বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক পদে তিন কর্মকর্তার পদোন্নতি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক পদে তিন কর্মকর্তার পদোন্নতি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক পদে তিন কর্মকর্তার পদোন্নতি।

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক থেকে মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন তিন কর্মকর্তা। তারা হলেন- ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল কাদির, পরিসংখ্যান বিভাগ এর উপমহাব্যবস্থাপক মো. আনিছুর রহমান ও খুলনা অফিস- এর উপমহাব্যবস্থাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আবদুল কাদির
বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়ের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল কাদির মহাব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমি এ বহাল হন।

এমবিএ ডিগ্রিধারী মো. আবদুল কাদির ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে অফিসার পদে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন পার্সোনেল ডিপার্টমেন্ট, বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ, ব্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ, কমন সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-১, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-১ এবং সিলেট অফিসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে তিনি নেপাল ও সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ করেন। আবদুল কাদির চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর বিশকাটালী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

আনিছুর রহমান
বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (পরিসংখ্যান) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগ এর উপমহাব্যবস্থাপক মো. আনিছুর রহমান। তাকে মহাব্যবস্থাপক (পরিসংখ্যান) হিসেবে পদোন্নতি প্রদান পূর্বক পরিসংখ্যান বিভাগে বহাল করা হয়েছে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ হতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে সহকারী পরিচালক পদে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন। আনিছুর রহমান পরিসংখ্যান বিভাগ, বিনিয়োগ বোর্ডসহ বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দাফতরিক কাজে ভারত, ভুটান, চীন, জার্মানি এবং সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন। তিনি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস
বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন খুলনা অফিস- এর উপমহাব্যবস্থাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএসসি অনার্সসহ এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ব্যাংকিং ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৯ সালে অফিসার পদে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন। বিশ্বাস বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা ও প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার খড়িবাড়িয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

   

মাতারবাড়ি বন্দর নিয়ে ঠেলাঠেলি



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এতোদিন চলছিলো রশি টানাটানি, যে যার দিকে টানছিলো। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে চলছে ঠেলাঠেলি, একপক্ষ ঠেলে দিচ্ছে অন্যপক্ষের দিকে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে ঠিক এমনটাই চলছে বলে জানিয়েছে দায়িত্বশীল সূত্র। এই ঠেলাঠেলি চলছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে।

চাপে পড়ে কাগজে কলমে বুঝে নিলেও সমুদ্রবন্দরের আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে কয়েক মাস ধরে। দফায় দফায় চিঠি দিলেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) সাড়া দিচ্ছে না। ফলে হস্তান্তরও হচ্ছে না। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র একথা জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য কয়লাবাহী লাইটারেজ জাহাজ চলাচলের উপযোগী করে চ্যানেল তৈরির প্রস্তাবনা দেওয়া হয় আরো আগে। ওই সময়ে সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে রশি টানাটানি চলছিল। কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রস্তাবনার বিপরীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের প্রস্তাব দিতে বলা হয়। তারই প্রেক্ষিতে নাব্যতা বাড়িয়ে ১৮ দশমিক ৫ মিটার করা হয়।

যথারীতি চ্যানেল ও জেটি নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করে আনে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনানুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাবাহী জাহাজ দিয়েই যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশে প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দরটি। ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিবের সভাপতিত্বে মাতারবাড়ি চ্যানেল হস্তান্তর ও লভ্যাংশ বন্টনের সভা হয়। ওই সভায় গত বছরের (২০২৩) জুনের মধ্যে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কাগজে কলমে ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে মাতারবাড়ি চ্যানেল হস্তান্তর করা হয়। কাগজে কলমে বুঝে নিলেও চার্জ বুঝে নেয়নি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বন্দর ব্যবহারের মাসুল ঠিকই বুঝে নিচ্ছে চবক।

কাগজে কলমে বুঝে নেওয়ার সময় কথা ছিল নাব্যতা যাচাই করে চার্জ বুঝে নেবে। পরিদর্শনের জন্য প্রতিনিধি চেয়ে ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি চবকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সেই চিঠির জবাব কিংবা প্রতিনিধি পাঠায়নি চবক। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ফের তাগাদাপত্র দেওয়া হয়। তারপরও চবকের পক্ষ থেকে সাড়া পাওয়া যায় নি।

বিদ্যুৎ বিভাগের চিঠিতে আরও বলা হয়, চুক্তি মোতাবেক যৌথসার্ভে পরিচালনার শেষে ইপিসি ঠিকাদারের দায়িত্ব শেষ হবে। পরবর্তীতে ইপিসি ঠিকাদারকে ড্রেজিং কিংবা অন্যান্য কাজের জন্য বলা হলে ডেমারেজ দিতে হবে। এতে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থের অপচয় হবে ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না হলে পুনরায় পলি পড়ে নাব্যতা কমে যাবে।

