সকল ডিজিটাল সেবা দিবে ‘নগদ’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দৈনন্দিন জীবনের সব ডিজিটাল সেবা ‘নগদ’ প্ল্যাটফর্ম থেকে দেওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংস্থাটি। সেজন্য সম্প্রতি ‘সব হবে নগদ-এ’ নামের একটি ট্যাগ লাইনও গ্রহণ করেছে দেশের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।

ইতিমধ্যে অনলাইনে কেনাকাটা থেকে শুরু করে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ইন্টারনেট বিলসহ প্রায় সব ধরনের বিল পরিশোধ করা, ইন্সুরেন্সের প্রিমিয়াম জমা দেওয়া এবং ইউটিলিটি বিল প্রদান এসবই ‘নগদ’-এর মাধ্যমে হচ্ছে। গ্রাহকদের জীবনযাপন আরো সহজ ও স্বাচ্ছন্দময় করতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় সেবাও এই একটি প্ল্যাটফর্মে তুলে আনতে কাজ করছে ‘নগদ’।

অ্যাকাউন্ট খোলার সহজতম পদ্ধতি প্রবর্তন থেকে শুরু করে ‘নগদ’-এ সেবা নেওয়া সব সময়ই সহজ। শুরুতে ডিজিটাল কেওয়াইসি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলা চালু করলেও এখন তা কেবল মোবাইলে *১৬৭# ডায়াল করেও পিন সেট করেই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। সব মিলে মাত্র কয়েক সেকেন্ড লাগে এই প্রক্রিয়াটি শেষ করতে।

কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে মানুষের জীবনকে সহজ করতে ‘নগদ’ নিরলসভাবে কাজ করেছে। যার ফলে এখন চাইলেই ঘরে বসে যেকোনো জরুরি সেবা নেওয়ার পর ‘নগদ’-এর মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায়। ফলে একটি একটি করে অসংখ্য পরিবার এখন সুরিক্ষত থাকছে।

রাষ্ট্রীয় সেবা ‘নগদ’ মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রমকে সহজ করতে প্রায় ১২ হাজার মার্চেন্টের সঙ্গে অংশীদারত্ব স্থাপন করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মিনা বাজার, ইউনিমার্ট, প্রাণ-আরএফএল, ওয়াল্টন প্লাজা, ট্রান্সকম ডিজিটাল, বেস্ট ইলেকট্রনিক্স, বে এম্পোরিয়াম এবং যমুনা গ্রুপের হোলসেল ক্লাবের মতো প্রতিষ্ঠান। যেখানে গ্রাহকরা তাদের নিত্যকার প্রয়োজনীয় পেমেন্ট ‘নগদ’-এর মাধ্যমে করেছেন।

‘নগদ’ এরই মধ্যে ৫০০-এর বেশি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। ফলে গ্রাহকেরা চাইলেই কাক্সিক্ষত কেনাকাটার পেমেন্ট স্বচ্ছন্দে ‘নগদ’ এর মাধ্যমে করতে পারছেন। আর্থিক লেনদেন করার প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ হওয়ায় ‘নগদ’ এফ-কমার্সেও ব্যাপক জনপ্রিয়। ক্যাশ-আউট রেট বাজারের সর্বনিম্ন হাজারে ৯.৯৯ টাকা হওয়ায় যেকোনো লেনদেনের ক্ষেত্রেও ‘নগদ’ এখন সর্বাধিক জনপ্রিয় লেনদেন মাধ্যম।

অনলাইন কেনাকাটাকে সহজ করতে একমাত্র ‘নগদ’ ডেলিভারি কোম্পানির সঙ্গেও পার্টনারশিপ করেছে যাতে পণ্য বিতরণ ও সরবরাহ নির্ঝঞ্জাট হয়। সম্প্রতি ‘নগদ’ ডেলিভারি কোম্পানি পেপারফ্লাই-কে সঙ্গে নিয়ে অত্যাধুনিক একটি সেবা চালু করেছে যেখানে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাওয়া পণ্যটি হাতে পাওয়ার পরেই ‘নগদ’-এর বিল প্রদান করতে পারছেন।

অব্যাহতভাবে জনবান্ধব সব সেবা ‘নগদ’-এর প্ল্যাটফর্মে তুলে আনার বিষয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, “বাংলাদেশের মানুষকে একটি উপযুক্ত ডিজিটাল জীবন নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘নগদ’। একটি সফল ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরি করতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি আর সেটি তৈরি করতে ডিজিটাল পেমেন্ট নিশ্চিত করাই হলো একমাত্র উপায়। ডিজিটাল ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ‘নগদ’ বিভিন্ন ধরনের ক্যাশ-ব্যাকসহ আকর্ষণীয় সব অফার দিচ্ছে। ডিজিটাল জীবপনযাপনে মানুষকে উৎসাহিত করা এবং দেশের ডিজিটাল সংস্কৃতি উন্নতকরণে ‘নগদ’ সম্প্রতি ‘সব হবে নগদ-এ’ ট্যাগ লাইন গ্রহণ করেছে।”

