করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ব্যাংকের লেনদেন



মো: মোসলেহ উদ্দিন, অতিথি লেখক
ব্যাংকের লেনদেন। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংকের লেনদেন। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাকালে নাগরিক চলাচল সীমিতকরণ কিংবা গৃহবন্দিত্বের প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতার আরোপ করা হলেও মানুষের দৈনন্দিন জীবনে টাকার প্রয়োজন থাকছেই। ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্র কেউই এ বাস্তবতার বাইরে নয়। ফলে করোনাকালের সাধারণ ছুটি আর লকডাউনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অপরাপর অফিস আদালত বন্ধ থাকলেও টাকার লেনদেনের জন্য ব্যাংক খোলা ছিল।

লেনদেনের কম সময় বেঁধে দেয়া কিংবা জনশক্তির রোস্টারিংয়ের শর্ত দিয়ে হলেও ব্যাংক খোলা রাখতে হয়েছে অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কারণে। কারণ সুস্থ/স্বাভাবিক কিংবা অসুস্থ/অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, জীবন ধারণের জন্য টাকা চাইই। বরং একটি অনিশ্চিত এবং অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কাছে টাকার প্রয়োজন আরো বেশি অনুভূত হয়।

বিগত দিনগুলোতে যে চিত্র ব্যাংক পাড়ায় দেখা গেছে তার আলোকে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির অভিজ্ঞতার পর আরেকটি ভয়াবহ অস্বাভাবিকতার অবস্থার কথা ব্যাংকারমাত্রই কল্পনা করতে পারে। বিশেষ করে গ্রাহকবহুল ব্যাংকগুলোর জন্য তো ব্যাপারটিকে রীতিমত আত্মঘাতমূলক বলেই উল্লেখ করা যায়। ব্যাপার তো এমন যে, টাকার জন্য জীবনের ঝুঁকিও তুচ্ছ কারো কারো কাছে।

অবাক করা বিষয় ছিলো এমনও যে, সেসময় জরুরি প্রয়োজনের টাকা যেমন অনেকে উঠিয়েছেন তেমনি অনেকে ঘরের কিংবা হাতের টাকা ভিড় ঠেলে ব্যাংকে এসে জমা দিতেও যারপরনাই মরিয়া ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ ছিলো ব্যাংকের ভেতর সামাজিক দূরত্ব মানা যায় শুধুমাত্র এমনসংখ্যক লোকই একসাথে ব্যাংকে ঢুকাতে। সেবা গ্রহণ করে আগের দল থেকে যে পরিমাণ বের হবে শুধু সে পরিমাণ লোককেই আবার প্রবেশ করতে দেয়া। তবে ব্যাংকগুলোর জন্য সে চেষ্টা ছিলো নিরেট পণ্ডশ্রমের মতো। আটকালে গেটের সামনে ভিড়। আর ছেড়ে দিলে ব্যাংকের ভেতরে ভিড়। তারপরও প্রবেশ করা এবং বের হবার সময় যে ধাক্কাকাধাক্কি তাকে তো করোনা স্বাস্থ্যবিধির কোনো অভিধায় ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই। নিয়ন্ত্রণ চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিতে মরিয়া মনোভাবের কাছে ব্যাংকারদের হার মানা ছাড়া উপায়ও ছিল না তখন।

সারা দুনিয়া জুড়ে এমনই ত্রাহি ত্রাহি অবস্থার সময়ে আমাদের খামখেয়ালিপনার মাঝেও কপাল গুণে হয়তো আমরা বেঁচে গেছি। আমাদের পূণ্যের পাল্লা ততোটা ভারি না হলেও আল্লাহ রহমতে সে যাত্রায় বেঁচে যাওয়া মানে একেবারে মুক্তি নয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন সে জায়গায় নিজেকে একবার ভাবলে অনুমান করা যায় আসল বাস্তবতা। আবার আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে কিংবা নিজ ঘরে বিছনায় কাতরাতে কাতরাতে বেঁচে গেছেন তাদের কাছেও গা শিউরে ওঠা ভয়াবহ অভিজ্ঞতার গল্প শুনেও যারা আক্রান্ত হনননি তারা কতটা ভাগ্যবান তাও অনুমান করতে পারেন।

আসছে শীতে পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল। সরকারও সজাগ। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে দেশময় নানা কঠোরতা আরোপের আভাস মিলছে গণমাধ্যমের বরাতে। ইতোমধ্যে ”নো মাস্ক নো সার্ভিস” নামে একটি শ্লোগান সরকারী তরফে প্রচারও করা হচ্ছে।

সম্ভাব্য কঠিন সময়ে অফিস আদালত খোলা রেখেই হোক কিংবা কার্যক্রম সীমিত করেই হোক সকল ক্ষেত্রে সফলতার জন্য চাই নাগরিক সচেতনতা। ”আমাদের কিছু হবে না” ধাঁচের বালখিল্য কথাবার্তায় প্রভাবিত আচরণ আর যাই বিবেকসিদ্ধ যে নয় তাতে সচেতন মানুষমাত্রই একমত হবেন।

