কেউ রইল না তাদের!



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
যমজ শিশু দুটি

যমজ শিশু দুটি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সড়ক দুর্ঘটনায় মা-বাবাকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেলো যমজ দুই অবুঝ শিশু। ঠিকভাবে হাটতে না পারা দেড় বছরের শিশু দুটিকে দেখার জন্য বৃদ্ধ দাদা-দাদি ছাড়া আর কেউই রইল না। শিশু দুটিকে নিয়ে দাদা-দাদি যেমন পড়েছেন বিপাকে, তেমনি তাদের ভবিষ্যৎও এখন অন্ধকার। মা-বাবার খোঁজে কেঁদে কেঁদে শয্যাশায়ী শিশু দুটি।

বলছি, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের নোমান মিয়ার (২৫) কথা। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও যমজ দুই কন্যা শিশুকে নিয়ে ছোট সংসার তার। অভাব অনটনের মধ্যেই দিনযাপন করলেও সুখের অভাব ছিল না তার সংসারে। কিন্তু সেই সুখ কপালে সইল না। একটি দুর্ঘটনায় ভেঙে তছনছ হয়ে গেলো সাজানো সংসারটি।

ঘটনাটি চলতি মাসের ২০ মার্চের। ওই দিন দুপুরে অসুস্থ স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে (২২) নিয়ে ডাক্তার দেখাতে সিএনজি অটোরিকশাযোগে হবিগঞ্জ শহরের আসছিলেন নোমান মিয়া। পথিমধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নূরপুর এলাকায় পৌঁছলে একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের বহনকৃত সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় সিএনজিটি। ঘটনাস্থলেই মারা যায় নোমান মিয়া। গুরুত্বর অবস্থায় তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনিও।

বর্তমানে মা-বাবাকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে কোলের দুই যমজ শিশু। এখনও তারা জানে না তাদের মা-বাবা আর কোনদিন ফিরবেন না। কোলে নিয়ে আর আদর করবে না। বাবা-মায়ের জন্য দিনরাত কেঁদে কেঁদে শিশু দুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এখন শিশু দুটি দেখার জন্য একমাত্র বৃদ্ধ দাদা-দাদি ছাড়া আর কেউ রইল না। কিন্তু দাদা-দাদি নিজেরাই ঠিকভাবে চলতে পারেন না, আবার আর্থিক অবস্থাও একেবারেই খারাপ। ফলে শিশু দুটিকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন বৃদ্ধ দম্পতিটি।

শিশু দুটির দাদা আব্দুল মোতালিব বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা দুইজন বৃদ্ধ মানুষ। আমরা নিজেরাই নিজেদের খেয়াল রাখতে পারি না। এই অবুঝ দুটি শিশুর কি করে দেখা-শুনা করব? তাছাড়া আমাদের টাকা পয়সাও নেই। খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে নাতিরা। তাদের কান্না থামাতে পারছি না। তারা শুধু মা-বাবকে খুঁজছে।

এ বিষয়ে নূরপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. ওয়াহিদুর রহমান বলেন, শিশু দুটির দিকে তাকানো যায় না। এখনও তারা কিছুই বুঝতে শিখেনি। এরমধ্যে মা-বাবাকে হারিয়ে এতিম হয়ে গেল। তাদের দেখা-শোনার জন্য একমাত্র দাদা-দাদি ছাড়া আর কেউ নেই। পরিবারটির আর্থিক অবস্থাও একদম ভালো না। বিভিন্ন জায়গা থেকে সহযোগিতা সংগ্রহ করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

আর নূরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মুখলিছ মিয়া বলেন, ঘটনাটি নিয়ে আমরা খুবই মর্মাহত। পরিবারটিও অত্যন্ত অসহায় হওয়ায় সরকারি সহায়তার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকেও কিছু সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার বাসের বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করেনি। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান বলেছিলেন শিশু দুটির ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে বাস মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে কিছু একটা করার জন্য। দু’এক দিনের মধ্যে বাস মালিকের সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে নিয়ে বসা হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;