কাদিয়ানিদের অর্থায়নকারী প্রাণ-আরএফএলের পণ্য বর্জনের আহবান ১০১ আলেমের



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রাণ-আরএফএলের

প্রাণ-আরএফএলের

  • Font increase
  • Font Decrease

কাদিয়ানিদের পৃষ্ঠপোষক ও অর্থায়নকারী হিসেবে চিহ্নিত করে দেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএলের উৎপাদিত যাবতীয় পণ্য বয়কটের আহবান জানিয়েছেন দেশের ১০১ আলেম।

রোববার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে মাওলানা মো. নাজমুল হকের পাঠানো ১০১ আলেমের বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ ডিসেম্বর কাদিয়ানিদের প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকীতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিইও আহসান খান চৌধুরীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে তারা কাদিয়ানিদের পৃষ্ঠপোষক, অর্থায়নকারী। সুতরাং তাদের মালিকানাধীন প্রাণ-আরএফএলের পণ্য মুসলমানদের বর্জন করতে হবে।

১০১ আলেমের নাম সম্বলিত সম্মিলিত বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ যে কাদিয়ানি মালিকানাধীন- তা দেশের অধিকাংশ মুসলমান জানেন না। যেহেতেু কাদিয়ানিরা শেষ নবী হিসেবে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মানে না, তাই তারা কাফের। সুতরাং কাদিয়ানিদের অর্থায়নকারী ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে প্রাণ-আর এফএলের পণ্য বর্জন করতে হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রাণ-আরএফএল-এর উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানও ঠিক নেই। এমনকি তা জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়। বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ বিএসটিআই গুণগত মান বজায় রেখে পণ্য উৎপাদন করতে না পারায় যে ৩১ কোম্পানির বিভিন্ন পণ্যের সিএম লাইসেন্স বাতিল করে, ওই তালিকায় প্রাণের ৮টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রাণের কথিত কোমল পানীয়, জুস, মসলার গুণগত মান ঠিক নেই। এসব জনস্বাস্থ্যের জন্যও নিরাপদ নয়। প্রাণের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্য প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু প্রচার-প্রসারে শীর্ষে রয়েছে কাদিয়ানিদের এ প্রতিষ্ঠান।

প্রাণ-আরএফএল সেন্টার

প্রাণ-আরএফএল-এর পণ্যের জন্য বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার নিয়ে আলেমরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলেন, প্রাণের পণ্যে ইঁদুরের বিষ্ঠা পেয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইতালি। প্রাণের পণ্যে ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ ভাইরাস (খুরারোগ) ও পোকামাকড়ের উপস্থিতি থাকায় ২০১৪ সালের শেষের দিকে কানাডা থেকে ফেরত আসে। ফলে প্রশ্নে মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের, বিষয়টি দেশের জন্যও লজ্জার। বিগত অর্থবছরসমূহে প্রায় ৪০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে কোম্পানিটি।

বিবৃতিতে আলেমরা বলেন, তিন দশকের বেশি সময় ধরে দেশে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য বাজারজাত করছে প্রাণ। তবে নানা সময় তাদের উৎপাদিত পণ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর ভাইরাস পাওয়া গেছে। ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ পণ্য উৎপাদন করে প্রাণ গ্রুপ দেশ-বিদেশের ভোক্তাদের ধোঁকা দিচ্ছে। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মত নয়।’

পৃথিবীর প্রায় মুসলিম প্রধান দেশেই কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে তারা মুসলমানদের ঈমান বিধ্বংসী নানা কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নিজেদের মুসলিম পরিচয় দিয়ে ইসলামি পরিভাষাসমূহ ব্যবহার করছে, তাতে এদেশের মুসলমানরা ক্ষুব্ধ। এদেশের নবীপ্রেমিক তওহিদি জনতা কোনোভাবেই বরদাশত করবে না- বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আলেমরা।

আলেমরা বিবৃতিতে আরও বলেন, সমপর্যায়ের মানগত অন্য পণ্য বাজারে বিদ্যমান থাকাবস্থায় প্রাণ-আরএফএল-এর মালিকানাধীন কোম্পানির পণ্য ব্যবহার ও ক্রয় জায়েজ নয়। যেহেতু এটা প্রমাণিত যে, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মালিক বাংলাদেশে কাদিয়ানিদের অর্থ যোগানদাতা। আর কাদিয়ানিরা মুসলমানদের ঈমান বিধ্বংসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির পণ্য ক্রয় করা জায়েজ নয়।