গ্রাহকদের জীবন-যাপন সহজ করতে গত ঈদ-উল আযহার সময় ‘নগদ’ ইকমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর (ই-ক্যাব) সঙ্গে মিলে দেশের প্রথম ডিজিটাল কোরবানির হাট করেছে। ফলে কোভিডের মধ্যে কোবরানির পশু খোঁজার জন্য তাকে হাটে যেতে হয়নি। পেমেন্টও হয়েছে ‘নগদ’-এর মাধ্যমে।

করোনা মহামারিতে কৃষকদের পণ্য পরিবহনেও ‘নগদ’ ভূমিকা রেখেছে। গ্রাম থেকে কৃষকদের ফসল পোস্ট অফিসের গাড়িতে করে চালডাল ও মিনাক্লিকের মতো প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে ‘নগদ’।

জেল কর্তৃপক্ষের কাছে বন্দীদের জন্য আত্মীয়রা টাকা পাঠাতে পারছেন ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। এ ছাড়া ‘নগদ’-ই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে কোভিড-১৯ টেস্টের ফি দেওয়া যায়। গত ছয় মাসে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের কোভিড টেস্ট ফি দেওয়া হয়েছে এই পদ্ধতিতে। লকডাউন চলাকালে ‘নগদ’-এর মাধ্যমে ২০০ গার্মেন্টস কারখানা তাদের কর্মীদের বেতন পরিশোধ করেছে। ১১টি দাতব্য প্রতিষ্ঠান তাদের সহায়তার টাকা সংগ্রহ করছে ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। আর ইন্টারনেট বিল, স্কুল-কলেজের টিউশন ফি এখন চাইলেই ‘নগদ’-এ প্রদান করা সম্ভব।

গত বছর ২৬ মার্চ বাণিজ্যিক সেবা শুরু করা ‘নগদ’ স্বল্প সময়ের মধ্যে মানুষের জীবন বদলে দেওয়া আরো অসংখ্য ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্ম দেবে।

   

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;

বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত, নির্ভুল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ -তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা –

• নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে
• সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো
• টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার
• ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে

সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

;

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা মোহর সঞ্চয়ী হিসাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহর ইসলামে নারীর প্রতি সম্মান আর অধিকার প্রদর্শনের একটি নিদর্শন। বিবাহের সময় কনের দাবিকৃত অর্থ মোহর, আর বরের পক্ষ থেকে কনেকে এই মোহর আদায় করা অত্যবশকীয় কর্তব্য।

পবিত্র কোরানের সুরা নিসায় আল্লাহ বলেন “আর তোমরা আনন্দের সাথে স্ত্রীদের মোহর আদায় করে দাও। তবে যদি তারা স্বেচ্ছায় মাফ করে দেয়, তাহলে তা সানন্দে ভোগ করতে পার”।

মোহর যে স্ত্রীর অপরিহার্য অধিকার এবং স্বামীকে যে অবশ্যই পালন করতে হবে এমন চিন্তা বেশিরভাগ মানুষের থাকে না। ফলে সমাজে মোহর আদায়ের সংস্কৃতি কিছুটা কম। বিয়েতে মোটা অংকের মোহর নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে এই মোহর আদায় কারো কারো পক্ষে কঠিন হয়ে উঠে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু রাখতে ও আরো সহজ করতে মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্ট চালু করেছে।

সমাজের সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণ বিশেষত পেশাজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী তাদের সামর্থ অনুযায়ী মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় একাউন্ট খুলতে পারবেন। মাসিক কিস্তি ৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার কিস্তিতে ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদী এ হিসাব পরিচালনাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করবে স্বামী বা বিবাহেচ্ছুক পুরুষ। কাবিননামায় উল্লেখিত মোট টাকার পরিমাণ, আদায়কৃত টাকা এবং আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে আদায়যোগ্য টাকার উপর মাসিক হার নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার গ্রাহক ইসলামী ব্যাংকে মোহর একাউন্ট খুলেছেন।

বাংলাদেশের যে কোন বৈধ নাগরিক তার জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, নিজের ২ কপি ছবি, স্ত্রীর ২ কপি ছবি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও নমিনির এক কপি ছবি নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্টে মোহর একাউন্ট খুলতে পারবে, এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল অ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমেও এই একাউন্ট খোলা যায়। অন্য শাখা, উপ-শাখা কিংবা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দেওয়া যায়। মোবাইল ভিক্তিক ব্যাংকিং আ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমে মাসের যে কোন দিন যে কোন স্থান থেকে খুব সহজে মাসিক কিস্তি দেওয়া যায় অথবা শাখায় স্পেশাল ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটোমেটিক সংশ্লিষ্ট সেভিংস হিসাব থেকে মোহর একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমক্যাশের মাধ্যমেও মাসিক কিস্তি পরিশোধ করা যায়। গ্রাহক চাইলে কিস্তির টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে পারেন। উক্ত একাউন্টের মূল টাকা ও প্রদত্ত মুনাফা সবই স্ত্রীর প্রাপ্য। হিসাব খোলার সময় কিস্তির হার ও মেয়াদ নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা যাবে না।

মুদারাবা মোহর হিসাবে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একজন স্বামী তার স্ত্রীর মোহরের ঋণ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন। মোহর পরিশোধের মাধ্যমে নারীর জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। এবং সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বোপরি সমাজে নারীর অধিকার আদায়ের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন হয়। মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু করতে ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ কৃতিত্বের দাবিদার।

;