প্রতিনিধি প্রেরণ এবং পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চবকের নিকটি বুঝিয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। যুগ্মসচিব তাহমিনা বেগম স্বাক্ষরিত ওই চিঠি নৌ পরিহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের বরাবরে প্রেরণ করা হয়। এরপরও কোন সুরাহা হয় নি। দীর্ঘদিন কেটে গেলেও বন্দর কর্তৃপক্ষের খাম-খেয়ালীর কারণে চার্জ হস্তান্তর প্রক্রিয়া ঝূঁলে রয়েছে।

আর এতে করে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির উপর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিষয়টি। তাদের ২০-৩০ জনের মতো নিরাপত্তা কর্মী দিয়ে পাহারা দিতে হচ্ছে। আবার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পলি পড়ে সংকট তৈরি আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই একবার কয়েক কোটি টাকা খরচ করে ড্রেজিং করতে হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোঃ ওমর ফারুককে ফোন করা হলে মিটিংয়ে আছেন বলে এড়িয়ে যান।

;

বাংলাদেশে ‘সিনাবন’ উদ্বোধন করলেন পিটার হাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের ৫০টির অধিক দেশের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করলো আমেরিকান ব্র্যান্ড 'সিনাবন’। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বনানীতে বুধবার (১৭ এপ্রিল) শুভ উদ্বোধন হলো ব্রান্ডটির প্রথম আউটলেট।

উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুনতাহিনা চৌধুরী টয়া। বাংলাদেশে সিনাবন স্বাদের খুশি ছড়িয়ে সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাবে, এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

উদ্বোধন উপলক্ষে সিনাবন-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডেসিকান নারায়ণ বলেন, "মনোমুগ্ধকর অফার ও সেরা স্বাদের মাধ্যমে ফুড লাভারদের মাঝে খুশি ছড়িয়ে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।" কান্ট্রি ডিরেক্টর ডেসিকান নারায়ণ ও ব্র্যান্ড ম্যানেজার জানিবুল হাসান জনি সৃজনশীল চিন্তা ও নান্দনিক কার্যক্রমের মাধ্যমে উদ্বোধনের এই সুন্দর মুহুর্তটি জাদুকরী মুগ্ধতায় পরিপূর্ণ করে তুলতে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন। তারা জানিয়েছেন আগামী দিনগুলোতেও ভোক্তাদের সেরা স্বাদ ও সার্ভিস প্রদানের লক্ষ্যেই তারা কাজ করে যাবেন।

১৯৮৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সিনাবন তার রোল এবং অন্যান্য বেকড পণ্যগুলি দিয়ে বিশ্ববাসীর মন জয় করে যাচ্ছে। স্বাদের আনন্দে খুশি ছড়িয়ে যাচ্ছে সকলের প্রাণে।

;

কুমিল্লা ইপিজেডে ৬১ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে ডাচ-বাংলা যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা ইপিজেডে একটি ব্যাগ তৈরির কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে নেদারল্যান্ড-বাংলাদেশ যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি বিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেড। তারা ৬১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগে বাৎসরিক ৩০ লাখ পিস হ্যান্ডব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, ট্রাভেল ব্যাগ, ওয়ালেট এবং ট্রলি ব্যাগ তৈরি করবে। প্রতিষ্ঠানটিতে ১০৩২ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং বিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেডের মধ্যে বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকাস্থ বেপজা কমপ্লেক্সে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) আলী রেজা মজিদ এবং বিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মি. জেরোন হার্মস নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেডকে স্বাগত জানিয়ে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান কুমিল্লা ইপিজেডকে তাদের বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য ধন্যবাদ জানান। নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বেপজা বাংলাদেশের পথিকৃৎ বিনিয়োগ উন্নয়নমূলক সংস্থা এবং মাত্র ৯৩৪ হেক্টর জায়গায় সফলভাবে ৮টি ইপিজেড পরিচালনা করছে।

তিনি আরও বলেন, এই অল্প পরিমাণ জমি থেকে সংস্থাটি দেশের মোট রফতানির প্রায় ২০ শতাংশ অবদান রাখে। বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান যত দ্রুত সম্ভব কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু করতে ডাচ বিনিয়োগকারীর প্রতি আহবান জানান। এদেশে আরও ডাচ বিনিয়োগ আনয়নের জন্য তিনি বিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান জেরোন হার্মসকে অনুরোধ জানান।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেপজার সদস্য (অর্থ) মো. আশরাফুল কবীর, নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) আ ন ম ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. তানভীর হোসেন এবং নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ.এস.এম. আনোয়ার পারভেজসহ ডাচ দূতাবাসের ইকনোমিক অ্যাফেয়ার্সের (অর্থনীতি বিষয়ক) প্রথম সচিব মিস সারা ভান হুইভ এবং বিএসকে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