বিভিন্ন মিডিয়ায় কাদিয়ানিদের ‘কাদিয়ানি মুসলিম’ কিংবা ‘আহমদিয়া মুসলিম জামাত’ বলে সম্বোধন না করে সরাসরি ‘কাদিয়ানি জামাত’ সম্বোধন করারও আহ্বান জানান আলেমরা। তারা বলেন, কাদিয়ানিদের মুসলিম বলার কোনো সুযোগ নেই। ইসলামে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্ম পালনে বাধা প্রদান করা হয় না- যদি তারা ইসলাম ও মুসলমানের ক্ষতি না করে। কিন্তু ইসলামের নামে কেউ যদি অপপ্রচার চালায় এবং ইসলামের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে, সেটা সমর্থন করে না। কাদিয়ানিরা সেটা করছে, তাই মুসলমানরা কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানায়।

বকশিকাজারে কাদিয়ানিদের প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান, ছবি: সংগৃহীত

বিবৃতিদাতা আলেমরা হলেন- মাওলানা মাহমুদুল হাসান মমতাজী (তেজগাঁও), মাওলানা মো. নাজমুল হক (উত্তরা), মাওলানা মানছুরুল হক (তেজগাঁও), মুফতি অহিদুল আলম (উত্তরা), মাওলানা এহসান উল্লাহ (উত্তরা), মাওলানা রিয়াদুল ইসলাম (টঙ্গী), মাওলানা কারামাত আলী (টঙ্গী), মুফতি এনায়েতুল্লাহ (টঙ্গী), মুফতি মাসুম আহমাদ (বনানী), মাওলানা শফিকুল ইসলাম (বনানী), মুফতি আবদুর রহীম কাসেমী (আমিন বাজার), মাওলানা আবুল কাসেম আশরাফী (খিলগাঁও), মুফতি আবদুর রাজ্জাক কাসেমী (মোহাম্মদপুর), মাওলানা আবু জাফর কাসেমী (আশুলিয়া), মাওলানা আলী হোসেন (তেজগাঁও), মাওলানা ইব্রাহীম (তেজগাঁও), মাওলানা ইউসুফ (তেজগাঁও), মাওলানা খালেদ (বাড্ডা), মাওলানা সালমান (তেজগাঁও), মাওলানা ওমর (গুলশান), মাওলানা এইচ.এম মোতাহার উদ্দীন (কলাবাগান), মাওলানা আবদুল্লাহ (কলাবাগান), মাওলানা নাজির মাহমুদ (শাহবাগ), মাওলানা লিয়াকত হোসেন (সোবহানবাগ), মাওলানা গোলাম মোস্তফা (রাজাবাজার), মাওলানা আতাউল্লাহ (ধানমন্ডি), মাওলানা আবদুল্লাহ ইদ্রিস (যাত্রাবাড়ী), মাওলানা ইয়াকুব (যাত্রাবাড়ী), মুফতি নুরুল্লাহ নূরানী (যাত্রাবাড়ী), মাওলানা মুখলিসুর রহমান কাসেমী (ডেমরা), মাওলানা আবুল বাশার (কাজলারপাড়), হাফেজ নজরূল ইসলাম (কাজলারপাড়), মুফতি বোরহান উদ্দীন (যাত্রাবাড়ী), মাওলানা সাখাওয়াত (মিরপুর), মাওলানা আবদুল্লাহ ফিরোজী (মিরপুর), মাওলানা মাসুদুর রহমান (মোহাম্মদপুর), মুফতি নূরুজ্জামান (মোহাম্মদপুর), মাওলানা আফজাল (মোহাম্মদপুর), মাওলানা মাহফুজুর রহমান (মোহাম্মদপুর), মাওলানা ফিরোজ হোসেন (ধানমন্ডি), মাওলানা ইকবাল (ধানমন্ডি), মুফতি রফিকুন্নবী (রায়ের বাজার), মাওলানা কারামাত আলী (মিরপুর), মাওলানা আবদুল বাতেন (বনানী), মাওলানা ওবায়দুর রহমান (বনানী), মাওলানা মতিয়ার রহমান (তুরাগ), মাওলানা ওমর ফারূক (তুরাগ), মাওলানা কাউসার আলী (তুরাগ), মুফতি মিরাজুল ইসলাম (উত্তরা), মুফতি ইলিয়াছ (দক্ষিণখান), মাওলানা আনোয়ারুল হক (গুলশান), মাওলানা নাইমুর রহমান (রামপুরা), মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ (খিলগাঁও), মাওলানা জাকির হোসেন (আগারগাঁও), মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ (শ্যামলী), মাওলানা সাখায়াতুল্লাহ (সবুজবাগ), মাওলানা মাসীহুল্লা (গ্রীণরোড), মাওলানা ইয়াকুব (টঙ্গী), মাওলানা ইব্রাহীম (টঙ্গী), মাওলানা আবু বকর আবু আলী (টঙ্গী), মাওলান আহসান হাবীব (লালবাগ), মাওলানা আবুল হাসান (কামরাঙ্গীর চর), মুফতি আবদুল হাফীজ (কামরাঙ্গীর চর), মুফতি ইয়াকুব (কামরাঙ্গীর চর), মুফতি জাফর (কামরাঙ্গীর চর), মাওলানা শফিকুল ইসলাম ( কামরাঙ্গীর চর), মাওলানা কাওছার (মোহাম্মদপুর), মাওলানা মুহসিনুর রহমান (বছিলা), মাওলানা জাফর (ঢালকানগর), মাওলানা ফজলে এলাহী (ধানমন্ডি), মাওলানা আশিকুর রহমান (উত্তরা), মুফতি শফী আহমদ (তুরাগ), মাওলানা মোছাদ্দেক (যাত্রাবাড়ী), মাওলানা আতিকুর রহমান (পল্টন), হাফেজ ঝিন্নাত আলী (মিরপুর), মাওলানা ইলিয়াছুর রহমান (মিরপুর), মাওলানা কাবিল আহমদ (মিরপুর) ড. মহিবুল্লাহ (উত্তরা), ড. শাহাদাত হোসেন (উত্তরা), মাওলানা জাকির হোসেন (উত্তরা), মাওলান সিরাজ হোসেন (তুরাগ), মাওলানা আবু হানিফ (তেজগাঁও), মাওলানা ওয়াজেদ আলী (বনানী), হাফেজ হাবিবুর রহমান (তুরাগ), মাওলানা আবুল হাছান (উত্তরা), মাওলানা শফিকুল ইসলাম (উত্তরখান), মাওলানা আবুল খায়ের (রামপুরা), মাওলান হাফিজুর রহমান ( তেজগাঁও), মাওলানা কামরুজ্জামান (বেইলি রোড), মাওলানা আবদুল কাইয়ুম (পল্টন), মাওলানা ছালামতউল্লাহ (টিকাটুলি), মাওলানা নাজমুল হাসান (যাত্রাবাড়ী), মাওলানা আবু হানিফ (ধানমন্ডি), মাওলানা রেজাউল করীম (মিরপুর), মাওলানা ইব্রাহীম বিন আলী (মহাখালী), মাওলানা রোকন (তেজগাঁও), মাওলানা আবদুল কুদ্দুস (বাড্ডা), মাওলানা সরোয়ার (বাবর রোড) ও ,মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন (মিরপুর)।

