কাকডাকা ভোরে ভিক্ষুকের দরজায় ত্রাণ নিয়ে ইউএনও



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ভিক্ষুকের বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ-সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন বালিয়াকান্দির ইউএনও ও সেখানের বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা।

ভিক্ষুকের বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ-সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন বালিয়াকান্দির ইউএনও ও সেখানের বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা।

  • Font increase
  • Font Decrease

তখনও সূর্যের আলো ফোটেনি। মসজিদ থেকে ভেসে আসছে ফজরের আজান। অনেকেই আবার ঘুমিয়ে আছেন। কিন্তু ঘুম নেই তার। কাকডাকা ভোরে ত্রাণ-সামগ্রী নিয়ে হাজির হন ভিক্ষুকের বাড়ির দরজায়।

বলছিলাম রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একেএম হেদায়েতুল ইসলামের কথা। আর এই ত্রাণ বিতরণের কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা।

মূলত করোনার প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায় এবং মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভিক্ষা করে তারা পড়েছেন চরম বিপাকে। সরকারের নির্দেশ মানতে জনসমাগম রোধে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না তারা। ফলে নানা সংকটে তারা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

কিন্তু কোনো ভিক্ষুক যেন না খেয়ে থাকে কিংবা বাড়ির বাইরে না যায় সেই দিকটা লক্ষ্য করে তালিকাভুক্ত ২১২ জন ভিক্ষুকের বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ-সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন ইউএনও হেদায়েতুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ভোরে তালিকাভুক্ত উপজেলার ২১২ জন ভিক্ষুকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চাল, ডাল, আলু, সাবান, তেল দেন তিনি।

এ সময় ইউএনও’র সঙ্গে ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার আলমগীর বাদশা, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন, একটি বাড়ি একটি খামারের সমন্বয়ক বিধান কুমার দাস ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন মামুন ও শালমারা ও নিশ্চিন্তপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা।

তারা বার্তা২৪.কমকে বলেন, একজন ইউএনও’র অনেক প্রশাসনিক কাজের চাপ থাকে। এতো চাপের মাঝেও ভোরে স্যার নিজে আমাদেরকে ডেকে নিয়ে ত্রাণ দেয়ার জন্য ভিক্ষুকদের বাড়িতে যান। এ কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে।

ত্রাণ পাওয়া ভিক্ষুকরা বলেন, ঘুম থেকে জেগে দেখি বাড়ির উঠানে অনেক মানুষ। পরে দেখি ইউএনও স্যার আমাদের জন্য খাবার নিয়ে এসেছেন। আমরা কয়েকদিন ধরে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি। স্যার আমাদের কথা মনে রেখেছেন। আল্লাহ যেন তার ভালো করে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বর্তমান সময়টা খুবই চ্যালেঞ্জিং। কেউ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। সরকারসহ অনেকেই এই দুঃসময়ে নিম্ন আয়ের মানুষদের পাশে এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু অনেক ভিক্ষুক রয়েছেন যারা এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ পাননি। তাই আমি তাদের কথা ভেবে সামান্য কিছু করার চেষ্টা করেছি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;