সামনের পরিস্থিতি যাই হোক, ব্যাংক কিন্তু চলবেই। তবে গ্রাহকগণ সচেতন হলে নিম্নোক্ত বিকল্প পদ্ধতির ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করে নিজেকে এবং অন্যকে নিরাপদ রাখতে পারেন।

এক) এজেন্ট ব্যাংকিং: গ্রামাঞ্চলের বাজার/হাটে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের এজেন্ট শাখা রয়েছে। এসব এজেন্ট শাখায় সীমিত পরিসরে প্রায় শতভাগ নিরাপদ সকল প্রকার ব্যাংকিং সেবাই পাওয়া যায়। গ্রামের মানুষদের উচিৎ সেখান থেকেই নিজ নিজ এলাকায় এজেন্ট কেন্দ্র হতে সেবা গ্রহণে অভ্যস্ত হওয়া। যাতে শুধুমাত্র ব্যাংকিং সেবার জন্য তাদের শহরমুখী হয়ে করোনার ঝুঁকির মুখে না পড়তে হয়।

দুই) ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা: প্রায় সকল ব্যাংক এখন ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। এসব ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যাংকিং সেবার বৈশিষ্ট্য হলো গ্রাহক ব্যাংকে না গিয়েও ব্যাংকিং সেবা পেতে পারেন। এসব সেবা আবার রিয়েল টাইমভিত্তিক। অর্থাৎ দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা এবং সপ্তাহের সাতদিনই এসব সেবা সুবিধা ভোগ করা যায়।

এসব সেবা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে অটোমেটেডে ট্রেইলার মেশিন বা এটিএম হলো রিয়েলটাইম পেমেন্ট ক্যাশিয়ার। যা ব্যাংক একাউন্ট হতে চেকের মাধ্যমে টাকা উঠানোর বিকল্প এবং সুবিধাজনক পদ্ধতি। এটিএম/ভিসা নামীয় কার্ড দিয়ে এটিএম হতে টাকা উঠানো অতি সহজ হলেও এখানো দেশের সিংহভাগ গ্রাহক ব্যাংকে স্বশরীরে গিয়ে টাকা উঠাতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন । তাদের এ মানসিকতা পাল্টাতে হবে। করেনাসময়ে ব্যাংকের গিয়ে নিজে ভিড়ে পড়া কিংবা ভিড়ের কারণ হওয়া এড়াতে চাইলে এটিএম বুথ ব্যবহারের বিকল্প নেই।

এটিএম এ টাকা উত্তোলনের কাজটা চললেও জমার কাজে তো ব্যাংকে যেতে হয়। তার মানে ঝুঁকি তো থাকছেই। তবে এর বিকল্প হিসেবে ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিন বা সিআরএম মোক্ষম ব্যবস্থা হিসেবে সংযুক্ত হয়েছে। একই মেশিনে টাকা জমা এবং উঠানোর ব্যবস্থা আছে। উন্নত প্রযুক্তির এসব মেশিন স্বয়ংক্রিংয়ভাবে টাকা গণনা, বাছাই করে গ্রাহকের চাহিত একাউন্টে তাৎক্ষণিক টাকা জমা করে প্রিন্টেট রিসিপ্ট প্রদান করে এবং মোবাইল ম্যাসেজের মাধ্যমে জমা নিশ্চিত করে।

একজনের জমাকৃত টাকা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় গুছানো হয়ে মান অনুযায়ী আলাদা আলাদা ট্রেতে চলে যায় এটিএম পেমেন্টের জন্য। এটিএম/ভিসা কার্ড দিয়ে একই টাকা থেকে অন্য গ্রাহক উঠাতে পারেন। ফলে একই সাথে সিআরিএম রিসিভ এবং পেমেন্ট ক্যাশিয়ারের দ্বৈত ভূমিকায় কাজ করে। এতে করে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তাতে অস্বাভাবিক সময়ে তো বটেই স্বাভাবিক সময়েও পথের পাশের এসব মেশিন ব্যবহার করে অধিকাংশ গ্রাহক লেনদেনের প্রয়োজন সারতে পারবেন।

তবে অসুবিধার একটা দিক এই যে, বাংলাদেশে সিআরএম এর ব্যবহার খুবই সাম্প্রতিক এবং এখন পর্যন্ত বড় শহরগুলোতে সীমাবদ্ধ। আশার কথা হলো চলতি বছর হতে তা ক্রমে জেলা এবং উপজেলা শহরেও পৌঁছে যাচ্ছে। এজেন্টের বৃহৎ নেটওয়ার্কের পাশাপাশি গ্রামে গঞ্জের প্রায় প্রতিটি বড় হাট/বাজার ছাড়াও রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড়, বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/শিল্প প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল সেবার সেরা নেটওয়ার্ক। একটু সচেতন এবং হিসেবি হলে অনেক গ্রাহককেই আর সেবার জন্য ব্যাংকে যাবার প্রয়োজন হবে না। আর এভাবেই ব্যাংকিং সেক্টরের প্রেক্ষাপটে করোনার শীতকালীন সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকিও ম্যানেজ করা সম্ভব হবে ইন শা আল্লাহ।

লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক ও ব্যাংকার

   

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। আগামীকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে।

জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।

এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

;