উল্লেখ্য, শনিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার বকশীবাজার কাদিয়ানি উপাসনালয়ের প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির সিইও আহসান খান চৌধুরী শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে উত্থাপিত অভিযোগ স্পষ্ট হয়ে যায় যে, প্রাণ-আরএফএল-এর সিইও কাদিয়ানি। তাই ১০১ আলেম বিবৃতি দিয়ে কাদিয়ানিদের অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল-এর উৎপাদিত যাবতীয় পণ্য বর্জন ও বয়কটের আহ্বান জানান।

সোনার ভরি ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রেকর্ড দাম বৃদ্ধির পর চার দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম দুই দফা কমে আবার বাড়ানো হয়েছে। তাতে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়ছে। এর ফলে ভালো মানের ২২ ক্যারেট সোনার ভরি ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সহসভাপতি এমএ হান্নান আজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে সারা দেশে নতুন দর কার্যকর হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে।

এর আগে বুধবার সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম কমানো হয় ১ হাজার ১৬৭ টাকা। এতে প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তার আগে মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে বুধবার ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়। অর্থাৎ দুই দিনে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা কমানো হয়।

তারও আগে, ১৮ মার্চ এক লাফে সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়ানো হয়। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয় ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। দেশের বাজারে এর আগে কখনো সোনার এতো বাড়েনি।

নতুন দাম অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকা করা হয়েছে।

সোনার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।

;

রমজানে শত -শত পণ্যে ছাড় দিচ্ছে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্বপ্ন

