঁছাতেও তুলনামূলক সময় বেশি ব্যয় হয়। তবে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, ট্রেনটি (বন্ধন এক্সপ্রেস) কখনও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কলকাতায় পৌঁছায় না। তাই ট্রেনটির নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রা কলকাতা-খুলনায় যাতায়াতকারী মানুষকে সেভাবে আকৃষ্ট করতে পারেনি।

নিয়মিত যারা কলকাতায় যান তাদের দাবি, যশোর থেকে সড়ক পথে কলকাতা যেতে একজন পাসপোর্ট যাত্রীর সর্বসাকুল্যে খরচ হয় বাংলাদেশি ছয়শ’ টাকা। এদিকে বন্ধন এক্সপ্রেসে কলকাতা যেতে খরচ গুণতে হয় যাত্রী প্রতি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। খুলনা-কলকাতা রুটে ১২০ কিলোমিটার ট্রেন যাত্রায় এসি চেয়ারে ভাড়া ভ্রমণকরসহ ১ হাজার ৫০০ টাকা। এসি সিটের ভাড়া ভ্রমণকরসহ দুই হাজার টাকা। কলকাতায় যাতায়াতকারী মানুষজনের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা গেছে, সড়কপথে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রবেশের পর একজন পাসপোর্ট যাত্রীর কলকাতা যেতে ভ্রমণকরসহ খরচ হয় মাত্র ৬০০ টাকা।

যশোর রেলওয়ে জংশন সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে খুলনা-কলকাতা রুটে এক্সপ্রেস চালু হলেও যশোরে কোনো স্টপেজ ছিল না। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যশোরে এই স্টপেজ চালু হয়। ২০১৯ সালের ৭ মার্চ সংরক্ষিত দুইশ' আসন নিয়ে সপ্তাহে একদিন বৃহস্পতিবার যশোর স্টপেজে যাত্রাবিরতি শুরু করে। তবে যশোর স্টপেজ চালুর পর থেকে ট্রেনটির কোনো যাত্রায় ৩০টির বেশি আসন পূর্ণ হয়নি।

এটির কারণ হিসেবে যাত্রীরা বলছেন, যাতায়াতের দিন ট্রেনটির প্রায়শই উভয় স্টেশন থেকেই ছাড়তে দেরি হয়। ট্রেনটি কলকাতা থেকে ছেড়ে আসে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়। আর খুলনা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয় দুপুর ২টায়। ট্রেন খুলনা থেকে ছেড়ে যাবার পর কলকাতা স্টেশনে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ পৌঁছনোর কথা থাকলেও পৌঁছাতে রাত ৮টা বা ৯টা বেজে যায়। এতে চিকিৎসা বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হওয়া যাত্রীরা সেখানে গিয়ে পড়ে যান আবাসন সংকটে।

যশোর রেলওয়ে জংশন সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে যশোর স্টপেজ থেকে যাত্রীর সংখ্যা ছিলো ১৬০ জন। এপ্রিলে ১০৭ জন, মে মাসে ৭৩, জুনে ৪৪ জন, জুলাইয়ে ৯৪ জন, আগস্টে ৯৮ জন, সেপ্টেম্বরে ৭২ জন, অক্টোবরে ৭০ জন, নভেম্বরে ৯৮ জন ও ডিসেম্বর ৬৩ জন।
এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৯৫ জন এবং চলতি মার্চ মাসে প্রথম সপ্তাহে মাত্র ২ জন যাত্রী নিয়ে যশোর স্টপেজ ছেড়েছে ট্রেনটি। সে হিসেবে এক বছরে যশোর স্টপেজে যাত্রীর সংখ্যা ছিলো এক হাজার ১২ জন। এতে যশোর স্ট্রেশন থেকে এক বছরে আয় হয়েছে ১৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭০৫ টাকা। যশোর থেকে প্রতি মাসে ৮শ’ সিট বরাদ্দ থাকলেও স্টপেজ থেকে যাত্রী সংখ্যা কমেছে কয়েকগুণ।

যাত্রীদের দাবি, বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স শেষ হতে দীর্ঘ সময় লাগছে। এখানে ১৩টি কাউন্টার থাকলেও সবগুলো সচল না থাকায় ক্লিয়ারেন্সে সময় বেশি লাগছে। ফলে কলকাতা পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এজন্য ট্রেনে ওঠার আগেই ইমিগ্রেশনে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলছেন তারা। তাহলে যাত্রী বাড়বে বলে মনে করছেন চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণের জন্য কলকাতায় নিয়মিত যাতায়াত করা যাত্রীরা।

যশোর শহরের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন জানান, ট্রেনের ভাড়ার পরিমাণ অনেক বেশি। এক্ষেত্রে সড়ক পথে ভাড়া অনেক কম। ভ্রমণ করসহ ছয়শ টাকা খরচ করে কলকাতা যাওয়া যায়।

তুহিন হোসেন নামে আরেক যাত্রী জানান, ভারতীয় কাস্টমসে যাত্রী হয়রানি বন্ধসহ বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীদের ভারতে গিয়ে কমপক্ষে দুই রাত অবস্থান বাধ্যতামূলক করেছে। এছাড়া সপ্তাহে একদিন ‘বন্ধন’ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু থাকায় দরকারি প্রয়োজনে ট্রেনে করে কেউ যাতায়াত করতে চান না। সপ্তাহে ২-৩ দিন ট্রেন চলাচল ও ভাড়ার পরিমাণ কমালে যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করেন তিনি।

সামসুর নাহার পলি নামে এক যাত্রী বলেন, গত মাসে বন্ধন এক্সপ্রেসে করে যশোর স্টেশন থেকে কলকাতায় গিয়েছিলাম। দুপুর ২টায় পর ট্রেন যশোর স্টেশন ছাড়ে। অপরদিকে রাত ৮টায় কলকাতায় পৌঁছায়। এর জন্য আবাসন সংকটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে হয়।

এ বিষয়ে যশোর রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রচার প্রচারণা না থাকার কারণে শুধু যশোর না বেনাপোল থেকেও ‘বন্ধন’ এক্সপ্রেস যাত্রী কমেছে। তাছাড়া সড়ক পথের চেয়ে ট্রেনে ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে যাত্রী পাচ্ছে না বলে মনে করেন এই স্টেশন কর্মকর্তা।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;