কোম্পানিটির সহপ্রতিষ্ঠান বিএসকে ফ্যাশন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান বি সাওকাই (সোফি) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জরিস গুইসাডোও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

;

বছর শেষে উড়বে নতুন এয়ারলাইন্স ‘ফ্লাই ঢাকা’



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আকাশপথে ক্রমবর্ধমান যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে চলতি বছরের শেষে আকাশে ডানা মেলতে চায় নতুন বেসরকারি বিমান সংস্থা ‘ফ্লাই ঢাকা’।

সেই সঙ্গে বিদেশি এয়ারলাইন্সের দখলে চলে যাওয়া ৮০ শতাংশ মার্কেট পুনরুদ্ধার করে দেশের টাকা বিদেশে যাওয়া থেকে রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চায় এয়ারলাইন্সটি।

‘কানেক্টিং ড্রিমস, ইউনাইটিং ডেস্টিনেশস’ এই স্বপ্নকে সামনে রেখে কাজ করছে এয়ারলাইন্সটি। এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের বেসরকারিখাতের ১২তম এয়ারলাইন্সটি। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক রুটের অনুমোদন পেলে বোয়িং ও এয়ারবাসের মতো অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ দিয়ে বহর পরিকল্পনা করবে ‘ফ্লাই ঢাকা’।

‘ফ্লাই ঢাকা’ চালু হলে এই খাতে দেশীয় এয়ারলাইন্সের সংখ্যা দাঁড়াবে চারটিতে। বর্তমানে নভোএয়ার, ইউএস-বাংলা ও এয়ার অ্যাস্ট্রা ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এর মধ্যে নভোএয়ার ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক রুটেও ফ্লাইট পরিচালনা করে নিয়মিতভাবে।

বেসরকারিখাতে বিগত ২৫ বছরে আটটি এয়ারলাইন্স তাদের কার্যক্রম বন্ধ করেছে। সর্বশেষ, ২০২২ সালে বেসরকারি এয়ারলাইন্স হিসেবে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ বন্ধ হয়ে যায়।

‘ফ্লাই ঢাকা’ এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান হাব করার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, সেই লক্ষ্য অর্জন এবং দেশের বিমান চলাচলখাতকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করছে ‘ফ্লাই ঢাকা’। এ বছরের মধ্যে ফ্লাইট চালু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে সেবা প্রসারিত করাই ‘ফ্লাই ঢাকা’র লক্ষ্য। সেই সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্যে ও নিরাপদ ভ্রমণকে অগ্রাধিকার দিয়ে আকাশপথের যাত্রীদের সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই কাজ করছে ‘ফ্লাই ঢাকা’ এয়ারলাইন্স।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ‘ফ্লাই ঢাকা’র স্বত্বাধিকারী।

ফ্লাই ঢাকার কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স প্রধান ফারাবি বিন জহির বলেন, আকাশপথে যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগাতে চাই আমরা।

তিনি বলেন, কোভিডের পর থেকে আমাদের দেশের বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিবছরই এই সংখ্যা বাড়ছে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, অধিকাংশ যাত্রী পরিবহন করছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। তাদের দখলেই দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মার্কেট। সেই সঙ্গে দেশের টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে ও মার্কেটের এই গ্যাপ (শূন্যতা) দূর করতে কাজ করবে ‘ফ্লাই ঢাকা’।

ফ্লাই ঢাকা'র দুই কর্মকর্তাকে আলোচনা করতে দেখা যাচ্ছে, ছবি-বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) হিসাব বলছে, ২০২৩ সালে দেশের বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার করেছেন, এক কোটি ৭৪ লাখ যাত্রী, যাদের বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী। ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে ২৬ লাখ যাত্রী বেড়েছে। এই সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি। আর কোভিড মহামারির আগের সময়ের তুলনায় যাত্রী বেড়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ।

দেশের অধিকাংশ বেসরকারি এয়ারলাইন্সের টিকতে না পারার বিষয়ে ফারাবি বিন জহির অতীত ও বর্তমানের যাত্রী সংখ্যার তুলনা তুলে ধরে বলেন, একটা সময় ছিল যখন শুধু উচ্চবিত্তরা আকাশপথে ভ্রমণ করতেন। সে কারণে এয়ারলাইন্সগুলোর যাত্রী সংখ্যাও কম ছিল। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। মানুষের কাছে সময় কম। রাস্তায় অনেক সময় লাগে। যানজটসহ নানান ঝামেলা পোহাতে হয়। ফলে, শুধু উচ্চবিত্তরাই নয়, মধ্যবিত্তসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষেরা আকাশপথে নিয়মিত ভ্রমণ করছেন।

;