স্বপ্ন

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান উপলক্ষে শত-শত পণ্যে ছাড় দিচ্ছে সুপারমার্কেট রিটেইল ব্র্যান্ড চেইনশপ ‘স্বপ্ন’ । প্রতি সপ্তাহের শুক্র এবং শনিবার ক্রেতারা ‘স্বপ্ন’ থেকে সবসময় বিভিন্ন পণ্যে ছাড় পেয়ে থাকেন। আর এবার মাহে রমজান উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি পণ্যের উপর ছাড় ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্বপ্নের হেড অব মার্কেটিং মাহাদী ফয়সাল বলেন, রমজানের শুরুতে টানা অফার থাকছে আমাদের। বিশেষ করে রমজানের শুরুতেই প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোতে বিশাল ছাড় থাকছে। এছাড়া পুরো রমজানজুড়ে শত-শত পণ্যে ছাড় দিচ্ছে ‘স্বপ্ন’ ।

বিশেষ করে রমজানের শুরুতেই, পুষ্টি সয়াবিন তেল ৫ লিটার ৮৭০ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ৮৫ টাকা, এসিআই লবণ ১ কেজি ৮ টাকা ছাড়, খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১২ টাকা, মসুর ডাল প্রতি কেজি ৯৯ টাকা, ট্যাং ২ কেজি ১৫০ টাকা ছাড়, ম্যাগি নুডলস ৭৪৪ গ্রাম ৩০ টাকা ছাড়, ডানো মিল্ক পাউডার ১ কেজি ৫১ টাকা ছাড়, হেড এন্ড শোল্ডার’স শ্যাম্পু ৬৫০ মিলি ৩০০ টাকা ছাড়, ইস্পাহানি চা পাতা ৪০০ গ্রাম ৩০ টাকা ছাড় থাকছে।

এছাড়াও সুলতান ও স্বপ্ন ব্ল্যাকটিতে ৬০ টাকা পর্যন্ত ছাড়, আড়ং ও প্রাণ ঘি ৪০০ গ্রাম ৬০ টাকা পর্যন্ত ছাড়, ডাবর মধু ৫০০ গ্রাম ৭০ টাকা ছাড়সহ নানা পণ্যে চলতি সপ্তাহের ২৪ থেকে ২৬ মার্চ অবধি থাকছে বিশাল ছাড়।

;

দুই দফা কমে আবার বাড়ল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সোনার বাজারে অস্থিরতা চলছে। রেকর্ড দাম বৃদ্ধির পর চার দিনের ব্যবধানে সোনার দাম দুই দফা কমে আবার বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে সোনার এ নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বাজুসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বুধবার সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম কমানো হয় ১ হাজার ১৬৭ টাকা। এতে প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তার আগে মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে বুধবার ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়। অর্থাৎ দুই দিনে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা কমানো হয়। 

তারও আগে, ১৮ মার্চ এক লাফে সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়ানো হয়। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয় ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। দেশের বাজারে এর আগে কখনো সোনার এতো বাড়েনি।

নতুন দাম অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকা করা হয়েছে।

সোনার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।

;

ইসলামী ব্যাংক-রিয়া মানি রেমিট্যান্স উৎসবের মোটরসাইকেল হস্তান্তর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংক-রিয়া মানি রেমিট্যান্স উৎসবের মোটরসাইকেল হস্তান্তর

ইসলামী ব্যাংক-রিয়া মানি রেমিট্যান্স উৎসবের মোটরসাইকেল হস্তান্তর

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক-রিয়া মানি ট্রান্সফার ক্যাশ রেমিট্যান্স উৎসবে বগুড়া জোনের অধীনে বিজয়ীদের নিকট মোটরসাইকেল হস্তান্তর অনুষ্ঠান ২২ মার্চ ২০২৩, বুধবার বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) তে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী মালয়েশিয়া প্রবাসী আফসার আলী, শেখ মোঃ হান্নান ও মিজানুর রহমানের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রেক্ষিতে উল্লাপাড়া, মহাস্থানগড় ও দুপচাঁচিয়া শাখার গ্রাহক তানজিলা খাতুন, মোছাঃ মর্জিনা বিবি এবং মুর্শিদা-এর নিকট এই পুরস্কার হস্তান্তর করেন। এ সময় ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ নাইয়ার আজম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জি.এম. মোহাঃ গিয়াস উদ্দিন কাদের, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ. কে. এম মাহবুব মোর্শেদ এবং বগুড়া জোনপ্রধান মোঃ রেজাউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১৪ মে ২০২৩ পর্যন্ত চলমান এই ক্যাম্পেইনে রিয়া মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে প্রবাসীদের প্রেরিত ক্যাশ রেমিট্যান্স গ্রাহকদের মধ্যে প্রতি ব্যাংকিং দিবসে ১জন গ্রাহক মোটরসাইকেল জিতে নিতে পারবেন।

;