একটি মাত্র থার্মোমিটারই ভরসা বিলোনিয়া স্থলবন্দরে



আমিরুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
করোনা শনাক্তে একটি মাত্র থার্মোমিটারই ভরসা /ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনা শনাক্তে একটি মাত্র থার্মোমিটারই ভরসা /ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশে। দেশের বিমান, সমুদ্র, ও স্থলবন্দরগুলোতে করোনা শনাক্তে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক থার্মাল স্ক্যানার। কিন্তু ফেনীর পরশুরামের বিলোনিয়া স্থলবন্দরে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হলেও একটি মাত্র থার্মোমিটার সম্বল করে চলছে তার কার্যক্রম। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকদেরও নেই সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা। তাদের ভরসা কেবল মাস্ক আর গ্লাভস।

এভাবেই বিভিন্ন সমস্যা এবং সংকট মোকাবেলা করে চলছে পরশুরাম বিলোনিয়া স্থলবন্দরে করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্তে গঠিত মেডিকেল ক্যাম্পের কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।

ক্যাম্পে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক ডা. গিয়াস উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য এখানে মাত্র একটি থার্মোমিটার দিয়ে কোনোমতে আমরা কাজ করে আসছি। এখানে আমাদের শারীরিক নিরাপত্তার জন্য নিজেরাও সবসময় শঙ্কায় রয়েছি। শুধুমাত্র মাস্ক আর গ্লাভস ছাড়া আমাদের কিছুই দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, গাউনসহ শারীরিক নিরাপত্তার জন্য আরও অন্যান্য সরঞ্জাম থাকলে কাজ করতে আমাদের ভয় থাকত না।

ক্যাম্পে দায়িত্বরত অপর চিকিসৎসক ডা. সেলিম বলেন, গত দেড়মাস ধরে প্রতিদিন ২জন করে চিকিৎসক এখানে শিফট অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন। এখানে আমরা ভারত-বাংলাদেশে আগমন ও বহির্গমনরত ব্যক্তিদের থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করছি।

তিনি বলেন, বর্তমানে ভারতেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। যার ফলে এখানে কাজ করতে এসে আমরা ভীতিকর অবস্থার মধ্যে রয়েছি।

মেডিকেল ক্যাম্প সূত্র জানায়, গত ২৯ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত ক্যাম্পে ৪৩৭ জনের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া যায়নি।

সূত্র আরও জানায়, কোন ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে অথবা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহ হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিলোনিয়া স্থলবন্দর/ছবি: বার্তা২৪.কম

স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য এএসআই আশিকুর রহমান বলেন, মেডিকেল ক্যাম্প থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আমাদের কাছে লিখিত রিপোর্ট নিয়ে আসলেই শুধুমাত্র আমরা ভিসা প্রক্রিয়াকরণ করছি। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ব্যতীত কোন যাত্রীকে আমরা ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত করছিনা।

মেডিকেল ক্যাম্পের সমস্যার বিষয়ে উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল খালেক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, মেডিকেল ক্যাম্পের যাবতীয় সরঞ্জাম এবং হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের সরঞ্জামের জন্য আমি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করেছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আশাকরি সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াতরত মালবাহী গাড়ির ড্রাইভাররা কোনরকম স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই আসা-যাওয়া করছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলছেন, এভাবে কোনো প্রকার চেকআপ ছাড়াই তাদের আগমন-বহির্গমনে আমরা ঝুঁকিতে রয়েছি।

এ প্রসঙ্গে জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্থলবন্দরে মেডিকেল দলটির জন্য গ্লাভস, গাউন ও মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে। যদি তারা গাউন না পেয়ে থাকেন তাদের আজকেই পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, স্থলবন্দরে এখন পর্যন্ত কারো শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তবে সন্দেহজনক মনে হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে প্রেরণ করা হবে। প্রয়োজনে সেখান থেকে তাদের ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;