করোনায় ছুটি মিলছে না চা শ্রমিকদের



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকলেও ছুটি মেলেনি চা শ্রমিকদের/ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকলেও ছুটি মেলেনি চা শ্রমিকদের/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের সংক্রামণ ঠেকাতে সারাদেশের সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাঠে কাজ করছে সেনাবাহীনিসহ স্থানীয় প্রশাসন। অথচ এখনও ছুটি মেলেনি হবিগঞ্জের চা শ্রমিকদের। সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণভাবেই প্রতিদিন উৎপাদন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অবহেলিত এ শ্রমিকরা। শ্রমিক নেতারা অভিযোগ করেন- ছুটির জন্য বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অনুরোধ জানালেও তারা কোনো কর্ণপাত করছে না। আর স্থানীয় প্রশাসন বলছে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি নির্দেশনা না আসায় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তারা।

জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট, মাধবপুর, বাহুবল ও নবীগঞ্জ উপজেলায় ২৪টি চা বাগান রয়েছে। সেখানে নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় অর্ধলক্ষাধিক। আর শিশু-বৃদ্ধ মিলিয়ে এ জেলায় চা শ্রমিক পরিবারের সদস্য সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যাবে। সব সময় অবহেলিত এ শ্রমিকদের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসেও মুক্তি মেলেনি। তাদেরকে কাজ করতে হচ্ছে অন্যদিনের মতোই। স্বাস্থ্য সচেতনহীন এসব চা শ্রমিকদের নেই নূন্যতম নিরাপত্তা। শারীরিক দূরত্ব মানা তো দূরের কথা, মাস্ক ব্যবহারও করছেন না তারা।

ছুটির দাবি জানালেও কর্ণপাত করছে না কর্তৃপক্ষ

শ্রমিকদের দাবি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ঠেকাতে সারাদেশে সব কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর থেকে বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে তারা ছুটির জন্য আবেদন জানিয়ে আসছেন। বাধ্য হয়ে গত ২৭ মার্চ ছুটির দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করে চুনারুঘাট উপজেলার নালুয়া ও আমু বাগানের শ্রমিকরা। অন্যদিকে, দেশের সকল চা বাগানের শ্রমিকদের স্ব-বেতনে ছুটির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন।

এ ব্যাপারে দেওয়ন্দি চা বাগানের শ্রমিক অরুণা সাওতাল বলেন, শুনেছি করোনাবাইরাসে মানুষ মরে যায়। তাই আমরা বাগান মালিকের কাছে ছুটি চেয়েছি। কিন্তু ছুটি না দিলেতো কিছু করার নেই। বাগানে যদি কাজ করতে না আসি তাহলে না খেয়ে মরতে হবে।

বাগান পঞ্চায়েক কমিটির নেতা স্বপন সাওতাল বলেন, আমরা বাগান কর্তৃপক্ষকে স্ব-বেতনে শ্রমিকদের ছুটির জন্য অনুরোধ করে আসছি। কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ আমাদের কথায় কান দিচ্ছে না। এ অবস্থা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে করোনা ঝুঁকি বেড়ে যায়।

গত ২৭ মার্চ ‘বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন’ নেতারা শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে যে চিঠি পাঠিয়েছে তাতে বলা হয়, দেশের এই চরম সংকটময় পরিস্থিতিতে সবাইকে যখন নিজগৃহে নিরাপদে অবস্থান করার কথা বলা হচ্ছে। তখন একই রাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে চা শ্রমিকদের জন্য ভিন্ন আইন কিভাবে চালু থাকে?

আপাতত শ্রমিকদের মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে

তবে বাগান কর্তৃপক্ষ বলছে- ছুটি না দিলেও শ্রমিকদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি বাগানে শ্রমিদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কাজ কমিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলার চন্ডিছড়া চা বাগানের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রেখেছি। একইসঙ্গে আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডিউটি ছিল। কিন্তু এখন দুই ঘণ্টা কমিয়ে বেলা ২টা পর্যন্ত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সত্যজিৎ রায় বলেন, চা বাগান বন্ধ রাখতে এখনও শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তবে শ্রমিকদের সুরক্ষা দিতে প্রতিটি বাগান কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। সেখানে শ্রমিকদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করার জন্য প্রতিটি বাগান কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। এছাড়া তাদের ছুটির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

সচেতন মহল বলছেন, স্বাস্থ্য অসচেতন ও ঘনবসতি হওয়ায় চা শ্রমিকদের একজনের মধ্যে করোনা সংক্রামণ দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;